শিডিউল ছিল সকালে। কিন্তু কুয়ালামপুরের লম্বা ট্রানজিট এড়াতেই শেষ মুহূর্তে ফ্লাইটের সময় পরিবর্তন করা হয়। পরিবর্তিত শিডিউল অনুযায়ী গতকাল রাতে মেলবোর্নের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন তামিম ইকবাল। এক রাত দুবাইয়ে কাটিয়ে ২৬ জানুয়ারি পৌঁছাবেন মেলবোর্ন। দলের সঙ্গে ব্রিসবেন ক্যাম্পে যোগ দিবেন ২৯ জানুয়ারি।
বিশ্বকাপ মিশনকে সামনে রেখে শনিবার রাত ৯টায় ঢাকা ছাড়েন মাশরাফিসহ ১৩ ক্রিকেটার। দলটি ব্রিসবেন পৌঁছাবে আজ বাংলাদেশ সময় ভোরে। সেখানে দুই সপ্তাহের কন্ডিশনিং ক্যাম্প করবে। ক্যাম্প চলাকালীন মাশরাফি বাহিনী ১ ও ৩ ফেব্রুয়ারি দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে। এরপর ৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান এবং ১২ ফেব্রুয়ারি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। মূল আসরে টাইগারদের প্রথম ম্যাচ ১৮ ফেব্রুয়ারি, প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। শনিবার রাতে ঢাকা ছাড়ার আগে টাইগার অধিনায়ক দেশবাসীর কাছে দোওয়া চেয়েছেন, 'আমরা জানিন বিশ্বকাপ অনেক বড় ইভেন্ট। এখানে সাফল্য পেতে সবগুলো দলই মরিয়া। আমরাও চাইব সেরা পারফরম্যান্স করতে। আমাদের টার্গেট কোয়ার্টার ফাইনাল। জানি কাজটি অনেক কঠিন। তারপরও আমরা চেষ্টা করব সর্বোচ্চ। এ জন্য আমরা দেশবাসীর কাছে দোওয়া চাইছি।' দল যখন ঢাকা ছাড়ে, তখন সঙ্গে যাননি সাকিব আল হাসান, তামিম ও ট্রেনার মারিও ভিলাভারায়ন। বিগ ব্যাশ টুর্নামেন্ট খেলতে অনেক আগে থেকে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন সাকিব। স্ত্রী সন্তান সম্ভাবনা বলে ভিলাভারায়নও অস্ট্রেলিয়ায়। সাকিব ও ভিলাভারায়ন দলের সঙ্গে যোগ দিবেন আজ।
তামিম দলের সঙ্গে না যাওয়ার কারণ চিকিৎসা। বাম হাঁটুর মিনিসকাসের অস্ত্রোপচারের পর এখনো রিহ্যাব করছেন তামিম। রিহ্যাব করলেও জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে অনুশীলন করেছেন। তবে অন্য ক্রিকেটারদের মতো ব্যাটিং কিংবা বোলিং করেননি। হালকা নকিং করেছেন। এই নকিং করার সময়ই তামিমের মনে হয়েছে পায়ের ব্যথাটা আগের মতো নেই, 'হাঁটুতে আগের মতো ব্যথা অনুভব করছি না। ইনজেকশন নেওয়ার পর বুঝতে পারব হাঁটুর কন্ডিশন।' হাঁটুতে ইনজেকশন দেওয়ার জন্যই দলের সঙ্গে যাননি তামিম। মেলবোর্নে ডা. ইয়াংয়ের কাছে শেষ ইনজেকশনটি নিবেন। এর আগে মেলবোর্নে অস্ত্রোপচার শেষে হাঁটুতে দুবার ইনজেকশন নিয়েছিলেন তামিম।
পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় তামিমের খেলার বিষয়টি এখন শতভাগ নিশ্চিত নয়। ইনজেকশন নেওয়ার পর বুঝা যাবে। কাল ঢাকা ছাড়ার আগে এমনই জানিয়েছেন, 'হাঁটুতে কোনো সমস্যা বোধ করছি না। তবে শতভাগ সুস্থ নই। এখনো সময় আছে বিশ্বকাপের। বিশ্বকাপে আমি পুরো সুস্থ হয়েই খেলব।' ক্রিকেট মহাযজ্ঞে বাংলাদেশের প্রথম খেলা ক্যানবেরায় ১৮ ফেব্রুয়ারি, আফগানিস্তান। ২১ ফেব্রুয়ারি ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়া, ২৮ ফেব্রুয়ারি মেলবোর্নে শ্রীলঙ্কা, ৫ মার্চ নেলসনে স্কটল্যান্ড, ৯ মার্চ অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ড ও ১৩ মার্চ হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ।