১৭ অক্টোবর, ২০১৯ ১৩:০১

'স্যালুট' নিয়ে বিপাকে জার্মান-তুর্কি ফুটবলাররা

অনলাইন ডেস্ক

'স্যালুট' নিয়ে বিপাকে জার্মান-তুর্কি ফুটবলাররা

ফুটবল মাঠেও প্রভাব পড়েছে কুর্দিদের বিরুদ্ধে তুরস্কের সেনা অভিযানের। তুর্কি ফুটবলাররা প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ানোর পর সামরিক কায়দায় যে স্যালুট দেন তার কঠোর সমালোচনা শুরু হয়েছে। বড় বিপাকে আছেন জার্মান-তুর্কি ফুটবলাররাও।

রবিবার সন্ধ্যায় ফ্রান্সের বিরুদ্ধে তুরস্কের খেলায় সমতাসূচক গোলটি করার পরও সতীর্থদের কাছ থেকে একটু দূরে সরে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন কায়ান আয়হান। গোলের আনন্দে তখন মাঠে দাঁড়িয়ে সামরিক কায়দায় স্যালুট দিচ্ছেলেন তার তুর্কি সতীর্থরা। শুধু আয়হান এবং জার্মান ক্লাব ফরচুনা ড্যুসেলডর্ফে তার সতীর্থ কেনান কারামান স্যালুট দেয়া থেকে বিরত ছিলেন। 

এমনকি স্যালুট না দেয়ায় তার এক সতীর্থ খেলোয়াড় তাকে কিছুটা ভর্ৎসনাও করেছেন মনে হয়েছে।

গত সপ্তাহে আরেক খেলায় অবশ্য আলবেনিয়ার বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জয়ের পর স্যালুটে অংশ নিয়েছিলেন আয়হান এবং কারামান। কিন্তু সে কারণে জার্মানির গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হন তারা। খেলোয়াড়দের এই আচরণকে সিরিয়ায় কুর্দিদের বিরুদ্ধে তুর্কিদের সেনা অভিযানের প্রতি সমর্থন হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অধিকাংশ দেশ এই সেনা অভিযান সমর্থন করে না।

শুধু যে তারাই এমন বিপাকে পড়েছেন তা নয়। জার্মান জাতীয় দলের দুই খেলোয়াড় ইলকাই গ্যুনড্যুয়ান এবং এমরেই কানও সম্প্রতি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। তুরস্কের সেনা অভিযান সংক্রান্ত এক ইন্সটাগ্রাম পোস্টে লাইক দিয়েছিলেন তারা। আর সেটাকে সেনা অভিযানের প্রতি সমর্থন হিসেবে বিবেচনা করে নিন্দা করা হয়। 

এসব খেলোয়াড়ের পক্ষে তাদের সতীর্থরা দাঁড়ালেও চ্যাংক শাহিনের ক্ষেত্রে বিষয়টি অনেক জটিল হয়ে গেছে। তুর্কি সেনাবাহিনীর পক্ষে ইন্সটাগ্রামে এক পোস্ট দেয়ায় জার্মান ক্লাব সেন্ট পাওলি তাকে দল থেকে বের করে দিয়েছে। শাহিনের এমন আচরণ ক্লাবটির নীতির সঙ্গে মানানসই নয় বলেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শাহিন অবশ্য সেই ঘটনার পর তুরস্কে গিয়ে একটি ফুটবল ক্লাবে যোগ দিয়েছেন যেটি তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা পায়।

ইউরোপের ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা খেলার মাঠে কোন রকম রাজনৈতিক বিবৃতি প্রদানকে সমর্থন করে না। সিরিয়ায় তুরস্কের সামরিক অভিযানের কারণে তাই তুর্কি বংশোদ্ভূত জার্মান খেলোয়াড়দের রাজনীতি থেকে দূরে থাকা উচিত বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।-ডয়চে ভেলে

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

সর্বশেষ খবর