দেশের নতুন বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহের নাগরিক বিনোদনে নির্ভরতার জায়গা করে নিয়েছে জয়নুল উদ্যান। শতবর্ষের প্রাচীন সাহেব কোয়ার্টার পার্কটিকে বছর দুয়েক আগে উন্নয়ন আর সংস্কারের মাধ্যমে নয়নাভিরাম রূপ দিয়েছে ময়মনসিংহ পৌরসভা। জয়নুল পার্কের ভিতরে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা ও বৈশাখী মঞ্চ। প্রতিদিন সকালে প্রাতঃভ্রমণ থেকে শুরু করে বিকালে অবকাশ যাপন, চিত্তবিনোদন ও সময় কাটানোর জন্য আসেন শত শত শিশু, নারী-পুরুষ, বৃদ্ধা-যুবা, কিশোর-কিশোরী।
টাইলসে মোড়ানো বেঞ্চ, হাঁটার পথ, ফুলের বাগান কী নেই এখানে। রয়েছে ফোয়ারা, ব্যায়ামাগার, বিশ্রামের স্থান, নামাজের স্থানসহ আরও কতকিছু। শিশুদের জন্য রয়েছে স্পেশাল রাইডও। এ পার্কের পাশ দিয়েই বয়ে চলেছে খরস্রোতা মনোরম ব্রহ্মপুত্র নদ।
চিত্তবিনোদনের জন্য আগতদের বিশেষ আকর্ষণ মিনি চিড়িয়াখানা। এতে রয়েছে অজগর, ময়ূর, বানর ও বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। হরিণ, ভাল্লুক ও কুমির। সব বয়সী মানুষ এখানে দর্শনার্থী। প্রবেশমূল্য শিশুদের ১০ টাকা, বড়দের ১৫ টাকা।পার্কে শিশু নিয়ে ঘুরতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী কবির উদ্দিন। স্পেশাল রাইডে নিজের সন্তানকে চড়িয়ে দাঁড়িয়েছিলেন পাশেই। তিনি বলেন, পার্কের ভিতরের স্টিলের পাইপের সীমানা প্রাচীর, পাকা স্ল্যাপের হাঁটার পথ, ফুলের বাগান, ঝরনা আর পরিবেশ দৃষ্টিনন্দন। থ্যাঙ্কস মেয়র।
নতুন আদলে এ পার্কটিকে গড়তে ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র ইকরামুল হক টিটু নানা উদ্যোগ নেন। তার উদ্যোগে উন্নয়ন ও সংস্কার কাজে নতুন করে প্রাণ ফিরে পায় জয়নুল উদ্যান পার্ক।
প্রেসক্লাব ময়মনসিংহের সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুল আলম খান বলেন, দীর্ঘদিন যাবত্ নগরবাসীর চিত্তবিনোদনের কোনো স্থান ছিল না। একমাত্র সাহেব কোয়ার্টার পার্কেরও ছিল ভঙ্গুর দশা। এখন নগরবাসীর বিনোদন কেন্দ্র বলতেই জয়নুল উদ্যান।
এ পার্ক নিয়ে সবাই গর্ব করতে পারে। এত সুন্দর পার্ক দেশে খুব কমই রয়েছে—বললেন পার্কে ঘুরতে আসা এক তরুণ। প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে বৈশাখী মঞ্চ-২’র সামনে বসেছিলেন তিনি।
পৌরসভার মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, পরিকল্পিতভাবে জয়নুল উদ্যান পার্কে মনোরম পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এখানে সবাই এসে বুকভরে নিঃশ্বাস নিতে পারে।