১ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:৫০

ব্ল্যাক হোল ছাড়াও ৫০ শক্তির উৎস খুঁজতে স্যাটেলাইট উড়াল ভারত

অনলাইন ডেস্ক

ব্ল্যাক হোল ছাড়াও ৫০ শক্তির উৎস খুঁজতে স্যাটেলাইট উড়াল ভারত

সংগৃহীত ছবি

সাফল্যের নতুন মাইলস্টোন দিয়ে ইংরেজি নতুন বছর শুরু করল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। ব্ল্যাক হোল (কৃষ্ণগহ্বর) নিয়ে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মহাকাশে পাড়ি দিল ইসরোর স্যাটেলাইট এক্সপোস্যাট। এটি দেশটির প্রথম ও বিশ্বে দ্বিতীয় এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট। এর আগে এ ধরনের কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়েছিল মার্কিন সংস্থা নাসা।

ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ১০ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস রিসার্চ সেন্টার থেকে পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্যাল বা পিএসএলভি রকেটের মাধ্যমে যাত্রা করে এক্সপোস্যাট।

মহাকাশে কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান ও পর্যবেক্ষণ করবে সদ্য ছোড়া স্যাটেলাইটটি। এছাড়াও উজ্জ্বলতম ৫০টি শক্তির উৎস পর্যবেক্ষণও রয়েছে এর কার্যক্রমে। এর মাধ্যমে নিউট্রন তারার বিষয়ে নজরদারি করবেন বিজ্ঞানীরা।

এক্সপোস্যাটে রয়েছে দুটি পেলোড— পোলিক্স (পোলারিমিটার ইনস্ট্রুমেন্ট ইন এক্স-রে) ও এক্সস্পেক্ট (এক্স-রে স্পেকট্রোস্কোপি অ্যান্ড টাইমিং)। রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টার যৌথভাবে এই পেলোড তৈরি করেছে।

মহাকাশে এক্স রশ্মির উৎস খুঁজবে এক্সপোস্যাট। এর মাধ্যমে কৃষ্ণগহ্বর সম্পর্কে গবেষণায় নতুন দিশা পেতে চলেছে ইসরো। কৃষ্ণগহ্বরের উপস্থিতি, সন্ধান, উৎস প্রভৃতি নানা তথ্য জোগাড় করবে এই স্যাটেলাইট।

মহাকাশে যখন কোনও নক্ষত্র ধ্বংস হয়, তখন সৃষ্টি হয় কৃষ্ণগহ্বর ও নিউট্রন স্টার। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে সর্বোচ্চ মহাকর্ষীয় বলের অধিকারী ব্ল্যাক হোল। অনেকগুলো নিউট্রন কণা গাঢ় ঘনত্বে একত্রিত হয়ে তৈরি নক্ষত্রের নাম নিউট্রন স্টার। এই ধরনের নক্ষত্র অত্যন্ত ক্ষুদ্র আকারের হয়। সর্বসাকুল্যে নিউট্রন স্টারের ব্যাসার্ধ ৩০ কিলোমিটারের বেশি নয়। সেই নক্ষত্রও পর্যবেক্ষণ করবে এক্সপোস্যাট। এ মিশনে ২৫০ কোটি রুপি খরচ করেছে ইসরো। সূত্র: এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস

বিডি প্রতিদিন/আজাদ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর