অবিশ্বাস্য জয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। ইপিএলে ম্যানচেস্টার ডার্বি হেরে, এই মৌসুমে ঘরের মাঠে প্রথম হার ম্যানচেস্টার সিটির। গতরাতে অবশ্য প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল সিটি। খেলার শুরুর দিকেই সিলভার শট একটুর জন্য বাইরে যায়। সময় যত এগোয় আক্রমণের রাশ নিজেদের হাতে ধরে নেয় তারা। যার ফলও পেয়ে যায় কিছুক্ষণের মধ্যে।
২৫ মিনিটে প্রথম গোল। কর্নার থেকে আসা বলে হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক কোম্পানি। গোল পেয়ে আরও আক্রমণ বাড়াতে থাকে তারা। এর রেশ কাটতে না কাটতে ফের গোল। সৌজন্যে গুন্দোগান। এই সময় ইউনাইটেডকে নিয়ে প্রায় ছেলেখেলা করতে থাকে গুয়ারদিওলার ছেলেরা। স্টারলিং দুটি অবধারিত গোল মিস না করলে প্রথমার্ধেই তিন চার গোলে এগিয়ে থেকে শেষ করত সিটি।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য সম্পূর্ণ অন্য ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ব্যবধান কমানোর জন্য প্রথম থেকেই আক্রমণ শুরু করে তারা। প্রতি আক্রমণে ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা চালাল সিটিও। তবে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ইউনাইটেডকে। ৫৩ মিনিটে প্রথম গোল। সৌজন্যে পল পোগবা। এই গোলের উল্লাস কাটতে না কাটতেই ফের গোল।
স্যাঞ্চেজের দেওয়া বলে এবারও গোল সেই পোগবার। এক মিনিটের ব্যবধানে খেলায় সমতা ফেরায় রেড ডেভিলসরা। ফলে আক্রমণ প্রতি আক্রমণে এগোতে থাকে খেলা। তবে চাপ ছিল ইউনাইটেডের।
৬৯ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে আসা বলে, গোল করে সিটি কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন স্মলিং। ম্যাচে প্রথমবারের জন্য পিছিয়ে পড়ে সিটি। সমতা ফেরানোর লক্ষ্যে অ্যাগুয়েরো, ডি ব্রুইনদের নামান, সিটি কোচ পেপ গুয়ারদিওলা। ম্যাচের শেষ দিকে সিটি চাপ বাড়ালেও, ইউনাইটেড গোলকিপার দে গিয়াকে পরাস্ত করতে পারেনি।
ম্যাচ শেষে ইউনাইটেড কোচ মোরিনহো জানান, প্রথমার্ধে আমরা পিছিয়ে ছিলাম। তবে ফুটবল নব্বই মিনিটের খেলা। শেষ পর্যন্ত লড়তে হয়। ফলাফলেই তা প্রমাণিত।
বিডি প্রতিদিন/০৮ এপ্রিল ২০১৮/আরাফাত