গত মাসে উত্তর গোলার্ধের আকাশে এক বিরল দৃশ্য দেখা গেছে। একসঙ্গে দুটি ধূমকেতুর উপস্থিতি। ‘সি/২০২৫ আর২’ ধূমকেতুটি ১৯ অক্টোবর এবং ‘সি/২০২৫ এ৬’ ধূমকেতুটি ২১ অক্টোবর পৃথিবীর কাছাকাছি এসেছিল। পাশাপাশি কিছু গ্রহাণুও এ সময় পৃথিবীর নিকটে অবস্থান করেছিল বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। সাধারণত বেশির ভাগ গ্রহাণু অবস্থান করে মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝামাঝি এক অঞ্চলে, যাকে বলা হয় ‘গ্রহাণুবলয়’। তবে মাঝেমধ্যে কিছু গ্রহাণু পৃথিবীর কক্ষপথের কাছাকাছিও চলে আসে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ধারণা, পৃথিবীর নিকটে আসার সময় এগুলো আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠতে পারে। তবে ‘সি/২০২৫ এ৬’ নিয়ে তারা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নন।
ধূমকেতু ও গ্রহাণুর মধ্যে পার্থক্য
গ্রহাণু হচ্ছে পাথরের তৈরি স্থির বস্তু, যেগুলো সূর্যের আশপাশে নিয়মিতভাবে ঘুরে বেড়ায়। এগুলো অনেকটা পৃথিবী বা অন্যান্য গ্রহের মতো। এটি মূলত পাথরের তৈরি শক্ত ও স্থিতিশীল বস্তু, যা নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘোরে। অন্যদিকে ধূমকেতু হলো বরফ, ধুলা ও গ্যাসের মিশ্রণে তৈরি অস্থিতিশীল খগোলীয় বস্তু।
সূর্যের আলো ও তাপে এর ভিতরের বরফ গলে গেলে গ্যাস ও ধুলা ছিটকে বের হয় এবং সূর্যের বিপরীত দিকে লম্বা লেজের মতো রেখা তৈরি করে, যা ধূমকেতুর সবচেয়ে চেনা বৈশিষ্ট্য। ধূমকেতুকে অনেক সময় ‘বরফের নোংরা বল’ বলা হয়। সূর্যের কাছে এলে এটি আরও উজ্জ্বল হয়, আবার কখনো দ্রুত গলে ম্লানও হয়ে যায়। তাই পৃথিবীর কাছাকাছি এলেও খালি চোখে দেখা যাবে কি না, তা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। নতুন এই দুই ধূমকেতুর আচরণ এখনো পর্যবেক্ষণের মধ্যে রয়েছে।
তথ্যসূত্র : সায়েন্স ফোকাস