টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের বিপক্ষে হারের পর সমালোচনায় পিষ্ট হয়েছিল পাকিস্তান। সেই সময় সমালোচনার জবাব দিতে শাহীন শাহ আফ্রিদি বলেছিলেন, পাকিস্তান গলির দল নয়। এরপর আবার ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয় পাকিস্তান। মুলতান টেস্টেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারতে হয়। এরপরই পাকিস্তানকে পাড়ার দলের সঙ্গে তুলনা করেছেন কামরান আকমল।
রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে হারার দুঃখ ঘুচে যাওয়ার আগেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছে পাকিস্তান। লম্বা সময় ধরে ঘরের মাঠে জিততে পারছেন না শান মাসুদরা। মুলতান টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হার পরিসংখ্যানে যোগ করে নতুন মাত্র।
আব্দুল্লাহ শফিক, মাসুদ ও আঘা সালমানের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৫৫৬ রানের পুঁজি পায় পাকিস্তান। এমন ব্যাটিং পারফরম্যান্সে নিশ্চিতভাবেই খুশি হয়েছিলেন দেশটির সমর্থকরা। যদিও সেই আনন্দ মিলিয়ে গেছে একদিন পার হতেই। মুলতানের ব্যাটিং স্বর্গে জো রুট ও হ্যারি ব্রুক রীতিমতো কাঁদিয়ে ছেড়েছেন মিলে শাহীন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, আমের জামালদের। দলের ৬ বোলারই একশর বেশি রান দিয়েছেন।সফরকারীদের ৮২৩ রানের জবাবে ম্যাচ বাঁচাতে পাকিস্তানকে দেড় দিন টিকে থাকতে হতো। অথচ ঘরের মাঠে সেটিই করে দেখাতে পারেননি বাবর আজমরা। ব্যাটিং ব্যর্থতায় ২২০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর স্বাগতিকদের হারতে হয়েছে ইনিংস ব্যবধানে। টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে প্রথম ইনিংসে পাঁচশর বেশি রান করার পর ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে পাকিস্তান। বাবরদের এমন পারফরম্যান্সের পর পাকিস্তানকে ধুয়ে দিয়েছেন কামরান।
পাকিস্তানের সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটার বলেন, পাকিস্তান যেভাবে হেরেছে তাতে নিশ্চিত পুরো বিশ্ব অবাক হবে। কেউই এটা বিশ্বাস করবে না। পাকিস্তান অনেকটা পাড়ার দলের মতো হয়ে গেছে। এমনকি একটা ক্লাবের দলও এমন পারফর্ম করে না। বর্তমানে এটাই আমাদের স্ট্যান্ডার্ড। আমরা শুধু ছোট দলের সঙ্গেই জিততে পারি, কিন্তু বড় দলের বিপক্ষে জয়ের কাছেও যেতে পারি না। পাকিস্তানকে দেখে পুরো বিশ্ব হাসছে।
ক্রিকেটারদের নিয়েও অভিযোগ কামরানের। গুঞ্জন আছে, দেশটির বেশিরভাগ ক্রিকেটারই দলের চেয়ে নিজের ব্যক্তিগত রেকর্ডকে বেশি প্রাধান্য দেন। পাকিস্তানের সাবেক উইকেটকিপারের চাওয়া, এমন ক্রিকেটারকে খুঁজে বের করে দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক। ঘরের মাঠে টানা ১১ টেস্টে হারা পাকিস্তানের পারফরম্যান্সকে লজ্জাজনক হিসেবে দেখছেন তিনি।
কামরান বলেন, পাকিস্তানের অ্যাপ্রোচ অনেকটা স্বার্থপরের মতো। আমাদের দেশে খেলোয়াড়েরা নিজেদের ব্যক্তিগত মাইলস্টোনের জন্য খেলে এবং তারপর দলের কথা ভাবে। অধিনায়কের কাছে জানতে চাওয়া উচিত এটার সঙ্গে কোন কোন ক্রিকেটাররা জড়িত। এটার তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। পারফরম্যান্স ছাড়াই আপনি তাদের বাড়তি সুবিধা দিচ্ছেন। পুরো বিশ্ব পাকিস্তানের সঙ্গে রেকর্ড করার জন্য খেলছে। লজ্জাজনক পারফরম্যান্স।
বিডি প্রতিদিন/কেএ