সিলেটে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের পর্দা উঠছে ২৯ জানুয়ারি। উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ মালয়েশিয়া। টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে বেশ কয়েক দিন আগে কাল দুপুরে সিলেটে পৌঁছায় বাংলাদেশ ফুটবল দল। আজ দুপুরে সিলেটে পা রাখার কথা মালয়েশিয়া দলের। সিলেট পৌঁছেই বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম ও স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলি দেশবাসীকে শুনিয়েছেন আশারবাণী। উদ্বোধনী ম্যাচে মালয়েশিয়াকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে শুভসূচনা করতে চান। উদ্বোধনী ম্যাচে জয় পেলে খেলোয়াড় ও দর্শকরা উজ্জীবিত হবেন। এতে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল পর্যন্ত খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল থাকবে মনে করেন বাংলাদেশ দলের নির্ভরযোগ্য এ দুই তারকা ফুটবলার।
কাল দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে নভো এয়ারে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান বাংলাদেশ দলের ফুটবলাররা। পরে কঠোর নিরাপত্তা দিয়ে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় নগরীর উপশহরস্থ একটি পাঁচতারকা হোটেলে। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অধিনায়ক মামুনুল ও স্ট্রাইকার এমিলি। জাহিদ হাসান এমিলি বলেন, 'আমাদের জন্য উদ্বোধনী ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ম্যাচে আমরা মালয়েশিয়াকে হারিয়ে জয় তুলে নিতে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামব। ওই ম্যাচে জয় পেলে সেমিফাইনাল খেলার পথ প্রশস্ত থাকবে।' এমিলি আরও বলেন, 'গত বছর আগস্টে যখন বাংলাদেশ দল নেপালের বিপক্ষে সিলেটে খেলতে আসে, তখন স্টেডিয়ামে প্রচুর দর্শক সমাগম হয়েছিল। আমরা ভালো খেলা দিয়ে দর্শকদের মন ভরাতে পারিনি। এবার আমরা দর্শকদের হতাশ করতে চাই না। আমরা তাদেরকে ভালো কিছু উপহার দিতে চাই।'
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম মামুন সাংবাদিকদের বলেন, 'টুর্নামেন্টের জন্য গত কয়েকদিন ধরে আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। দেরিতে হলেও আমরা কোচ পেয়েছি। কোচ ক্রুইফের আগমনে খেলোয়াড়রা মানসিকভাবে চাঙা রয়েছেন। টুর্নামেন্ট ঘিরে আমাদের প্রস্তুতি ভালো। প্রথম ম্যাচেই আমরা মালয়েশিয়াকে হারিয়ে দেশবাসীকে ভালো ফুটবল উপহার দিতে চাই। মালয়েশিয়াকে হারাতে পারলে আমাদের সেমিফাইনালে যাওয়া সহজ হবে।' মামুনুল বলেন, 'মালয়েশিয়া অনেক শক্তিশালী দল। কিন্তু আমরা শতভাগ দিতে পারলে ও দর্শকরা সঙ্গে থাকলে আমরা অবশ্যই তাদেরকে হারাতে পারব।' গত বছর সিলেটের মাঠে নেপালের সঙ্গে হারের স্মৃতি ভুলে এবার দর্শকদের ভালো কিছু দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক বলেন, 'গত বছর সিলেটে গ্যালারিতে জায়গা না পেয়ে দর্শকরা মাঠের ভিতর ঢুকে পড়েছিলেন। এ অবস্থায় যে কোনো অঘটন ঘটতে পারত। এজন্য বাড়তি চাপও ছিল। এছাড়া ওই ম্যাচে আমরা দলগতভাবে নেপালের চেয়ে খারাপ খেলেছি। এছাড়া আন্তর্জাতিক খেলার জন্য যে রকম মাঠের প্রয়োজন ছিল সিলেট স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ড সে রকম ছিল না। এবার সবকিছুর উন্নতি হয়েছে। আশা করছি এবার আমরা দর্শকদের হতাশ করব না।'