শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ আপডেট:

মুচি থেকে বিশ্বসেরা অ্যাডিডাসের মালিক

আবদুল কাদের
প্রিন্ট ভার্সন
মুচি থেকে বিশ্বসেরা অ্যাডিডাসের মালিক

অ্যাডলফ ডাসলারের অ্যাডিডাসের শুরুটা একটি সাধারণ ঘর থেকে; পরবর্র্তীকালে সেরা স্পোর্টস সু ব্র্যান্ডের মালিক হিসেবে করেছেন বিশ্বজয়। এর মধ্যে বড় লক্ষ্য অর্জন করেছেন। কখনো কখনো লক্ষ্য অর্জনে করেছেন কঠিন লড়াই। ধীরে ধীরে এগিয়ে গেছেন ভবিষ্যতের অপেক্ষায়। আর মনে রেখেছেন কোথা থেকে উঠে এসেছেন তিনি এবং তাঁর প্রতিষ্ঠান...

 

অ্যাডলফ ডাসলারের বিস্ময়কর উত্থান

প্রতিটি দুর্দান্ত গল্পের শুরু থাকে। বিশ্বসেরা অ্যাডিডাস এজিরও একটি শুরুর গল্প রয়েছে। আর সেই গল্পের সফল কোম্পানিটির পথচলা শুরু হয়েছিল অ্যাডলফ ডাসলারের হাত ধরে। জার্মানির ছোট্ট একটি শহরে। অ্যাডিডাসের সফলতার মূল কারিগর প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডলফ ডাসলার। তাঁর নাম অ্যাডলফ অ্যাডি ডাসলার। সবাই তাঁকে অ্যাডি (আদি) বলেও ডাকতেন। জন্ম ও বেড়ে ওঠা জার্মানির হরজোজেনাউয়াচ শহরে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকে ফিরে মায়ের রান্নাঘরে বসেই নিজের স্পোর্টস সু তৈরি করেন তিনি। বাবা ক্রিস্টোফ ভন উইলহেল্ম ডাসলার জুতা কারখানার শ্রমিক হওয়ার সুবাদে বাবার হাত ধরেই জুতা বানানোর হাতেখড়ি হয়েছিল অ্যাডলফ ডাসলারের। অন্যদিকে জেহলিন ভাইয়েরা স্পোর্টস সুর স্পাইক বানাতেন নিজেদের কামারশালায়। সবাই অ্যাডলফ ডাসলারকে সাহায্য করেন জুতার ব্যবসা শুরু করতে। আর ১৯২৪ সালে বড় ভাই রুডলফ ডাসলার যোগ দেন। দুই ভাই মিলে প্রতিষ্ঠানের নাম দেন জিবারডার ডাসলার সু ফেব্রিক বা ডাসলার ব্রাদার্স সু ফ্যাক্টরি। আন্তর্জাতিক নানা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক পেতে থাকে জার্মান অ্যাথলেটরা। যার একটা বড় কৃতিত্ব পাচ্ছিলেন ডাসলার ব্রাদার্স। ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে আর্থিক মন্দায় অনেক কোম্পানি বন্ধ হয়ে যেতে থাকে। শ্রমিক পাওয়ায় দুষ্কর হয়ে পড়ে, কারণ বেশির ভাগ মানুষকে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়। যুদ্ধের প্রথম দিকে ‘ড্যাজলার ব্রাদার্স সু ফ্যাক্টরির’ দায়িত্ব নেয় রুডলফ ডাসলার। ১৯৪০ সালে যুদ্ধে চলে যান অ্যাডলফ। তবে কোম্পানিতে তাঁর প্রয়োজন অনেক বেশি- এমন অনুভব থেকে ছাড়পত্র নিয়ে চলে আসেন। নানা কারণে দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে। যার ফলে তারা বেশি দিন একসঙ্গে থাকতে পারেননি। এদিকে নিজের কারিগরি দক্ষতাকে পুঁজি করে ১৯৪৮ সালে অ্যাডিডাস প্রতিষ্ঠা করেন অ্যাডলফ ডাসলার। ৪৭ জন কর্মচারী নিয়ে ছোট্ট হারজোজেনাউয়াচ শহরে জুতার ফ্যাক্টরি স্থাপন করেন। একই দিনে একটি জুতারও নিবন্ধন করেন তিনি। এটি ছিল অ্যাডিডাসের বিখ্যাত থ্রি স্ট্রাইপ জুতা। এর কয়েক বছর পর, শুরু হয় ১৯৫৪ বিশ্বকাপ আসর, জার্মান ফুটবল দল যখন অপরাজিত হাঙ্গেরিদের মুখোমুখি হয়েছিল। সেবার জার্মান ফুটবল দল শক্তিশালী হাঙ্গেরিকে হারায়। এতেই অ্যাডিডাসের বাজিমাত। কারণ জার্মান ফুটবলারদের পায়ে ছিল অ্যাডিডাসের ফুটবল বুট। এসব বুট ছিল প্রচলিত ইংলিশ বুটের চেয়ে হালকা ও আরামদায়ক। অ্যাডিডাস বিদেশি গণমাধ্যমের নজর কাড়লে তিনি সুযোগ কাজে লাগান।

নাইকি ও পুমার মতো সেরা সেরা স্পোর্টস সু ব্র্যান্ডকে হারিয়ে কীভাবে নিজেকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে সে ভাবনায় বিভোর থাকতেন অ্যাডলফ। তাই তিনি জুতা বানানোর পাশাপাশি খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিশতেন, বিশ্বের সেরা অ্যাথলেটদের আস্থা অর্জন করেছিলেন অ্যাডলফ ডাসলার। অ্যাথলেটদের কাছ থেকে তিনি শুনতেন তাদের কী প্রয়োজন, কোথায় অসুবিধা। এসবের প্রতিফলন ঘটাতেন তাঁর পণ্যে। ১৯৬৭ সালের আগ পর্যন্ত অ্যাডলফের অ্যাডিডাস কেবল জুতাই বানিয়েছেন। ১৯৬৭ সালে প্রথমবারের মতো মনোযোগ দিয়েছিলেন ট্র্যাকস্যুটে। আর সেই ট্র্যাকস্যুটটি তৈরি করা হয়েছিল সে সময়ের জার্মান ফুটবলার ফ্রান্ৎস বেকেনবাউয়ারের জন্য। অ্যাডলফ ডাসলার নিজে সব সময় নতুন কিছু উদ্ভাবন বা আবিষ্কার করতে চাইতেন। তাই ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপে অফিশিয়াল ফুটবল ‘টেলস্টার’ সরবরাহ করে অ্যাডিডাস। সাদা-কালো টিভিতে যাতে সহজে চোখে পড়ে সেভাবেই তৈরি হয়েছিল সেই ফুটবলগুলো। পরের বিশ্বকাপগুলোতেও বল সরবরাহ করে সেরা স্পোর্টস ব্র্যান্ড অ্যাডিডাস। ক্রীড়াবিদদের অনেকের পায়ে পৌঁছে যায় অ্যাডিডাসের থ্রি-স্ট্রাইপ জুতা। আর্জেন্টিনার জাতীয় ফুটবল দলের পায়ে ওঠে অ্যাডিডাসের জুতা। অ্যাডিডাসের বুট পায়ে পর্বতারোহণে নিখুঁতভাবে ১০ স্কোর করতে থাকেন অনেক পর্বতারোহী। ১৯৭৮ সালে নিজের ৭৮তম জন্মদিনের কয়েক দিন আগে মারা যান অ্যাডলফ ডাসলার যিনি একা হাতে অ্যাডিডাসের উদ্ভাবনী কর্মকা- এগিয়ে নিচ্ছিলেন।  তাঁর মৃত্যুর পর হাল ধরেন স্ত্রী কেথ এবং ছেলে হর্স্ট ডাসলার। মায়ের মৃত্যুর দুই বছরের মাথায় আকস্মিকভাবে মারা যান হর্স্ট ডাসলারও।

 

দেউলিয়াত্বের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে আসা

ডাসলার পরিবারের নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর অ্যাডিডাসে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। যোগ্য নেতৃত্বের অভাব এবং নানা বিতর্কিত পদক্ষেপের কারণে কোম্পানি দেউলিয়াত্বের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়। তবে সেখান থেকেও ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প রয়েছে। রবার্ট লুইস ড্রিফাস প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব নেন। তাঁর সহকারী হিসেবে ছিলেন ক্রিশ্চিয়ান ট্যুরেস। তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন অ্যাডিডাসের জন্য নতুন উদ্ভাবনের প্রয়োজন নেই। আগে অ্যাডিডাস কেবল বিক্রয়ের ওপর জোর দিত। কিন্তু এবার জোর দিল বিপণন বা প্রচারের ওপর। অবশ্য এ সময়ও যে অ্যডিডাসের উদ্ভাবন থেমে ছিল, তা নয়। অ্যাথলেট এবং খেলোয়াড়দের প্রতিযোগিতায় এগিয়ে দিতে নানা পণ্য নিয়ে আসে তারা। নিজেদের অবস্থান মজবুত হওয়ার পর ১৯৯৭ সালে সালোমন গ্রুপ এবং এর ব্র্যান্ড টেইলর মেড, ম্যাভিক, বনফায়ার ইত্যাদি অধিগ্রহণ করে অ্যাডিডাস-সালোমন এজি নাম ধারণ করে। ২০০৬ সালে সালোমন গ্রুপ আলাদা হয়ে যায়, অ্যাডিডাস এজি নামে কাজ করতে থাকে ডাসলারের প্রতিষ্ঠিত অ্যাডিডাস। এ সময় তারা রিবক এবং এর ব্র্যান্ড রকপোর্ট, রিবক সিসিএম হকি কিনে নেয়। ক্রীড়াসামগ্রী উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ দুটি কোম্পানির একটিতে পরিণত হয় ডাসলারের অ্যাডিডাস।

 

দুই ভাইয়ের ব্যবসায়িক লড়াই

রুডলফ ডাসলার ও ও অ্যাডলফ ডাসলার দুই ভাই। একসঙ্গে ব্যবসা শুরু করলেও ভাতৃদ্বয়ের মিল বেশি দিন টেকেনি। বছর বিশেকের মধ্যে ভাগ হয়ে যায় তাদের কোম্পানি। ব্যবসায়িক মতভেদ আর নানা ঘটনার জেরে দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে। ১৯৪৮ সালে ভাগ হয়ে যায় কোম্পানি। ভাগ হওয়ার দিন দুই ভাইয়ের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছিল, সেটিই ছিল শেষ কথোপকথন। এরপর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আর কথা হয়নি দুই ভাইয়ের মধ্যে। তবে তাদের একই গোরস্থানে সমাহিত করা হয়েছিল। ১৯৪৯ সালে আত্মপ্রকাশ ঘটে অ্যাডলফের অ্যাডিডাস। এর আগের বছরই পুমা কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন রুডলফ। তখন থেকেই চলছে দুই কোম্পানির প্রতিদ্বন্দ্বিতা। হারজোজেনাউয়াচ শহরও যেন দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল। বাইরের কেউ সেখানে গেলে লোকে আগে লক্ষ্য করত পুমা না অ্যাডিডাস কার বুট রয়েছে আগন্তুকের পায়ে। শহরের ফুটবল ক্লাব দুটিও যেন ভাগ হয়ে গিয়েছিল। এএসভি হারজোজেনাউয়াচ ক্লাব অ্যাডিডাসকে সমর্থন করে। ওয়ানএফসি হারজোজেনাউয়াচ ক্লাব সমর্থন করে পুমাকে। তবে এই লড়াইয়ে সব সময় এগিয়ে থাকত অ্যাডিডাসই। দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্ব এখনো বেশ আলোচিত।

 

ধারাবাহিকভাবে সফল অ্যাডিডাস

১৯৬৭ সালে সর্বপ্রথম অ্যাডিডাসের তৈরি স্পোর্টস ওয়্যার পরিধান করেন জার্মানির প্রাক্তন খেলোয়াড় ফ্রান্ৎস বেকেনবাউয়ার। পরবর্তীকালে জিনেদিন জিদান, মাইকেল বালাক ও অ্যালিসন ফেলিক্সের মতো সেরা খেলোয়াড়রাও যুক্ত হয়েছিলেন কোম্পানিটির সঙ্গে। ফুটবল ছাড়াও বাস্কেটবল, গল্ফ, টেনিস, ক্রিকেট, রাগবি, স্কেটবোর্ডিং, জিমন্যাস্টিকসের সঙ্গে অ্যাডিডাস ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অ্যাডিডাসের প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে একটি হলো ফুটবল এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত অসংখ্য সামগ্রী। কোম্পানিটি বায়ার্ন মিউনিখ, এ সি মিলান, চেলসি এবং রিয়াল মাদ্রিদের মতো আন্তর্জাতিক ক্লাবগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় ফুটবল সামগ্রী ও খেলনা সরবরাহ করে থাকে। এ ছাড়া কোম্পানির কৌশলী ভূমিকার মধ্যে রয়েছে সফল খেলোয়াড়দের ওপর স্পন্সর। যা অ্যাডিডাসের প্রসার ও পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।  ফুটবল সামগ্রীসহ আন্তর্জাতিক ম্যাচ ও ক্লাবের ম্যাচে ব্যবহৃত রেফারির সরঞ্জামাদিও বিতরণ করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।

 

অ্যাডিডাসের বিশাল সাম্রাজ্য

২০২০ সালের হিসাব মতে, অ্যাডিডাস কোম্পানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৬.৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মাত্র এক বছর আগেও এর মূল্য ছিল কয়েক মিলিয়ন ডলারের নিচে। এর আগের ইতিহাসটি সবারই জানা। প্রায় এক শতাব্দী আগেও কোম্পানিটি ছোট একটি লন্ড্রি দোকান থেকে কাজ শুরু করেছিল।

অ্যাডিডাসের অধীনে যত ব্র্যান্ড

রিবক : ২০০৫ সালের কোনো এক সময় অ্যাডিডাস প্রকাশ করেছিল যে, তারা রিবককে অর্জন করবে অর্থাৎ কিনে নেবে। যাতে তাদের কোম্পানি বিশ্বসেরা নাইকির সঙ্গে বাজারে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম হয়। ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে তারা রিবককে ৩.৮ বিলিয়ন ডলারে কিনে নেয়।

রানটাস্টিক : ২০১০ সালে খেলার জগৎ প্রযুক্তির সঙ্গে বিকশিত হতে শুরু করে। যার ধারাবাহিকতায় অ্যাডিডাস ২০১৫ সালে ২৪০ মিলিয়ন ডলারে অস্ট্রেলিয়ান ফিটনেস ট্র্যাকিং কোম্পানি রানটাস্টিক কিনে নিয়েছিল। এটি তাদের অন্যান্য প্রযুক্তিনির্ভর ফিটনেস ট্র্যাকিং কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতার সুযোগ দিয়েছে। বিশেষত ফিটবিত, অনার, গারমিন, অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের মতো জনপ্রিয় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর স্মার্ট ওয়াচ প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই অ্যাডিডাসের রানটাস্টিক।

এফসি বায়ার্ন মিউনিখ : জার্মানির ক্লাবটিতে সেরা খেলোয়াড়ের আনাগোনা। শীর্ষস্থানীয় ক্লাবটি জনপ্রিয়তার দিক থেকেও অন্যতম। অ্যাডিডাস কোম্পানি ক্লাবটির প্রায় ৮.৩৩% শেয়ারের মালিক। ১৯৬৫ সাল থেকে ক্লাবটির ফুটবল সামগ্রী সরবরাহ করে আসছে।

 

যেভাবে যাত্রা শুরু

অ্যাডলফ ডাসলারের হাত ধরে অ্যাডিডাসের পথ চলা শুরু হয়েছিল ১৯৪৮ সালে। কিন্তু তারও অনেক আগে ১৯৩৬ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ডাসলার তাঁর তৈরি জুতা নিয়ে ছুটে যান অলিম্পিকের মাঠে। যুক্তরাষ্ট্রের (আফ্রো-আমেরিকান) অ্যাথলেট জেসি ওয়েনসকে বিশেষভাবে ডিজাইন করা জুতাটি ব্যবহারে রাজি করান। অবিশ্বাস্য হলেও ওই অলিম্পিকে ওয়েনস চারটি স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। আর বিশ্বসেরা অলিম্পিক আসরের প্রাপ্ত স্পনসরের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ইতিহাসে নাম লেখান জেসি ওয়েনস। ঘটনাটি সে সময়ের কয়েকজন অ্যাথলেটের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তারা ভেবেছিল যে, আফ্রো-আমেরিকান স্পিন্টার জেসি ওয়েনস ডাসলার ব্রাদার্সের তৈরি জুতা পরে দৌড়ে অংশগ্রহণ করার কারণে ভালো পারফরম্যান্স করেছিলেন। ধীরে ধীরে ডাসলার ব্রাদার্সের তৈরি জুতা সে সময়ের অ্যাথলেটদের প্রয়োজনীয় বস্তুতে পরিণত হয়। ডাসলার ব্রাদার্সের তৈরি জুতার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়তে থাকে।  অ্যাথলেটদের চাহিদা থেকে ব্র্যান্ডটি প্রতিষ্ঠিত হয় ও বিক্রিও বাড়ে।

 

কোম্পানির নাম ও মালিকানা পরিবর্তন

১৯৪৭ সালে ডাসলার ভ্রাতৃদ্বয়ের ব্যবসা আলাদা হওয়ার পর অ্যাডলফ ডাসলার প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। অ্যাডলফ ডাসলারের ডাকনামের প্রথম তিন অক্ষর অ্যাডি (আদি) এবং তাঁর শেষ নামের প্রথম তিন অক্ষর ডাস (ডাসলার); অর্থাৎ অ্যাডিডাস নামে কোম্পানির নাম পরিবর্তন করেন। ১৯৮৭ সাল অবধি অ্যাডলফ তাঁর কোম্পানি পরিচালনা করেছিলেন। এরপর তিনি এক ফরাসি বিনিয়োগকারী বার্নার্ড টেপির কাছে ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে অ্যাডিডাস কোম্পানিটি বিক্রি করে দেন। টেপির নিয়ন্ত্রণে অ্যাডিডাসের উৎপাদন বাড়ে। তবে পরবর্তীকে বার্নার্ড টেপি অ্যাডিডাসকে রবার্ট লুই-ড্রেফাসের কাছে পুনরায় বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। কেননা টেপি অ্যাডিডাসকে কেনার সময় গৃহীত ঋণ ও ঋণের সুদ পরিশোধ করতে পারেননি। পরবর্তীকালে অ্যাডিডাস কোম্পানির মালিকানা নানা সময় পরিবর্তন হয়। এতে অবশ্য লাভ হয়েছে, ব্র্যান্ডটির জনপ্রিয়তা এবং সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পেতে থাকে। বর্তমানে অ্যাডিডাস স্পোর্টস ও ফ্যাশন শিল্পে বড় একটি নাম। পাশাপাশি অ্যাডলফের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি এনবিএ, এনএফএল, প্রিমিয়ার লিগ, অলিম্পিক, বিশ্বকাপসহ বড় বড় অসংখ্য আসরে ক্রীড়া সামগ্রী এবং জার্সি সরবরাহ করে থাকে। বর্তমানে এটি ইউরোপের বৃহত্তম ক্রীড়া প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনপ্রিয় স্পোর্টস ব্র্যান্ড।

 

লোগোরও রয়েছে ইতিহাস

আজকের বিশ্বসেরা অ্যাডিডাসের লোগো প্রথমে এমনটি ছিল না। এমনকি আকর্ষণীয় লোগোটির মালিক অ্যাডলফ ডাসলার বা অ্যাডিডাস একা নন। কারণ একটাই, তারা লোগো তৈরি ও ব্যবহারের জন্য প্রথম কোম্পানি নয়। থ্রি-স্ট্রাইপের লোগোটি অনুমোদিত হয় আরও অনেক পরে। এর আগে কারহু নামের একটি স্পোর্টসে অ্যাডিডাসের মালিকানার ইতিহাস পাওয়া যায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে প্রতিষ্ঠানটি আর্থিকভাবে বড়সড় হোঁচট খায়। কারণ রাজধানীতে তাঁদের ব্যবসা ছিল স্বল্প পরিসরের। এক সময় অর্থের প্রয়োজনে কারহুর মালিক লোগো বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। লোগোটির জন্য অ্যাডিডাসকে মাত্র ১৬০০ ইউরো ও দুটি হুইস্কির বোতল খরচ করতে হয়েছিল। ১৯৭১ সালে অ্যাডিডাস প্রথম থ্রি-স্ট্রাইপ লোগো উন্মোচন করে। তবে তা ছিল এখনকার লোগোর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। তখন লোগোটি দেখতে ছিল ট্রেফয়েল পাতার আকৃতির। পরবর্তীকালে ট্রেফয়েল পাতার সংস্করণটি ত্রিভুজ আকার করে তৈরি করা হয়। তবে এখনো অ্যাডিডাস পুরনো ট্রেফয়েল পাতার সংস্করণটি ব্র্যান্ডের মূল পোশাকে এবং অবসর লাইনে  ব্যবহার করে আসছে।

 

চমকপ্রদ লোগোটির অজানা অর্থ

অ্যাডিডাস লোগোটির পেছনের অর্থও বেশ চমকপ্রদ। ট্রেফয়েল লোগো কেনার অনেক পর, ব্র্যান্ডটি তাদের সব পণ্যে থ্রি-স্ট্রাইপ বার হিসেবে ব্যবহার করতে থাকে। স্ট্রাইপের বার তিনটি দিয়ে মূলত তিন মহাদেশকে নির্দেশনা করা হয়। কেননা ওই মহাদেশগুলোয় অ্যাডিডাসের জুতাগুলো বেশি বিক্রি হতো। তিন মহাদেশ হলোÑ উত্তর আমেরিকা, এশিয়া এবং ইউরোপ। থ্রি-স্ট্রাইপ লোগো দেখতে সুউচ্চ পর্বতমালার অনুরূপ। স্ট্রাইপগুলো নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে সামনে অগ্রসর হওয়াকে নির্দেশ করে। পর্বতটি উপরের দিকে উঠে যাওয়াকে বিজয়ী প্রতীক বলে দেখানো হয়েছে। অ্যাথলেটিক সম্পর্কিত হওয়ায় গ্রহণযোগ্যতাও পেয়েছিল বেশি। লোগোর সঙ্গে সংযুক্ত (লোগোর নিচে) কোম্পানির নামটি লোয়ার-কেস ফন্টে লেখা। নির্দিষ্ট রং নেই, যা একে করেছে স্বতন্ত্র। কোম্পানির নির্দিষ্ট রং ব্যবহারের পরিকল্পনা নেই, যা রং পরিবর্তনের স্বাধীনতা দেয়। ফলে পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে লোগো দেওয়া যায়।

 

অ্যাথলেটদের আস্থা

৭২ বছর পার করেছে অ্যাডিডাস। দশকের পর দশক ধারাবাহিক সফলতা এসেছে বিশ্বসেরা স্পোর্টস ব্র্যান্ডটির। যুগ যুগ ধরে তারকা খেলোয়াড়দের সফরসঙ্গী এই ব্র্যান্ড। ছোট্ট হরজোজেনাউয়াচ শহরে ৪৭ জন কর্মচারী নিয়ে জুতা তৈরি শুরু করেন অ্যাডলফ। তার সাফল্যের একটি গোপন সূত্রও রয়েছে। অ্যাডলফ ছিলেন উদ্ভাবনী মনের। খেলাধুলার প্রতি ছিল তীব্র অনুরাগ। ক্রীড়াবিদদের পারফরম্যান্সকে বাড়িয়ে তোলা যায়, এমন ‘স্পোর্টস সু’ তৈরির কথা ভাবতেন ছোটবেলা থেকেই। তিনি অ্যাথলেটদের সঙ্গে দেখা করতেন। তারা যা বলতেন অ্যাডলফ তা মনোযোগ সহকারে শুনতেন এবং ক্রমাগত নতুন উদ্ভাবন আর পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এর প্রতিফলন থাকত তার পণ্যে। আর এভাবেই অ্যাডলফ বিশ্বের সেরা অ্যাথলেটদের আস্থা অর্জন করেছিলেন। ব্যবসায় নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে অ্যাডিডাস কোম্পানি প্রমাণ করেছে, জীবনে অসম্ভব বলে কিছুই নেই। আগামী কয়েক দশকেও অ্যাডিডাস তাদের সফলতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে বলে ক্রীড়াবিদদের বিশ্বাস।

এই বিভাগের আরও খবর
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
সর্বশেষ খবর
পাকিস্তানে বোমা হামলা, আতঙ্কে ফিরছেন একাধিক লঙ্কান ক্রিকেটার
পাকিস্তানে বোমা হামলা, আতঙ্কে ফিরছেন একাধিক লঙ্কান ক্রিকেটার

১ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

লিবিয়ায় নৌকাডুবিতে ৪২ জনের মৃত্যুর শঙ্কা
লিবিয়ায় নৌকাডুবিতে ৪২ জনের মৃত্যুর শঙ্কা

৪৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট
নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় কৃতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
বগুড়ায় কৃতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপিতে যোগ দিলেন জামায়াতের ১০ নেতাকর্মী
বিএনপিতে যোগ দিলেন জামায়াতের ১০ নেতাকর্মী

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভুল হলে দ্রুত আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া
ভুল হলে দ্রুত আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

জামায়াত ভাইয়ে ভাইয়ে বিরোধ সৃষ্টি করছে: টুকু
জামায়াত ভাইয়ে ভাইয়ে বিরোধ সৃষ্টি করছে: টুকু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লাঠি হাতে রাকসু নেতাদের মহড়া, ছাত্রলীগ দেখলেই গণধোলাইয়ের ঘোষণা
লাঠি হাতে রাকসু নেতাদের মহড়া, ছাত্রলীগ দেখলেই গণধোলাইয়ের ঘোষণা

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

তেজগাঁওয়ে ট্রেনের পরিত্যক্ত বগিতে আগুন, হাতেনাতে আটক ২
তেজগাঁওয়ে ট্রেনের পরিত্যক্ত বগিতে আগুন, হাতেনাতে আটক ২

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নারায়ণগঞ্জে সিএনজিতে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
নারায়ণগঞ্জে সিএনজিতে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এবার এমসিকিউ পদ্ধতিতে হবে জবির ভর্তি পরীক্ষা
এবার এমসিকিউ পদ্ধতিতে হবে জবির ভর্তি পরীক্ষা

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঘানায় সেনা নিয়োগের বাছাইয়ে পদদলিত হয়ে নিহত ৬
ঘানায় সেনা নিয়োগের বাছাইয়ে পদদলিত হয়ে নিহত ৬

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডাকসু থেকে শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিল
ডাকসু থেকে শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিল

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফুটবল খেলতে গিয়ে মাঠেই ঢলে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ফুটবল খেলতে গিয়ে মাঠেই ঢলে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সুন্দরবনের পর্যটন ব্যবসায়ীদের আল্টিমেটাম: শর্ত পূরণ না হলে কঠোর ব্যবস্থা
সুন্দরবনের পর্যটন ব্যবসায়ীদের আল্টিমেটাম: শর্ত পূরণ না হলে কঠোর ব্যবস্থা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় কবে জানা যাবে বৃহস্পতিবার
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় কবে জানা যাবে বৃহস্পতিবার

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জকসুর মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু বৃহস্পতিবার
জকসুর মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু বৃহস্পতিবার

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নাশকতা ঠেকাতে সোনারগাঁয়ে প্রস্তুত বিএনপি
নাশকতা ঠেকাতে সোনারগাঁয়ে প্রস্তুত বিএনপি

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুড়িগ্রামে বাড়ছে শীতের দাপট
কুড়িগ্রামে বাড়ছে শীতের দাপট

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পরিবারের ৫ সদস্যের পর মারা গেলেন লিশানও
পরিবারের ৫ সদস্যের পর মারা গেলেন লিশানও

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রমজান উপলক্ষে বিলম্বিত পরিশোধ ব্যবস্থায় ১০ পণ্য আমদানির অনুমতি
রমজান উপলক্ষে বিলম্বিত পরিশোধ ব্যবস্থায় ১০ পণ্য আমদানির অনুমতি

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢাবির টিএসসিতে ককটেল বিস্ফোরণ
ঢাবির টিএসসিতে ককটেল বিস্ফোরণ

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার
লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জেলের জালে ৩৭ কেজির কালো পোয়া
জেলের জালে ৩৭ কেজির কালো পোয়া

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুক্তির আগেই প্রায় ৪০০ কোটি রুপি আয় করেছে বিজয়ের শেষ ছবি
মুক্তির আগেই প্রায় ৪০০ কোটি রুপি আয় করেছে বিজয়ের শেষ ছবি

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মুক্তি পেল ‘ট্রায়াল অব জুলাই ম্যাসাকার’ প্রামাণ্যচিত্র
মুক্তি পেল ‘ট্রায়াল অব জুলাই ম্যাসাকার’ প্রামাণ্যচিত্র

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারীদের ক্ষমতায়ন বাড়ানো হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারীদের ক্ষমতায়ন বাড়ানো হবে’

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নাশকতা রোধে রাজধানীর প্রবেশ পথে পুলিশের চেকপোস্ট
নাশকতা রোধে রাজধানীর প্রবেশ পথে পুলিশের চেকপোস্ট

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নভেম্বরের ১১ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহে ৩৬.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি
নভেম্বরের ১১ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহে ৩৬.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সর্বাধিক পঠিত
রমনা থানার সামনে হঠাৎ পুলিশের গাড়িতে আগুন
রমনা থানার সামনে হঠাৎ পুলিশের গাড়িতে আগুন

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মধ্যরাতে ঢাবির পাঁচ ভবনের ফটকে তালা দিল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ
মধ্যরাতে ঢাবির পাঁচ ভবনের ফটকে তালা দিল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উত্তরায় মাইক্রোবাসে আগুন
উত্তরায় মাইক্রোবাসে আগুন

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখলেই ব্রাশফায়ারের নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের
অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখলেই ব্রাশফায়ারের নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের

১৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নের ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নের ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বৃহস্পতিবার সারাদেশে দোকান ও শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি
বৃহস্পতিবার সারাদেশে দোকান ও শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলি সেনাদের ভয়ংকর যৌন নিপীড়নের বর্ণনা দিল ফিলিস্তিনি নারী বন্দিরা
ইসরায়েলি সেনাদের ভয়ংকর যৌন নিপীড়নের বর্ণনা দিল ফিলিস্তিনি নারী বন্দিরা

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রুদ্ধশ্বাস জয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৬ রানে হারালো পাকিস্তান
রুদ্ধশ্বাস জয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৬ রানে হারালো পাকিস্তান

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এবার বাণিজ্যমেলা দুই আসরে, যেদিন থেকে শুরু
এবার বাণিজ্যমেলা দুই আসরে, যেদিন থেকে শুরু

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাতে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ
রাতে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ক্যারিবীয় সাগরে বিশাল যুদ্ধজাহাজবহর মোতায়েন করল যুক্তরাষ্ট্র
ক্যারিবীয় সাগরে বিশাল যুদ্ধজাহাজবহর মোতায়েন করল যুক্তরাষ্ট্র

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনসিপির নবগঠিত ৪১ সদস্যের কমিটি থেকে ২৩ জনের পদত্যাগ
এনসিপির নবগঠিত ৪১ সদস্যের কমিটি থেকে ২৩ জনের পদত্যাগ

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘শিক্ষার্থীদের নিয়ে আজ ও আগামীকাল মাঠে থাকবে ডাকসু’
‘শিক্ষার্থীদের নিয়ে আজ ও আগামীকাল মাঠে থাকবে ডাকসু’

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নো হাংকি-পাংকি! বাঁকা আঙুলে ঘি তোলার হুমকি!
নো হাংকি-পাংকি! বাঁকা আঙুলে ঘি তোলার হুমকি!

১৮ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

মোহাম্মদপুরে ককটেলসহ আওয়ামী লীগ নেতা আটক
মোহাম্মদপুরে ককটেলসহ আওয়ামী লীগ নেতা আটক

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দ্বাদশ সংসদের এমপিদের অখালাস ৩১টি গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর
দ্বাদশ সংসদের এমপিদের অখালাস ৩১টি গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভারতীয় দূতকে তলব, গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার কথা বলা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান
ভারতীয় দূতকে তলব, গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার কথা বলা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন সোহেল তাজ
যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন সোহেল তাজ

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে, বাড়ছে শীতের আমেজ
তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে, বাড়ছে শীতের আমেজ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গুগল ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য সতর্কতা
গুগল ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য সতর্কতা

১৭ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

উত্তরার ২১ পয়েন্টে যুবদল স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের অবস্থান
উত্তরার ২১ পয়েন্টে যুবদল স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের অবস্থান

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে আগুন
রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে আগুন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ময়মনসিংহে শ্বশুরবাড়িতে জামাতা-নাতি খুন
ময়মনসিংহে শ্বশুরবাড়িতে জামাতা-নাতি খুন

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩৮০০ শিশুর হার্ট সার্জারিতে অবদান : মানবসেবায় রেকর্ড জনপ্রিয় গায়িকার
৩৮০০ শিশুর হার্ট সার্জারিতে অবদান : মানবসেবায় রেকর্ড জনপ্রিয় গায়িকার

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সেই গৃহবধূর বদনা–নাকফুল ফেরত দিলো এনজিও, বরখাস্ত ২
সেই গৃহবধূর বদনা–নাকফুল ফেরত দিলো এনজিও, বরখাস্ত ২

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রেসিডেন্ট নয়, সেনাপ্রধানের হাতে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ
প্রেসিডেন্ট নয়, সেনাপ্রধানের হাতে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেড়েছে স্বর্ণের দাম, আজ থেকে কার্যকর
বেড়েছে স্বর্ণের দাম, আজ থেকে কার্যকর

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যা: ২ শ্যুটারসহ গ্রেফতার ৫
শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যা: ২ শ্যুটারসহ গ্রেফতার ৫

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানী ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানী ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
আন্ডারওয়ার্ল্ড যে কারণে টালমাটাল
আন্ডারওয়ার্ল্ড যে কারণে টালমাটাল

পেছনের পৃষ্ঠা

সংঘাতের পথে রাজনীতি
সংঘাতের পথে রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আগুন বোমা গুলিতে আতঙ্ক
আগুন বোমা গুলিতে আতঙ্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতীয় নির্বাচন বানচালে নতুন ইস্যু গণভোট
জাতীয় নির্বাচন বানচালে নতুন ইস্যু গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

রপ্তানি বহুমুখীকরণ কাগজে কলমে
রপ্তানি বহুমুখীকরণ কাগজে কলমে

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনের আগে গণভোট সম্ভব নয়
নির্বাচনের আগে গণভোট সম্ভব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

ডাকাতের ছুরিকাঘাতে এসআই আহত
ডাকাতের ছুরিকাঘাতে এসআই আহত

দেশগ্রাম

বাংলাদেশেও আছেন হকির কিংবদন্তি
বাংলাদেশেও আছেন হকির কিংবদন্তি

মাঠে ময়দানে

আওয়ামী লীগ ছাড়াও কেউ সন্ত্রাস করতে পারে
আওয়ামী লীগ ছাড়াও কেউ সন্ত্রাস করতে পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

১১ মাসে ১ লাখ ৩৭ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ
১১ মাসে ১ লাখ ৩৭ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

পূর্বাঞ্চলে রেলের জমি দখলের হিড়িক
পূর্বাঞ্চলে রেলের জমি দখলের হিড়িক

নগর জীবন

নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট
নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরা এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি : ইউনূস
আমরা এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি : ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে আছে লুটের টাকা
দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে আছে লুটের টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

অন্তর্বর্তী সরকার পে-স্কেলের শুধু ফ্রেমওয়ার্ক দেবে
অন্তর্বর্তী সরকার পে-স্কেলের শুধু ফ্রেমওয়ার্ক দেবে

পেছনের পৃষ্ঠা

ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য

সম্পাদকীয়

সাবেক বিচারপতিসহ তিনজনের জামিন
সাবেক বিচারপতিসহ তিনজনের জামিন

নগর জীবন

১২ বছর পর তোলা হলো জামায়াত কর্মীর লাশ
১২ বছর পর তোলা হলো জামায়াত কর্মীর লাশ

দেশগ্রাম

প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হবে
প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হবে

নগর জীবন

প্রিপেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ
প্রিপেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ

দেশগ্রাম

পাখি শিকার লাইভে রান্নায় অর্থদণ্ড
পাখি শিকার লাইভে রান্নায় অর্থদণ্ড

দেশগ্রাম

এক সেঞ্চুরি ও দুই শত রানের জুটি
এক সেঞ্চুরি ও দুই শত রানের জুটি

মাঠে ময়দানে

আগুনে পুড়ল পাট গুদাম দোকান
আগুনে পুড়ল পাট গুদাম দোকান

দেশগ্রাম

আইওএসএ সনদ হাতে বেসরকারি এয়ারলাইন ‘এয়ার অ্যাস্ট্রা’র কর্মকর্তারা
আইওএসএ সনদ হাতে বেসরকারি এয়ারলাইন ‘এয়ার অ্যাস্ট্রা’র কর্মকর্তারা

নগর জীবন

ভেজাল বীজ বিক্রি চার ব্যবসায়ীর জরিমানা
ভেজাল বীজ বিক্রি চার ব্যবসায়ীর জরিমানা

দেশগ্রাম

ড্রেন দখল, জলাবদ্ধতা হাসপাতালে
ড্রেন দখল, জলাবদ্ধতা হাসপাতালে

দেশগ্রাম

কিস্তি না পেয়ে নাকফুল, দুজন বরখাস্ত
কিস্তি না পেয়ে নাকফুল, দুজন বরখাস্ত

দেশগ্রাম

ভ্রাম্যমাণ দোকানে দখল সড়ক
ভ্রাম্যমাণ দোকানে দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা