শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

গহিন পাহাড়ে জাপানি রঙিন স্কুল

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

গহিন পাহাড়ে জাপানি রঙিন স্কুল

বড় ধর্মপুর। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার লালমাই পাহাড়ের এক গহিন এলাকা। একসময় যেখানে সড়ক ছিল না। ২০১৬ সালে সেখানের নির্জন জঙ্গলে গড়ে উঠে একটি স্কুল। নাম মজুমদার ওয়ান ড্রপ প্রাইমারি স্কুল।

স্থানীয়রা এটিকে জাপানি স্কুল বললেও এর ৪০ ভাগ ব্যয় বহন করেন তারিক-উল-ইসলাম মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী নাহিদা আক্তার। বাকিটা তাঁদের জাপানি বন্ধু অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক তোশিকো অনিশিসহ তাঁর সহপাঠীরা।

সরেজমিন দেখা যায়, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার রতনপুর বাজার। বাজারটি মহাসড়ক লাগোয়া। বাজার থেকে তিন কিলোটার সামনে পাহাড়ি পথে বড় ধর্মপুর। অটোরিকশায় চড়ে যাওয়া যায় জাপানি স্কুলে। মূল সড়ক থেকে নেমে পাহাড়ি পথে পায়ে হেঁটে প্রবেশ করতে হবে স্কুল আঙিনায়। হাঁটতে গিয়ে কানে বাজবে নানা প্রজাতির পাখির সংগীত। তিন তলা ভবন। স্কুলে প্রবেশ করতেই প্রধান ফটকে চোখে পড়বে জাপানি, ইংরেজি ও বাংলায় লেখা স্কুলের নাম। ফটকের ওপরে পতপত করে উড়ছে বাংলাদেশি ও জাপানি পতাকা। চেয়ার-টেবিল লাল-সবুজ ও সাদা রঙের। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত এখানে পড়ানো হয়। শিক্ষার্থী ১০০ জন। জামা, জুতা, বই-খাতা, দুপুরের খাবার স্কুল বহন করে। শিক্ষার্থীদের পরনে সবুজ প্যান্ট ও সাদা জামা। খাবার সময়ে সবাই লাইন ধরে হাত ধুতে যায় বেসিনে। লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার নিয়ে ক্লাসে বসে খায়। এই রঙিন স্কুল তাদের চোখে স্বপ্ন দেখার পর্দা উন্মোচন করে দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের কেউ ডাক্তার আবার কেউবা প্রকৌশলী হতে চায়।

সর্বশেষ খবর