মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

বর্জ্য থেকে হবে জৈবসার

নজরুল মৃধা, রংপুর

বর্জ্য থেকে হবে জৈবসার

রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকার নাছনিয়ায় বর্জ্য থেকে জৈবসার তৈরির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে পয়লা জুন থেকে। বাছাই করা প্রয়োজনীয় পচনশীল বর্জ্য থেকে এ সার তৈরি করে বাজারজাত করা হবে। এসব জৈবসার ব্যবহারে ফসলের উৎপাদনও ভালো হবে।

রি-গ্রিন নামে একটি প্রতিষ্ঠান বাছাই করা প্রয়োজনীয় পচনশীল বর্জ্য দিয়ে সার তৈরি করবে। সার তৈরির জন্য সেখানে ২১টি প্রকোষ্ঠ আছে। প্রতিটি প্রায় ২১০ বর্গফুট আয়তনের। এসবে প্রায় ১৫ টন পচনশীল বর্জ্যরে ধারণক্ষমতা রয়েছে। এখানে পচনশীল বর্জ্য ৩০ থেকে ৩৩ দিন রাখা হলে পুরোটা পচে যায়। এরপর চালনি দিয়ে ছেঁকে ভরা হয় বস্তায়। প্রতিদিন ১ টন বর্জ্য পরিশোধন করা হবে। ওই পরিমাণ বর্জ্য থেকে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ কেজি সার পাওয়া যাবে। নগরীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বর্জ্য ভাগাড়ে না রেখে সার উৎপাদন শুরু করবে রসিক- এটি অনন্য উদ্যোগ বলে মনে করছেন সুধীজনরা। বর্জ্য থেকে জৈবসার তৈরিতে একদিকে যেমন নগরবাসী আবর্জনার উৎকট দুর্গন্ধ থেকে রেহাই পাবেন, অন্যদিকে এ খাত থেকে রসিক আয়ও করতে পারবে।

সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, পচনশীল বর্জ্য থেকে প্রক্রিয়াজাত করে জৈবসার তৈরি করার জন্য ২০১৬ সালে নাচনিয়ায় প্রায় ১ একর জমির ওপর এ প্লান্ট গড়ে তোলা হয়। বাস্তবায়নে থাকে পরিবেশ অধিদফতর। এতে ব্যয় ধরা হয় সোয়া ২ কোটি টাকা। বাছাই করা পচনশীল বর্জ্য সরবরাহ না থাকায় কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর বন্ধ থাকার পর এটি আবার চালু হচ্ছে।

সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মিজু বলেন, সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন বর্জ্যরে পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১০০ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ট্রাক ও ভ্যানে করে ৬০ থেকে ৬৫ মেট্রিক টন বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়। এই কাজে নিয়োজিত আছেন ৬৮০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী। রি-গ্রিন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মামুন ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন প্রকল্পটি বন্ধ ছিল। আশা করি আগামী মাসের প্রথম দিন থেকে বর্জ্য থেকে সার উৎপাদনের কার্যক্রম চালু হবে। রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, বর্জ্য থেকে জৈবসার উৎপাদন হলে কৃষিক্ষেত্রে ওই সার কৃষকরা ব্যবহার করতে পারবেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর