২২ আগস্ট, ২০১৯ ১২:২৭

চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত ডোমিঙ্গো

অনলাইন ডেস্ক

চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত ডোমিঙ্গো

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ দল নিয়ে প্রথম টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপে নামতে যাচ্ছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের নবনিযুক্ত কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। তবে দীর্ঘ ফর্মেটের ক্রিকেটে টাইগাররা প্রায়ই নাজুক পরিস্থিতিতে পড়ে যায়। যে কারণে দলটিকে টেস্টে নিয়মিত জয় এনে দেয়া হবে তার জন্য কঠিনতম কাজগুলোর একটি।

একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। টি-২০ ক্রিকেটেও রয়েছে কিছু সফলতা। টেস্টে নিজেদের মাটিতে সুবিধামাফিক উইকেটে যে কোন দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ কঠিন প্রতিপক্ষ হলেও বিদেশের মাটিতে খেলা দলটির জন্য ভয়ঙ্কর ব্যাপার।
তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপে বাংলাদেশকে বেশীরভাগ ম্যাচ খেলতে হবে বিদেশের মাটিতে। যেটি হবে ডোমিঙ্গোর জন্য আরও বেশি কঠিন। একই সঙ্গে তিনি এটিও জানেন জয়ের জন্য বাংলাদেশের দর্শকরা কতটা উত্তেজিত থাকে। যে কোন ফর্মেটের ক্রিকেটেই নেতিবাচক ফলাফল হলে এসব দর্শক যে তাকেও ছাড় দিবে না তাও জানেন তিনি।

তবে এই সব চাপ সামলানোর জন্য প্রস্তুত ডোমিঙ্গো বলেন, বাংলাদেশ দলকে টেস্ট শক্তি হিসেবে গড়ে তোলার বিষয়ে তিনি যথেষ্ঠ আত্মবিশ্বাসী। প্রথম টেস্ট মিশনে বাংলাদেশকে নিয়ে আফগানিস্তানের মোকাবেলা করবেন ডোমিঙ্গো। ম্যাচটি অবশ্য টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের অংশ হবে না।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপে বাংলাদেশ দলের প্রথম ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে তাদের মাটিতে। সেখানে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। বুধবার মিরপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে টাইগার দলের নবনিযুক্ত প্রধান কোচ বলেন,‘ আমি এ ধরনের প্রত্যাশা ও চাপের সঙ্গে পরিচিত। সুতরাং আমি সামনের দিকে তাকিয়ে আছি।’

ডোমিঙ্গো বলেন, ‘গত দুই বছর আমি কোন দলের সঙ্গে ছিলাম না। আমি দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দলের হয়ে কাজ করেছি। আবারো কাজ শুরুর জন্য আমি মুখিয়ে আছি। প্রচুর লোকের সঙ্গে কাজ করতে চাই। ক্রিকেট নিয়ে কাজ করতে চাই। ভাবতে চাই নির্বাচন ও কৌশল প্রণয়ন নিয়ে। কারণ একবার দূরে চলে যাবার পর দুই বছরের জন্য এই চুক্তি আমার কাছে দারুন ব্যাপার।’

দক্ষিন আফ্রিকান এই কোচ বলেন,‘ কোচ হিসেবে আপনাকে তো চাপ নিতেই হবে। সেটি আপনি উপভোগ করবেন। আপনি কোন দলকে প্রশিক্ষন দিচ্ছেন সেটি বিবেচ্য বিষয় নয়, সব সময়ই জয়ের জন্য একটি চাপ থাকে। আমরা যদি জানি প্রতিটি ম্যাচেই জয় পেতে যাচ্ছি, তাহলে সেটি হতো বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বিরক্তিকর কাজ। এই কাজের সবচেয়ে উপভোগ্য বিষয় হচ্ছে জয়ের চাপ।’

ডোমিঙ্গো মনে করেন, নিয়মিত খেলতে না পারার কারণেই টেস্টে বাংলাদেশ দলের এই ঘাটতি। তবে দীর্ঘ ফর্মেটের এই ক্রিকেটের জন্য টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ একটি দারুন প্লাটফর্ম তৈরী করেছে। আপনি যদি নিয়মিত টেস্ট খেলতে না পারেন তাহলে এর ছন্দ ধরে রাখা কঠিন। নতুন এই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের কারণে দল গুলো বেশী বেশী টেস্ট ম্যাচ খেলার দিকে মনোযোগ দিবে।

আমরা জানি বাংলাদেশ বেশীরভাগ সময় এক বা দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলে থাকে। আশা করি এখন থেকে তিন বা চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে পারবে টাইগাররা। যা এই ফর্মেটে তাদেরকে আরো বেশী করে মানিয়ে নিতে সহায়তা করবে। আমরা বেশীরভাগ সময় সাদা বলের দিকেই মনোযোগী থাকি। তবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের কারণে শুধুমাত্র বিশ্বকাপ বা ৫০ ওভারের ম্যাচের দিক থেকে মনোযোগ সরে যাবে। সুতরাং লাল বলের দিকে আরো বেশী মনোযোগ দেয়ার জন্য এটি একটি ভাল সুচনা।’

ডোমিঙ্গো বলেন, নিয়মিত টেস্ট খেলার জন্য এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সুযোগ। সম্ভবত ছয়মাস আগে সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। কখন হয়েছে তা মনে করাই কঠিন। আপনি এটি যত বেশী খেলবেন তত বেশী এর সঙ্গে খাপ খাবেন। সম্ভবত এটিই হচ্ছে বাংলাদেশ দলের বড় ঘাটতি। তারা খুব বেশী টেস্ট ম্যাচ খেলতে পারেনি। আপনি যদি ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের দিকে তাকান, তাহলে তাদের টেস্ট ম্যাচের সংখ্যার সঙ্গে বাংলাদেশ দলের খেলার সংখ্যা মেলালেই আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। এ কারণেই এই ফর্মেটে তারা নেতৃত্ব দিচ্ছে।’

সবশেষে প্রত্যাশাকে সামলে নিয়ে টাইগারদের নিয়ে এগিয়ে যাবার জন্য অপেক্ষা করছেন বলে জানিয়েছেন ডোমিঙ্গো।

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর