সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) প্রতিষ্ঠার পর থেকে নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনে বিভিন্ন সময় সড়কের গোলচত্বরে স্থাপনা নির্মাণ করেছে নগর কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠার ২২ বছরে বিভিন্ন গোলচত্বরে অন্তত ১০ থেকে ১৫টি স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। এগুলোর কোনোটি সিসিকের নিজস্ব অর্থায়নে আবার কোনোটি দাতা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। প্রতিষ্ঠালগ্নে এসব স্থাপনা নগরবাসীর কাজে এলেও এখন সেগুলো চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। অপরিকল্পিতভাবে সড়ক প্রশস্ত করার কারণে অধিকাংশ চত্বরের স্থাপনাই এখন সড়কের এক পাশে চলে গেছে। কোনোটি সড়কের চত্বরের মাঝখানে থাকলেও নিয়ম মেনে সেগুলো ঘুরে যান চলাচল করছে না। এ পরিস্থিতিতে কয়েকটি চত্বরের স্থাপনা ‘ট্রাফিক সায়েন্সের’ সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে দাবি করছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। এসব চত্বরের স্থাপনা অপসারণ অথবা পুনর্বিন্যাসের জন্য সিটি করপোরেশনকে প্রস্তাবনা দিয়েছে এসএমপি। অপরিকল্পিতভাবে সড়ক প্রশস্ত করায় নগরীর হুমায়ুন রশিদ চত্বর, নাইরপুল, নয়াসড়ক, কোর্টপয়েন্ট, রিকাবীবাজার, আম্বরখানা, বর্ণমালা পয়েন্টসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টের স্থাপনা সড়কের এক পাশে চলে গেছে। কোনোটির কারণে আবার যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। একই অবস্থা অন্যান্য চত্বরেও। ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বরত কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সড়ক প্রশস্ত করার কারণে আম্বরখানা চত্বরে নির্মিত স্থাপনাটি এক পাশে চলে গেছে। এতে যানবাহন শৃঙ্খলায় আনতে আরও কষ্ট হচ্ছে। স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ রাজন দাশ বলেন, ছোট সড়কে বিউটিফিকেশনের নামে অপরিকল্পিত স্তম্ভ নির্মাণ করা হচ্ছে। এটা ঠিক নয়। আগে শহরকে তৈরি করতে হবে। পরে শহরকে সাজাতে হবে। বিশেষ করে খুব গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে শহরে খোলা জায়গা রাখা। তিনি বলেন, ‘পরিকল্পনামাফিক না এগোলে পাঁচ বছর পর সিলেট নগরীতে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে। আর ১০ বছর পর যে অবস্থা হবে, তখন আমাদের কিছু করার থাকবে না। সিটি করপোরেশনে অনেক কাজ হয়েছে কিন্তু পরিকল্পনার অভাব ছিল। এখন থেকে মাস্টারপ্ল্যান করেই এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন এ স্থপতি। নগরীর যেসব গোলচত্বরের স্থাপনাগুলো ‘ট্রাফিক সায়েন্সের’ সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে দাঁড়িয়েছে সেগুলো অপসারণ করতে চায় ট্রাফিক বিভাগ। এ নিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকে এসব স্থাপনা অপসারণ করাসহ নগরীর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বেশ কয়েকটি প্রস্তাবনা দিয়েছে এসএমপি। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘নগরীর বিভিন্ন চত্বরের মধ্যে হুমায়ুন রশিদ চত্বর কোনোভাবেই ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সঙ্গে যায় না। এটা সম্পূর্ণ অপরিকল্পিত একটি চত্বর। এটা ত্রিভুজ আকৃতির। এখানে ট্রাফিককে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এটা অপসারণ করতে হবে নতুবা পুনর্বিন্যাস করতে হবে।
শিরোনাম
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)
- বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
- নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে
- সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭
- এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
- ১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের
- মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
- উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা
- চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী
- শ্রোতাদের জন্য হাবিবের নতুন গান ‘দিলানা’
- কোটি মানুষের একটাই দাবি—ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া : মঈন খান
- পঞ্চগড়ে বিএনপির মৌন মিছিল
- ইন্টারনেট শাটডাউন রোধে আসছে আইন : ফয়েজ আহমদ
- কাপ্তাই হ্রদের উন্নয়নে দুই উপদেষ্টার মতবিনিময়
- সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস
- চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন
- সুনামগঞ্জে পানিতে ডুবে ৩ জনের মৃত্যু
- মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ
- বাফুফের ফুটসাল ট্রায়াল শুরু রবিবার
- গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল