আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াড গঠনে অম্লমধুর সমস্যায় পড়েছেন নির্বাচকরা। টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের রিপ্লেস ক্রিকেটার খুঁজতে ঘাম ছুটে যাচ্ছে নির্বাচক প্যানেলের। হাতের ইনজুরির জন্য ছয় সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হচ্ছে সাকিবকে। অলরাউন্ডার সাকিবের অভাব পূরণ করতে দুজন ক্রিকেটারকে দলভুক্ত করতে হবে নির্বাচকদের। দুই ক্রিকেটার খুঁজতেই ঘুম হারাম হওয়ার উপক্রম নির্বাচকদের। নির্বাচক প্যানেলের অন্যতম সদস্য কাজি হাবিবুল বাশার সুমন গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, সাকিবের অভাব পূরণ করতে হবে সতীর্থদের। বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হবে, ‘বিশ্বে খুব কম ক্রিকেটারই আছেন যারা ব্যাটিং ও বোলিং করে দলে জায়গা করে নেন। সাকিবের ব্যাটিং-বোলিং আমরা মিস করব। আমার মনে হয়, দলের অন্যদের দায়িত্ব সেই কাজটা করে দেওয়া।’ এক টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও দুই টি-২০ ম্যাচ খেলতে ১০ জুন ঢাকায় আসবে রশিদ খানের আফগানিস্তান। দুই ধাপে ঢাকায় আসবে আফগানিস্তান। ঈদের আগে প্রথম ধাপে ১৪-১৮ জুন মিরপুরে হবে একমাত্র টেস্টটি। আঙুলের ইনজুরির জন্য টেস্টে সাকিবের সার্ভিস পাবে না টাইগাররা। ঈদের পর ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজে খেলবেন সাকিব।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা একমাত্র টেস্ট হেরেছে বাংলাদেশ। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রামে ২২৪ রানে হেরেছিলেন সাকিবরা। ওই টেস্টেও একাদশে ছিল না কোনো পেসার। চার স্পিনার খেলেছিলেন। টাইগাররা টেস্ট হেরেছিল রশিদ খানের লেগ স্পিনে। এবার টেস্ট মিরপুরে। উইকেটে বল নিচু হয়। স্পিনাররা বাড়তি সহায়তা পায়। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে তিন পেসার ও তিন স্পিনার নিয়ে খেলে সাকিব বাহিনী। ৭ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ। টাইগার পেসাররা রয়েছেন দারুণ ছন্দে। সুতরাং একাদশে পেসার প্রাধান্য থাকতেই পারে। আইরিশদের বিপক্ষে ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই দারুণ পারফরম্যান্স ছিল সাকিবের। ব্যাটিংয়ে ৮৭ রান এবং বোলিংয়ে ২ উইকেট নেন। দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। প্রথম ইনিংসে ১২৬ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৫১ রান করেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে সাকিবের অভাব পূরণে দুজন ক্রিকেটারকে দলভুক্ত করতে হবে নির্বাচকদের। নেতৃত্বেও পরিবর্তন আসবে। ব্যাটিংয়ে সাকিবের অভাব পূরণ করতে ছন্দে থাকা মুশফিককে বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হবে। শুধু মুশফিক নয়, পুরো দলকেই দায়িত্বশীল হতে হবে বলেন সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক বাশার, ‘সাকিব না থাকলে একটা খেলোয়াড় কমে যায়। সাকিব-মুশফিক দুজন থাকলে একটা বাড়তি সুবিধা পাই। আমরা একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলতে পারি অথবা একজন বোলার বেশি নিয়ে খেলতে পারি। কন্ডিশন অনুযায়ী সেটা আমরা করে থাকি। ওর না থাকাটা স্টেপ ব্যাক।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সাফল্য বেশি ওয়ানডেতে। ১১ মুখোমুখির ৭টিতে জিতেছে টাইগাররা। একমাত্র টেস্টে হার এবং নয় ম্যাচে তিন জয় এবং হার ছয়টিতে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ কঠিন হলেও দল এখন আত্মবিশ্বাসী বলেন বাশার, ‘আমরা এখন অনেক আত্মবিশ্বাসী দল। আফগানিস্তান খুব ভালো দল। তাদের সঙ্গে লাস্ট টেস্টে আমরা হেরেছিলাম। কিন্তু এবার আমরা ভালো খেলতে চাই। কোন উইকেটে খেলতে চাই আমরা তা পরিষ্কার। কাজেই যে সিদ্ধান্ত নিই, আমাদের অসুবিধা হবে না।’