মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

পায়রার আড়ালে তিনকোনা ভবন

নজরুল মৃধা, রংপুর

পায়রার আড়ালে তিনকোনা ভবন

রংপুর নগরীর পায়রা চত্বর। একটি ব্যস্ততম সড়কের মোড়। এখান থেকে একাধিক পথে যাওয়া যায় বলে প্রতিদিন এখানে যানজট লেগেই থাকে। যে স্থানে এখন পায়রা চত্বর সেখানে এক সময় তিনকোনা আকৃতির একটি তিনতলা ভবন ছিল। এই ভবনে তখন ছিল প্রেস ক্লাব, একটি পেট্রল পাম্প, ওষুধের দোকান, পান দোকান, পত্রিকা বিপণি কেন্দ্রসহ বেশ কিছু বিপণি বিতান। তখন এই স্থানটিকে মানুষ ডাকত তিনকোনা মোড়। সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত এইচ এম এরশাদের আমলে ওই স্থানটি ভেঙে ফেলা হয়। এর পর রংপুর পৌরসভার প্রয়াত চেয়ারম্যান সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু তিনকোনা ভবনের স্থানে পায়রা ভাস্কর্য স্থাপন করেন। তখন থেকেই এই স্থানটির নাম পায়রা চত্বর। এই প্রজন্মের কাছে তিনকোনা বিল্ডিংয়ের ইতিহাস অজনা। নগরীর জাহাজ কোম্পানি মোড় থেকে সোজা উত্তরে সামান্য কিছু দূরেই পায়রা চত্বরের অবস্থান। এই চত্বরে শান্তির প্রতীক পায়রা পাখা মেলে আকাশ পানে তাকিয়ে আছে। পায়রার নিচের অংশজুড়ে আছে ভাষা শহীদদের প্রতিকৃতি, আন্দোলনের প্রতিচ্ছবি আর একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ হওয়া কয়েকজনের মুখোচ্ছবি। মুক্ত পায়রায় জড়িয়ে আছে লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা আর জাতীয় সংগীতের প্রথম দুই চরণ। আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি। এখনো ওই পথে প্রবীণরা যাতায়াতের সময় তিনকোনা মোড় বলে ডাকে। তবে পায়রা ভাস্কর্যের আড়ালে হারিয়ে গেছে তিনকোনা মোড়ের নামকরণ।

রংপুর প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি আবু তালেব তিনকোনা মোড় সম্পর্কে বলেন, এক সময় এই ভবনেই প্রেস ক্লাব ছিল। শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আড্ডাস্থল ছিল তিনকোনা ভবনের প্রেস ক্লাব। এখন অন্যত্র প্রেস ক্লাবের পাঁচতলা ভবন হলেও অতীত তিনকোনা ভবনের মাঝেই নিহিত রয়েছে।  তিনি এই প্রজন্মের কাছে নগরীর অন্য ঐতিহাসিক মোড়গুলোর ইতিহাস তুলে ধরার আহ্বান জানান।

সর্বশেষ খবর