দশ বছর পর, ফের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে লিভারপুল। কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগেও জয় পেল তারা। ২-১ ব্যবধানে হারাল ম্যানচেস্টার সিটিকে। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে বড় ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিল য়ুরগেন ক্লপের ছেলেরা। এদিন অবশ্য ঘরের মাঠে ভালোই শুরু করেছিল সিটি।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গাব্রিয়াল জেসুসের গোলে এগিয়ে যায় তারা। গোল পেয়ে আক্রমণের ঝাঁজ আরও বাড়ান, সিলভা, সানেরা। তবে গোল করতে ব্যর্থ হয়। এই সময় সিটির আক্রমণ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেয়ে যায় লিভারপুল। তবে লিভারপুল ডিফেন্ডারদের পরাস্ত করে, ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থ সিটি।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে প্রতি আক্রমণে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে লিভারপুলও। এর মাঝেও রয়েছে বিতর্ক। সানের গোল অফসাইডের জন্য বাতিল করে দেওয়া হয়। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ সিটি শিবিরে। ফলে বিরতিতে রেফারির সঙ্গে বিতর্কের কারণে, দ্বিতীয়ার্ধে গ্যালারিতে বসতে হয় সিটি কোচ পেপ গার্দিওলাকে। তবে বিরতিতে যাওয়ার আগে বানার্ডো সিলভার শট পোস্টে না লাগলে ব্যবধান বাড়াতে পারত সিটি।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য অন্য লিভারপুল। প্রথম থেকেই আক্রমণ শানাতে থাকে তারা। যার ফলও পেয়ে যায় কিছুক্ষণের মধ্যে। ৫৬ মিনিটে সমতা ফেরায় তারা। সৌজন্যে এই মৌসুমের তাদের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় মোহাম্মদ সালাহ। গোল পেয়ে আক্রমণ আরও বাড়াতে থাকে লিভারপুল। প্রতি আক্রমণে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে সিটিও।
গোল পাওয়ার লক্ষ্যে, দলের সেরা খেলোয়াড় অ্যাগুয়েরোকে মাঠে নামান সিটি কোচ। আক্রমণে ঝাঁজ থাকলেও গোল করতে ব্যর্থ হন সিটি খেলোয়াড়রা। আক্রমণে নিজেদের চাপ বজায় রেখে সিটির কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন লিভারপুলের ফিরমিনো।
জয়ের পর লিভারপুল কোচ য়ুরগেন ক্লপ জনান, ছেলেরা পিছিয়ে পড়েও জয় ছিনিয়ে এনেছে। এখনও অনেকটা পথ বাকি। সেমিফাইনালে যে-ই আসুক, নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।
বিডি প্রতিদিন/১১ এপ্রিল ২০১৮/আরাফাত