জীবদ্দশায় শিক্ষকতা করেছেন, পাশাপাশি মানবসেবায়ও নিয়োজিত ছিলেন। গ্রামের অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসাসেবাও দিয়েছেন, প্রবাসীদের পাঠানো টাকাও বিশ্বস্ততার সঙ্গে স¦জনদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। কখনো বই পড়া, বই লেখা, কখনো ইসলামী আলোচনা; সব সময় এসব নিয়েই থাকতেন তিনি।
বলছি নিভৃত পল্লীতে আলো ছড়ানো গুণী মানুষ আলহাজ শফিউদ্দিন মাস্টারের কথা। শিক্ষক শফিউদ্দিনের বাড়ি পাথরঘাটা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি পাঁচ ছেলে ও পাঁচ মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর আদি বাড়ি বরগুনার নলটোনা ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া গ্রামে। নিভৃত পল্লীতে আলো ছড়ানো এবং চিঠি বিতরণ করা সেই মানবিক মানুষ শফিউদ্দিন মাস্টার মারা গেছেন সম্প্রতি। অনেকের মতে, তাঁর এমন কাজ সমাজে উদাহরণ হয়ে থাকবে। ৩ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাথরঘাটা কলেজে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
প্রবীণ সাংবাদিক মির্জা শহিদুল ইসলাম খালেদ বলেন, শফিউদ্দিন মাস্টার একজন মানবিক এবং গুণী মানুষ ছিলেন। তিনি শিক্ষকতা পেশায় যেমন আলো ছড়িয়েছেন তেমনি অবসরে গিয়েও আলো ছড়িয়েছেন। এমন মানুষের দেখা মেলে না সহজেই। তাঁর কাজ সমাজে উদাহরণ হয়ে থাকবে। পাথরঘাটা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মহসিন কবির বলেন, কলেজে বক্তব্য দিচ্ছিলেন তিনি। এ সময় দাঁড়ানো অবস্থায় ঢলে পড়ে যাচ্ছিলেন। কলেজের শিক্ষক জাকির হোসেন জড়িয়ে ধরেন তাঁকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমি এমন মৃত্যু কখনো দেখিনি।