শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা
শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম

সাগর পাড়ে ক্রীড়া চর্চার নৈসর্গিক আঙিনা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

সাগর পাড়ে ক্রীড়া চর্চার নৈসর্গিক আঙিনা

চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গার সমুদ্র উপকূল। সমুদ্রের ঢেউ, সঙ্গে উপকূলের দৃষ্টিনন্দন প্রকৃতি। আছে অস্তমিত সূর্যের রঙিন আভা। প্রকৃতির এমন নয়াভিরাম পর্যটন এলাকায় নির্মিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন স্টেডিয়াম। একসঙ্গে চলবে প্রকৃতি দর্শন এবং ক্রীড়াচর্চা। প্রাকৃতিক নানা অনুষঙ্গ ও স্টেডিয়াম যেন সাগর পাড়ে সংস্কৃতি এবং ক্রীড়া চর্চার এক নৈসর্গিক আঙিনা।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এম মনজুর আলমের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আলহাজ হোছনে আরা-মনজুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের উদ্যোগে এটি নির্মাণ করা হয়। সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত স্টেডিয়ামটিতে নিয়মিত চলছে ফুটবল ও ক্রিকেটসহ নানা ধরনের খেলা, সংস্কৃতিচর্চা এবং ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ। তাছাড়া নিয়মিত অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিভিন্ন জাতীয় দিবস।

আলহাজ হোছনে আরা-মনজুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ সারওয়ার আলম বলেন, বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের স্মৃতিকে ধরে রাখতে তাঁর নামে একটি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। স্টেডিয়ামটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। তাছাড়া, ট্রাস্টের ৯১টি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে। উত্তর কাট্টলী আলহাজ মোস্তফা-হাকিম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মো. আলমগীর বলেন, এখানে নিয়মিতই ফুটবল ও ক্রিকেট খেলা চলছে। সর্বশেষ বড় পরিসরে একটি আন্তঃফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। আমরা মনে করি, ব্যক্তি উদ্যোগে এত বড় স্টেডিয়াম নির্মাণ বিরল এবং ব্যতিক্রমী। জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের স্মৃতিকে জাগরূক রাখতে নির্মাণ করা হয় ‘শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম’। গত বছর শেখ রাসেলের জন্মদিনে কাট্টলী এলাকায় ৩ একর জায়গায় প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করা হয়। প্রযুক্তিনির্ভর ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ৫১ হাজার ৫০০ বর্গফুটের স্টেডিয়ামে ১২০০ দর্শক ধারণক্ষমতা আছে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর ১০০টি দুর্লভ ছবি নিয়ে স্থাপন করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু গ্যালারি’।

সর্বশেষ খবর