মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

কারখানার বর্জ্যে বেহাল পরিবেশ

আফজাল, টঙ্গী

কারখানার বর্জ্যে বেহাল পরিবেশ

গাজীপুর মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় ওয়াশিং, ডাইং ও কেমিক্যাল কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে দূষিত হয়ে পড়েছে নাগরিক পরিবেশ। অনেক কারখানায় নেই ইটিপি আবার কিছু কারখনায় ইটিপি থাকলেও শতভাগ ব্যবহার হচ্ছে না। কেউ কেউ ইটিপি স্থাপনের নামে বছরের পর বছর ধরে কালক্ষেপণ করেছেন। পরিবেশ অধিদফতর এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করলেও কারখানা কর্তৃপক্ষের সংশোধনের কোনো চেষ্টা নেই। যেসব প্রতিষ্ঠান ইটিপি ব্যবহার না করে পরিবেশ দূষণ করে ব্যবসা করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন নগরবাসী। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ওয়াশিং, ডাইং ও কেমিক্যাল কারখানার বিষাক্ত তরল বর্জ্যে তুরাগ নদের পানি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অসাধু কারখানা কর্তৃপক্ষ  দূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় দূষণের মাত্রা বেড়েই চলছে। এরমধ্যে টঙ্গী শিলমুন, মরকুন,  গোপালপুর, পাগাড়, বিসিক, আরিচপুর, দত্তপাড়া, এরশাদনগর, দেওড়া, মুদাফা, আউচপাড়া, গাজীপুরা, খরতৈল, মিরেরবাজার, পূবাইল, বড়বাড়ি, গাছা, বাসন, জয়দেবপুর, কাশেমপুর, কোনাবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় কারখানার বিষাক্ত তরল বর্জ্যে স্থানীয় ফসল ও চাষাবাদের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ঘরে ঘরে এখন ওয়াশিং কারখানা। এসব কারখানায় নেই পরিবেশ ছাড়পত্র, নেই ফায়ার লাইসেন্স, নেই ইটিপি। আবার অনেক কারখানায় ইটিপি থাকলেও তা শতভাগ ব্যবহার হচ্ছে না। এতে করে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। পরিবেশ অধিদফতর কঠোর ব্যবস্থা না নিলে দিন দিন ব্যাঙের ছাতার মতোই এসব প্রতিষ্ঠান বাড়তে থাকবে। টঙ্গী ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড শিলমুন ফ্যাশন ডিজাইন কারখানার মালিক সেলিম আহমেদ বলেন, আমার ইটিপি নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে, আশা করি এ বছরের মধ্যেই ইটিপি চালু করা সম্ভব হবে। এভারওয়ে ডাইং কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুমন আহম্মেদ বলেন, শতভাগ ইটিপি ব্যবহার ও পরিবেশ অধিদফতরের নিয়ম-কানুন মেনেই আমাদের কারখানা চলছে। অনেকের ইটিপি আছে ব্যবহার হচ্ছে না, ফলে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। গাজীপুর পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবদুল সালাম সরকার বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান কারখানার তরল বর্জ্য নির্গতের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ করছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর