৪ মে, ২০২১ ১১:২৩

মার্কিন প্রযুক্তি পাচারের স্বীকারোক্তি চীনা ব্যবসায়ীর

অনলাইন ডেস্ক

মার্কিন প্রযুক্তি পাচারের স্বীকারোক্তি চীনা ব্যবসায়ীর

সংগৃহীত ছবি

কিন শুরেন একজন সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী এবং সমুদ্রবিজ্ঞানের যন্ত্রপাতি বিক্রেতা একটি কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা। চীনা সামরিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য পানির নিচে ড্রোন তৈরির সামুদ্রিক প্রযুক্তি যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাচার করার কথা স্বীকার করেছেন।   

বোস্টন ফেডারেল আদালতে তিনি স্বীকার করেছেন, পানির নিচে শব্দ পর্যবেক্ষণ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে, হাইড্রোফোন নামের একটি যন্ত্রের প্রযুক্তি তিনি চীনে পাচার করেছেন। তিনি এক লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের ৬০টি হাইড্রোফোনের বিষয়ে অভিযোগ স্বীকার করেছেন।  

ম্যাসাচুসেটসের ওয়েলেসলিতে বসবাসকারী কিনের রপ্তানি লঙ্ঘনের ষড়যন্ত্র, ভিসা জালিয়াতি, অর্থ পাচার এবং চোরাচালানসহ ১০টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন। এছাড়াও ২০১৮ সালে চীনের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান মার্কিন উদ্বেগের মধ্যে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। 

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জন ডেমার্স গত ২৮ এপ্রিল জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সেমিনারে বলেন, 'বাইডেন প্রশাসনের বিচার বিভাগের অধীনে চীনা গুপ্তচরবৃত্তি এবং প্রযুক্তি চুরির মামলা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়েছে।'

প্রসিকিউটররা এর আগে ৪৫ বছর বয়সী কিনের বিরুদ্ধে মানববিহীন যানবাহন এবং রোবোটিক নৌকা রপ্তানির অভিযোগ এনেছিলেন এবং অভিযোগ করেছিলেন যে তিনি ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চীনা সরকার নিয়ন্ত্রিত সংস্থাগুলিকে ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পণ্য সরবরাহ করেছিলেন।

প্রতিরক্ষা আইনজীবীরা বলেন, 'কিন ২০০৫ সালে বিজ্ঞানীদের সমুদ্রবিজ্ঞানের সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য চীনে লিঙ্কওশান টেকনোলজিস প্রতিষ্ঠা করেন এবং স্থায়ী বাসিন্দা হিসাবে ২০১৪ সালে তার পরিবারের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসিত হন।'

প্রসিকিউটররা বলেন, 'চীনের সামরিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান নর্থওয়েস্টার্ন পলিটেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কিনকে সাবমেরিন বিরোধী যুদ্ধের জন্য ব্যবহৃত জিনিসপত্র পাওয়ার দায়িত্ব দেয়। তিনি একটি মার্কিন প্রস্তুতকারকের কাছ থেকে হাইড্রোফোন সংগ্রহ করেন।'  

 

বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর