চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের দাফন-কাফনের চিন্তা থেকেই যাত্রা শুরু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘শেষ বিদায়ের বন্ধু’র। করোনা মহামারীর শুরু থেকেই করোনা আক্রান্ত বা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা মানুষের দাফন কাফন করছেন তারা। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে চট্টগ্রামের আনাচে-কানাচে এমনকি পাশের জেলায় ছড়িয়ে পড়ছে সংগঠনটির কার্যক্রম। শুধু লাশ দাফন নয়, ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, অক্সিজেন সার্ভিস সেবাও দিচ্ছে সংগঠনটি। একই সঙ্গে বেওয়ারিশ লাশ দাফন করতে কবরস্থানের জন্য জমিও কিনেছে সংগঠনটি। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শেষ বিদায়ের বন্ধুর সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘শুরুতে আমাদের কার্যক্রম মিরসরাইকেন্দ্রিক থাকলেও এখন পুরো চট্টগ্রাম, ফেনী, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালীতে কার্যক্রম চলছে। করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া রোগীদের লাশ দাফন ছাড়াও ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, অক্সিজেন সার্ভিস এবং
বেওয়ারিশ লাশ দাফনের কাজ করছে শেষ বিদায়ের বন্ধু। ইনশা আল্লাহ ভবিষ্যতে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করার চিন্তাভাবনা রয়েছে।’ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ব্যক্তির লাশ থেকে যখন সবাই দূরে সরে যাচ্ছিল, মৃতের সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে স্বজন থেকে শুরু করে প্রতিবেশীদের কেউ এগিয়ে আসছিল না দাফন কাফনে, ঠিক তখনই মৃত ব্যক্তির ধর্মীয় রীতি অনুসরণ করে দাফনের চিন্তা শুরু করে একদল মানবদরদি। করোনা পরিস্থিতির শুরুতে উত্তর চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় কয়েকজন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠিত করে ‘শেষ বিদায়ের বন্ধু’ নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংগঠনটির এগিয়ে চলায় সাথী হন কয়েকজন প্রবাসী ব্যক্তিও। অল্প কয়েক দিনের মধ্যে ২৫০ স্বেচ্ছাসেবক যুক্ত হয় সংগঠনটিতে। শুরুতে মিরসরাইকেন্দ্রিক এ সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালিত হলেও বর্তমানে সংগঠনটির বিস্তার ঘটেছে ফেনী থেকে চট্টগ্রামের আনাচে-কানাচে। এরই মধ্যে লাশ দাফন করতে শেষ বিদায়ের বন্ধুর টিম ছুটে গেছেন পাশের জেলা ফেনী, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ির প্রত্যন্ত এলাকায়। এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৪৯ জনের দাফন সম্পন্ন করেছে সংগঠনটি। এরই মধ্যে ‘শেষ বিদায়ের বন্ধু’র একটি অস্থায়ী অফিসও খোলা হয়েছে। কাফনের কাপড়, কবর খননের সরঞ্জাম, পিপিইসহ সবকিছু ওই অফিসেই সংরক্ষণ করা হচ্ছে। লাশ দাফনের পাশাপাশি করোনা রোগীদের জন্য ফ্রি অক্সিজেন ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সেবাও চালু করেছে শেষ বিদায়ের বন্ধু। এলাকায় বেওয়ারিশ লাশ দাফনের জন্য মিরসরাই উপজেলার তালবাড়িয়া এলাকায় ১৩ শতক জমির ওপর নির্মাণাধীন অবস্থায় রয়েছে কবরস্থান। এ কবরস্থানে বেওয়ারিশ লাশ কবর দেওয়া হবে। শেষ বিদায়ের বন্ধুর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা প্রবাসী চিকিৎসক ডা. এ এস এম রেজাউল করিম শামীম বলেন, ‘শেষ বিদায়ের বন্ধু’ নামে মানবিক সংগঠনটি করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়াদের দাফনের জন্য চালু করা হলেও বর্তমানে এর সেবার পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্রি অক্সিজেন সেবা, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বেওয়ারিশ লাশ দাফনের জন্য কবরস্থান তৈরি করা হচ্ছে। অচিরেই এ সংগঠনের সব সেবা কার্যক্রম পুরো চট্টগ্রামে ছড়িয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।’
শিরোনাম
- মুখে বলিরেখা সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান
- বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
- শুল্কের হুমকি দিয়ে আট যুদ্ধের পাঁচটিই থামিয়েছি: ট্রাম্প
- নির্বাচনী হলফনামায় বিদেশি সম্পদের বিবরণীও বাধ্যতামূলক: দুদক চেয়ারম্যান
- হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
- ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে প্রাণ গেল সিলেটের যুবকের
- বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- টেস্টে নতুন উচ্চতায় তাইজুল
- ঢাকা উত্তরে প্রথম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের যাত্রা শুরু
- সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা আজ
- শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
- হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
- ভিকারুননিসায় রবিবারের সব পরীক্ষা স্থগিত
- ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
- টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন
- ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
- আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
- পেরুর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
- ২৩ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি
শেষ বিদায়ের বন্ধু
মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম
প্রিন্ট ভার্সন
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর