শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ আপডেট:

মুচি থেকে বিশ্বসেরা অ্যাডিডাসের মালিক

আবদুল কাদের
প্রিন্ট ভার্সন
মুচি থেকে বিশ্বসেরা অ্যাডিডাসের মালিক

অ্যাডলফ ডাসলারের অ্যাডিডাসের শুরুটা একটি সাধারণ ঘর থেকে; পরবর্র্তীকালে সেরা স্পোর্টস সু ব্র্যান্ডের মালিক হিসেবে করেছেন বিশ্বজয়। এর মধ্যে বড় লক্ষ্য অর্জন করেছেন। কখনো কখনো লক্ষ্য অর্জনে করেছেন কঠিন লড়াই। ধীরে ধীরে এগিয়ে গেছেন ভবিষ্যতের অপেক্ষায়। আর মনে রেখেছেন কোথা থেকে উঠে এসেছেন তিনি এবং তাঁর প্রতিষ্ঠান...

 

অ্যাডলফ ডাসলারের বিস্ময়কর উত্থান

প্রতিটি দুর্দান্ত গল্পের শুরু থাকে। বিশ্বসেরা অ্যাডিডাস এজিরও একটি শুরুর গল্প রয়েছে। আর সেই গল্পের সফল কোম্পানিটির পথচলা শুরু হয়েছিল অ্যাডলফ ডাসলারের হাত ধরে। জার্মানির ছোট্ট একটি শহরে। অ্যাডিডাসের সফলতার মূল কারিগর প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডলফ ডাসলার। তাঁর নাম অ্যাডলফ অ্যাডি ডাসলার। সবাই তাঁকে অ্যাডি (আদি) বলেও ডাকতেন। জন্ম ও বেড়ে ওঠা জার্মানির হরজোজেনাউয়াচ শহরে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকে ফিরে মায়ের রান্নাঘরে বসেই নিজের স্পোর্টস সু তৈরি করেন তিনি। বাবা ক্রিস্টোফ ভন উইলহেল্ম ডাসলার জুতা কারখানার শ্রমিক হওয়ার সুবাদে বাবার হাত ধরেই জুতা বানানোর হাতেখড়ি হয়েছিল অ্যাডলফ ডাসলারের। অন্যদিকে জেহলিন ভাইয়েরা স্পোর্টস সুর স্পাইক বানাতেন নিজেদের কামারশালায়। সবাই অ্যাডলফ ডাসলারকে সাহায্য করেন জুতার ব্যবসা শুরু করতে। আর ১৯২৪ সালে বড় ভাই রুডলফ ডাসলার যোগ দেন। দুই ভাই মিলে প্রতিষ্ঠানের নাম দেন জিবারডার ডাসলার সু ফেব্রিক বা ডাসলার ব্রাদার্স সু ফ্যাক্টরি। আন্তর্জাতিক নানা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক পেতে থাকে জার্মান অ্যাথলেটরা। যার একটা বড় কৃতিত্ব পাচ্ছিলেন ডাসলার ব্রাদার্স। ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে আর্থিক মন্দায় অনেক কোম্পানি বন্ধ হয়ে যেতে থাকে। শ্রমিক পাওয়ায় দুষ্কর হয়ে পড়ে, কারণ বেশির ভাগ মানুষকে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়। যুদ্ধের প্রথম দিকে ‘ড্যাজলার ব্রাদার্স সু ফ্যাক্টরির’ দায়িত্ব নেয় রুডলফ ডাসলার। ১৯৪০ সালে যুদ্ধে চলে যান অ্যাডলফ। তবে কোম্পানিতে তাঁর প্রয়োজন অনেক বেশি- এমন অনুভব থেকে ছাড়পত্র নিয়ে চলে আসেন। নানা কারণে দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে। যার ফলে তারা বেশি দিন একসঙ্গে থাকতে পারেননি। এদিকে নিজের কারিগরি দক্ষতাকে পুঁজি করে ১৯৪৮ সালে অ্যাডিডাস প্রতিষ্ঠা করেন অ্যাডলফ ডাসলার। ৪৭ জন কর্মচারী নিয়ে ছোট্ট হারজোজেনাউয়াচ শহরে জুতার ফ্যাক্টরি স্থাপন করেন। একই দিনে একটি জুতারও নিবন্ধন করেন তিনি। এটি ছিল অ্যাডিডাসের বিখ্যাত থ্রি স্ট্রাইপ জুতা। এর কয়েক বছর পর, শুরু হয় ১৯৫৪ বিশ্বকাপ আসর, জার্মান ফুটবল দল যখন অপরাজিত হাঙ্গেরিদের মুখোমুখি হয়েছিল। সেবার জার্মান ফুটবল দল শক্তিশালী হাঙ্গেরিকে হারায়। এতেই অ্যাডিডাসের বাজিমাত। কারণ জার্মান ফুটবলারদের পায়ে ছিল অ্যাডিডাসের ফুটবল বুট। এসব বুট ছিল প্রচলিত ইংলিশ বুটের চেয়ে হালকা ও আরামদায়ক। অ্যাডিডাস বিদেশি গণমাধ্যমের নজর কাড়লে তিনি সুযোগ কাজে লাগান।

নাইকি ও পুমার মতো সেরা সেরা স্পোর্টস সু ব্র্যান্ডকে হারিয়ে কীভাবে নিজেকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে সে ভাবনায় বিভোর থাকতেন অ্যাডলফ। তাই তিনি জুতা বানানোর পাশাপাশি খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিশতেন, বিশ্বের সেরা অ্যাথলেটদের আস্থা অর্জন করেছিলেন অ্যাডলফ ডাসলার। অ্যাথলেটদের কাছ থেকে তিনি শুনতেন তাদের কী প্রয়োজন, কোথায় অসুবিধা। এসবের প্রতিফলন ঘটাতেন তাঁর পণ্যে। ১৯৬৭ সালের আগ পর্যন্ত অ্যাডলফের অ্যাডিডাস কেবল জুতাই বানিয়েছেন। ১৯৬৭ সালে প্রথমবারের মতো মনোযোগ দিয়েছিলেন ট্র্যাকস্যুটে। আর সেই ট্র্যাকস্যুটটি তৈরি করা হয়েছিল সে সময়ের জার্মান ফুটবলার ফ্রান্ৎস বেকেনবাউয়ারের জন্য। অ্যাডলফ ডাসলার নিজে সব সময় নতুন কিছু উদ্ভাবন বা আবিষ্কার করতে চাইতেন। তাই ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপে অফিশিয়াল ফুটবল ‘টেলস্টার’ সরবরাহ করে অ্যাডিডাস। সাদা-কালো টিভিতে যাতে সহজে চোখে পড়ে সেভাবেই তৈরি হয়েছিল সেই ফুটবলগুলো। পরের বিশ্বকাপগুলোতেও বল সরবরাহ করে সেরা স্পোর্টস ব্র্যান্ড অ্যাডিডাস। ক্রীড়াবিদদের অনেকের পায়ে পৌঁছে যায় অ্যাডিডাসের থ্রি-স্ট্রাইপ জুতা। আর্জেন্টিনার জাতীয় ফুটবল দলের পায়ে ওঠে অ্যাডিডাসের জুতা। অ্যাডিডাসের বুট পায়ে পর্বতারোহণে নিখুঁতভাবে ১০ স্কোর করতে থাকেন অনেক পর্বতারোহী। ১৯৭৮ সালে নিজের ৭৮তম জন্মদিনের কয়েক দিন আগে মারা যান অ্যাডলফ ডাসলার যিনি একা হাতে অ্যাডিডাসের উদ্ভাবনী কর্মকা- এগিয়ে নিচ্ছিলেন।  তাঁর মৃত্যুর পর হাল ধরেন স্ত্রী কেথ এবং ছেলে হর্স্ট ডাসলার। মায়ের মৃত্যুর দুই বছরের মাথায় আকস্মিকভাবে মারা যান হর্স্ট ডাসলারও।

 

দেউলিয়াত্বের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে আসা

ডাসলার পরিবারের নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর অ্যাডিডাসে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। যোগ্য নেতৃত্বের অভাব এবং নানা বিতর্কিত পদক্ষেপের কারণে কোম্পানি দেউলিয়াত্বের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়। তবে সেখান থেকেও ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প রয়েছে। রবার্ট লুইস ড্রিফাস প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব নেন। তাঁর সহকারী হিসেবে ছিলেন ক্রিশ্চিয়ান ট্যুরেস। তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন অ্যাডিডাসের জন্য নতুন উদ্ভাবনের প্রয়োজন নেই। আগে অ্যাডিডাস কেবল বিক্রয়ের ওপর জোর দিত। কিন্তু এবার জোর দিল বিপণন বা প্রচারের ওপর। অবশ্য এ সময়ও যে অ্যডিডাসের উদ্ভাবন থেমে ছিল, তা নয়। অ্যাথলেট এবং খেলোয়াড়দের প্রতিযোগিতায় এগিয়ে দিতে নানা পণ্য নিয়ে আসে তারা। নিজেদের অবস্থান মজবুত হওয়ার পর ১৯৯৭ সালে সালোমন গ্রুপ এবং এর ব্র্যান্ড টেইলর মেড, ম্যাভিক, বনফায়ার ইত্যাদি অধিগ্রহণ করে অ্যাডিডাস-সালোমন এজি নাম ধারণ করে। ২০০৬ সালে সালোমন গ্রুপ আলাদা হয়ে যায়, অ্যাডিডাস এজি নামে কাজ করতে থাকে ডাসলারের প্রতিষ্ঠিত অ্যাডিডাস। এ সময় তারা রিবক এবং এর ব্র্যান্ড রকপোর্ট, রিবক সিসিএম হকি কিনে নেয়। ক্রীড়াসামগ্রী উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ দুটি কোম্পানির একটিতে পরিণত হয় ডাসলারের অ্যাডিডাস।

 

দুই ভাইয়ের ব্যবসায়িক লড়াই

রুডলফ ডাসলার ও ও অ্যাডলফ ডাসলার দুই ভাই। একসঙ্গে ব্যবসা শুরু করলেও ভাতৃদ্বয়ের মিল বেশি দিন টেকেনি। বছর বিশেকের মধ্যে ভাগ হয়ে যায় তাদের কোম্পানি। ব্যবসায়িক মতভেদ আর নানা ঘটনার জেরে দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে। ১৯৪৮ সালে ভাগ হয়ে যায় কোম্পানি। ভাগ হওয়ার দিন দুই ভাইয়ের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছিল, সেটিই ছিল শেষ কথোপকথন। এরপর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আর কথা হয়নি দুই ভাইয়ের মধ্যে। তবে তাদের একই গোরস্থানে সমাহিত করা হয়েছিল। ১৯৪৯ সালে আত্মপ্রকাশ ঘটে অ্যাডলফের অ্যাডিডাস। এর আগের বছরই পুমা কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন রুডলফ। তখন থেকেই চলছে দুই কোম্পানির প্রতিদ্বন্দ্বিতা। হারজোজেনাউয়াচ শহরও যেন দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল। বাইরের কেউ সেখানে গেলে লোকে আগে লক্ষ্য করত পুমা না অ্যাডিডাস কার বুট রয়েছে আগন্তুকের পায়ে। শহরের ফুটবল ক্লাব দুটিও যেন ভাগ হয়ে গিয়েছিল। এএসভি হারজোজেনাউয়াচ ক্লাব অ্যাডিডাসকে সমর্থন করে। ওয়ানএফসি হারজোজেনাউয়াচ ক্লাব সমর্থন করে পুমাকে। তবে এই লড়াইয়ে সব সময় এগিয়ে থাকত অ্যাডিডাসই। দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্ব এখনো বেশ আলোচিত।

 

ধারাবাহিকভাবে সফল অ্যাডিডাস

১৯৬৭ সালে সর্বপ্রথম অ্যাডিডাসের তৈরি স্পোর্টস ওয়্যার পরিধান করেন জার্মানির প্রাক্তন খেলোয়াড় ফ্রান্ৎস বেকেনবাউয়ার। পরবর্তীকালে জিনেদিন জিদান, মাইকেল বালাক ও অ্যালিসন ফেলিক্সের মতো সেরা খেলোয়াড়রাও যুক্ত হয়েছিলেন কোম্পানিটির সঙ্গে। ফুটবল ছাড়াও বাস্কেটবল, গল্ফ, টেনিস, ক্রিকেট, রাগবি, স্কেটবোর্ডিং, জিমন্যাস্টিকসের সঙ্গে অ্যাডিডাস ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অ্যাডিডাসের প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে একটি হলো ফুটবল এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত অসংখ্য সামগ্রী। কোম্পানিটি বায়ার্ন মিউনিখ, এ সি মিলান, চেলসি এবং রিয়াল মাদ্রিদের মতো আন্তর্জাতিক ক্লাবগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় ফুটবল সামগ্রী ও খেলনা সরবরাহ করে থাকে। এ ছাড়া কোম্পানির কৌশলী ভূমিকার মধ্যে রয়েছে সফল খেলোয়াড়দের ওপর স্পন্সর। যা অ্যাডিডাসের প্রসার ও পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।  ফুটবল সামগ্রীসহ আন্তর্জাতিক ম্যাচ ও ক্লাবের ম্যাচে ব্যবহৃত রেফারির সরঞ্জামাদিও বিতরণ করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।

 

অ্যাডিডাসের বিশাল সাম্রাজ্য

২০২০ সালের হিসাব মতে, অ্যাডিডাস কোম্পানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৬.৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মাত্র এক বছর আগেও এর মূল্য ছিল কয়েক মিলিয়ন ডলারের নিচে। এর আগের ইতিহাসটি সবারই জানা। প্রায় এক শতাব্দী আগেও কোম্পানিটি ছোট একটি লন্ড্রি দোকান থেকে কাজ শুরু করেছিল।

অ্যাডিডাসের অধীনে যত ব্র্যান্ড

রিবক : ২০০৫ সালের কোনো এক সময় অ্যাডিডাস প্রকাশ করেছিল যে, তারা রিবককে অর্জন করবে অর্থাৎ কিনে নেবে। যাতে তাদের কোম্পানি বিশ্বসেরা নাইকির সঙ্গে বাজারে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম হয়। ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে তারা রিবককে ৩.৮ বিলিয়ন ডলারে কিনে নেয়।

রানটাস্টিক : ২০১০ সালে খেলার জগৎ প্রযুক্তির সঙ্গে বিকশিত হতে শুরু করে। যার ধারাবাহিকতায় অ্যাডিডাস ২০১৫ সালে ২৪০ মিলিয়ন ডলারে অস্ট্রেলিয়ান ফিটনেস ট্র্যাকিং কোম্পানি রানটাস্টিক কিনে নিয়েছিল। এটি তাদের অন্যান্য প্রযুক্তিনির্ভর ফিটনেস ট্র্যাকিং কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতার সুযোগ দিয়েছে। বিশেষত ফিটবিত, অনার, গারমিন, অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের মতো জনপ্রিয় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর স্মার্ট ওয়াচ প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই অ্যাডিডাসের রানটাস্টিক।

এফসি বায়ার্ন মিউনিখ : জার্মানির ক্লাবটিতে সেরা খেলোয়াড়ের আনাগোনা। শীর্ষস্থানীয় ক্লাবটি জনপ্রিয়তার দিক থেকেও অন্যতম। অ্যাডিডাস কোম্পানি ক্লাবটির প্রায় ৮.৩৩% শেয়ারের মালিক। ১৯৬৫ সাল থেকে ক্লাবটির ফুটবল সামগ্রী সরবরাহ করে আসছে।

 

যেভাবে যাত্রা শুরু

অ্যাডলফ ডাসলারের হাত ধরে অ্যাডিডাসের পথ চলা শুরু হয়েছিল ১৯৪৮ সালে। কিন্তু তারও অনেক আগে ১৯৩৬ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ডাসলার তাঁর তৈরি জুতা নিয়ে ছুটে যান অলিম্পিকের মাঠে। যুক্তরাষ্ট্রের (আফ্রো-আমেরিকান) অ্যাথলেট জেসি ওয়েনসকে বিশেষভাবে ডিজাইন করা জুতাটি ব্যবহারে রাজি করান। অবিশ্বাস্য হলেও ওই অলিম্পিকে ওয়েনস চারটি স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। আর বিশ্বসেরা অলিম্পিক আসরের প্রাপ্ত স্পনসরের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ইতিহাসে নাম লেখান জেসি ওয়েনস। ঘটনাটি সে সময়ের কয়েকজন অ্যাথলেটের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তারা ভেবেছিল যে, আফ্রো-আমেরিকান স্পিন্টার জেসি ওয়েনস ডাসলার ব্রাদার্সের তৈরি জুতা পরে দৌড়ে অংশগ্রহণ করার কারণে ভালো পারফরম্যান্স করেছিলেন। ধীরে ধীরে ডাসলার ব্রাদার্সের তৈরি জুতা সে সময়ের অ্যাথলেটদের প্রয়োজনীয় বস্তুতে পরিণত হয়। ডাসলার ব্রাদার্সের তৈরি জুতার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়তে থাকে।  অ্যাথলেটদের চাহিদা থেকে ব্র্যান্ডটি প্রতিষ্ঠিত হয় ও বিক্রিও বাড়ে।

 

কোম্পানির নাম ও মালিকানা পরিবর্তন

১৯৪৭ সালে ডাসলার ভ্রাতৃদ্বয়ের ব্যবসা আলাদা হওয়ার পর অ্যাডলফ ডাসলার প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। অ্যাডলফ ডাসলারের ডাকনামের প্রথম তিন অক্ষর অ্যাডি (আদি) এবং তাঁর শেষ নামের প্রথম তিন অক্ষর ডাস (ডাসলার); অর্থাৎ অ্যাডিডাস নামে কোম্পানির নাম পরিবর্তন করেন। ১৯৮৭ সাল অবধি অ্যাডলফ তাঁর কোম্পানি পরিচালনা করেছিলেন। এরপর তিনি এক ফরাসি বিনিয়োগকারী বার্নার্ড টেপির কাছে ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে অ্যাডিডাস কোম্পানিটি বিক্রি করে দেন। টেপির নিয়ন্ত্রণে অ্যাডিডাসের উৎপাদন বাড়ে। তবে পরবর্তীকে বার্নার্ড টেপি অ্যাডিডাসকে রবার্ট লুই-ড্রেফাসের কাছে পুনরায় বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। কেননা টেপি অ্যাডিডাসকে কেনার সময় গৃহীত ঋণ ও ঋণের সুদ পরিশোধ করতে পারেননি। পরবর্তীকালে অ্যাডিডাস কোম্পানির মালিকানা নানা সময় পরিবর্তন হয়। এতে অবশ্য লাভ হয়েছে, ব্র্যান্ডটির জনপ্রিয়তা এবং সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পেতে থাকে। বর্তমানে অ্যাডিডাস স্পোর্টস ও ফ্যাশন শিল্পে বড় একটি নাম। পাশাপাশি অ্যাডলফের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি এনবিএ, এনএফএল, প্রিমিয়ার লিগ, অলিম্পিক, বিশ্বকাপসহ বড় বড় অসংখ্য আসরে ক্রীড়া সামগ্রী এবং জার্সি সরবরাহ করে থাকে। বর্তমানে এটি ইউরোপের বৃহত্তম ক্রীড়া প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনপ্রিয় স্পোর্টস ব্র্যান্ড।

 

লোগোরও রয়েছে ইতিহাস

আজকের বিশ্বসেরা অ্যাডিডাসের লোগো প্রথমে এমনটি ছিল না। এমনকি আকর্ষণীয় লোগোটির মালিক অ্যাডলফ ডাসলার বা অ্যাডিডাস একা নন। কারণ একটাই, তারা লোগো তৈরি ও ব্যবহারের জন্য প্রথম কোম্পানি নয়। থ্রি-স্ট্রাইপের লোগোটি অনুমোদিত হয় আরও অনেক পরে। এর আগে কারহু নামের একটি স্পোর্টসে অ্যাডিডাসের মালিকানার ইতিহাস পাওয়া যায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে প্রতিষ্ঠানটি আর্থিকভাবে বড়সড় হোঁচট খায়। কারণ রাজধানীতে তাঁদের ব্যবসা ছিল স্বল্প পরিসরের। এক সময় অর্থের প্রয়োজনে কারহুর মালিক লোগো বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। লোগোটির জন্য অ্যাডিডাসকে মাত্র ১৬০০ ইউরো ও দুটি হুইস্কির বোতল খরচ করতে হয়েছিল। ১৯৭১ সালে অ্যাডিডাস প্রথম থ্রি-স্ট্রাইপ লোগো উন্মোচন করে। তবে তা ছিল এখনকার লোগোর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। তখন লোগোটি দেখতে ছিল ট্রেফয়েল পাতার আকৃতির। পরবর্তীকালে ট্রেফয়েল পাতার সংস্করণটি ত্রিভুজ আকার করে তৈরি করা হয়। তবে এখনো অ্যাডিডাস পুরনো ট্রেফয়েল পাতার সংস্করণটি ব্র্যান্ডের মূল পোশাকে এবং অবসর লাইনে  ব্যবহার করে আসছে।

 

চমকপ্রদ লোগোটির অজানা অর্থ

অ্যাডিডাস লোগোটির পেছনের অর্থও বেশ চমকপ্রদ। ট্রেফয়েল লোগো কেনার অনেক পর, ব্র্যান্ডটি তাদের সব পণ্যে থ্রি-স্ট্রাইপ বার হিসেবে ব্যবহার করতে থাকে। স্ট্রাইপের বার তিনটি দিয়ে মূলত তিন মহাদেশকে নির্দেশনা করা হয়। কেননা ওই মহাদেশগুলোয় অ্যাডিডাসের জুতাগুলো বেশি বিক্রি হতো। তিন মহাদেশ হলোÑ উত্তর আমেরিকা, এশিয়া এবং ইউরোপ। থ্রি-স্ট্রাইপ লোগো দেখতে সুউচ্চ পর্বতমালার অনুরূপ। স্ট্রাইপগুলো নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে সামনে অগ্রসর হওয়াকে নির্দেশ করে। পর্বতটি উপরের দিকে উঠে যাওয়াকে বিজয়ী প্রতীক বলে দেখানো হয়েছে। অ্যাথলেটিক সম্পর্কিত হওয়ায় গ্রহণযোগ্যতাও পেয়েছিল বেশি। লোগোর সঙ্গে সংযুক্ত (লোগোর নিচে) কোম্পানির নামটি লোয়ার-কেস ফন্টে লেখা। নির্দিষ্ট রং নেই, যা একে করেছে স্বতন্ত্র। কোম্পানির নির্দিষ্ট রং ব্যবহারের পরিকল্পনা নেই, যা রং পরিবর্তনের স্বাধীনতা দেয়। ফলে পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে লোগো দেওয়া যায়।

 

অ্যাথলেটদের আস্থা

৭২ বছর পার করেছে অ্যাডিডাস। দশকের পর দশক ধারাবাহিক সফলতা এসেছে বিশ্বসেরা স্পোর্টস ব্র্যান্ডটির। যুগ যুগ ধরে তারকা খেলোয়াড়দের সফরসঙ্গী এই ব্র্যান্ড। ছোট্ট হরজোজেনাউয়াচ শহরে ৪৭ জন কর্মচারী নিয়ে জুতা তৈরি শুরু করেন অ্যাডলফ। তার সাফল্যের একটি গোপন সূত্রও রয়েছে। অ্যাডলফ ছিলেন উদ্ভাবনী মনের। খেলাধুলার প্রতি ছিল তীব্র অনুরাগ। ক্রীড়াবিদদের পারফরম্যান্সকে বাড়িয়ে তোলা যায়, এমন ‘স্পোর্টস সু’ তৈরির কথা ভাবতেন ছোটবেলা থেকেই। তিনি অ্যাথলেটদের সঙ্গে দেখা করতেন। তারা যা বলতেন অ্যাডলফ তা মনোযোগ সহকারে শুনতেন এবং ক্রমাগত নতুন উদ্ভাবন আর পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এর প্রতিফলন থাকত তার পণ্যে। আর এভাবেই অ্যাডলফ বিশ্বের সেরা অ্যাথলেটদের আস্থা অর্জন করেছিলেন। ব্যবসায় নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে অ্যাডিডাস কোম্পানি প্রমাণ করেছে, জীবনে অসম্ভব বলে কিছুই নেই। আগামী কয়েক দশকেও অ্যাডিডাস তাদের সফলতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে বলে ক্রীড়াবিদদের বিশ্বাস।

এই বিভাগের আরও খবর
ইরানের সেকাল-একাল
ইরানের সেকাল-একাল
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন যার স্বপ্ন
নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন যার স্বপ্ন
সড়কেই উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ
সড়কেই উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ
মাছের খামারে নিরাপত্তা দেবে ‘পন্ডগার্ড’
মাছের খামারে নিরাপত্তা দেবে ‘পন্ডগার্ড’
কৃষকের কাজে কিষানি ড্রোন
কৃষকের কাজে কিষানি ড্রোন
দেশজুড়ে যত উদ্ভাবন
দেশজুড়ে যত উদ্ভাবন
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
দেশে দেশে কোরবানি
দেশে দেশে কোরবানি
ত্যাগের মহিমাময় কোরবানি যেন নষ্ট না হয়
ত্যাগের মহিমাময় কোরবানি যেন নষ্ট না হয়
সর্বশেষ খবর
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

১ সেকেন্ড আগে | মুক্তমঞ্চ

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি

২৩ মিনিট আগে | শোবিজ

দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল
দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল

৪০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা
সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল
ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে
ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান
মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম
জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাহাড়ি ফল ঐতিহ্যের অংশ : উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
পাহাড়ি ফল ঐতিহ্যের অংশ : উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লী বিদ্যুতের সাব-যোনাল অফিস স্থানান্তরের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ
পল্লী বিদ্যুতের সাব-যোনাল অফিস স্থানান্তরের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রবাসী ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের
প্রবাসী ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : নার্গিস বেগম
নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : নার্গিস বেগম

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

লঙ্কানদের চেপে ধরেছে টাইগাররা
লঙ্কানদের চেপে ধরেছে টাইগাররা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিচার ও সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হবে : নাহিদ
বিচার ও সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হবে : নাহিদ

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্লেনে বাজল ভুয়া ফায়ার অ্যালার্ম, আতঙ্কে ঝাপ দিয়ে আহত ১৮
প্লেনে বাজল ভুয়া ফায়ার অ্যালার্ম, আতঙ্কে ঝাপ দিয়ে আহত ১৮

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কলাপাড়ায় উল্টো রথযাত্রা
কলাপাড়ায় উল্টো রথযাত্রা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের আনন্দ মিছিল
চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের আনন্দ মিছিল

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

যুবককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ১
যুবককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ১

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উত্তাল বঙ্গোপসাগরে আশ্রয় নিল শত শত ট্রলার, চার বন্দরে সতর্কতা
উত্তাল বঙ্গোপসাগরে আশ্রয় নিল শত শত ট্রলার, চার বন্দরে সতর্কতা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি নামলে নির্বাচন পেছানোর সাহস কারো নেই : গয়েশ্বর
বিএনপি নামলে নির্বাচন পেছানোর সাহস কারো নেই : গয়েশ্বর

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুবকের লাশ উদ্ধার
যুবকের লাশ উদ্ধার

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‌পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ হবে : জামায়াত আমির
‌পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ হবে : জামায়াত আমির

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রূপগঞ্জে কুপিয়ে আহত ইলেকট্রিশিয়ানের মৃত্যু
রূপগঞ্জে কুপিয়ে আহত ইলেকট্রিশিয়ানের মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কুড়িগ্রামে কঠোর নিরাপত্তায় উল্টো রথ যাত্রা উদযাপন
কুড়িগ্রামে কঠোর নিরাপত্তায় উল্টো রথ যাত্রা উদযাপন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল
মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক
চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোলায় সাত কোটি টাকার অবৈধ পণ্য জব্দ
ভোলায় সাত কোটি টাকার অবৈধ পণ্য জব্দ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তিন ম্যাচ জিতেই এশিয়া কাপে বাংলাদেশ
তিন ম্যাচ জিতেই এশিয়া কাপে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেই চা দোকানির পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেই চা দোকানির পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ

৪ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

সর্বাধিক পঠিত
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস
এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট
উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’
‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল-হিলালকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স
আল-হিলালকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল
কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান
১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা
লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা
কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?
ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত
৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা
ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শুটিংয়ে আসতে দেরি, গোবিন্দোকে কষে চড় মারেন অমরিশ পুরি!
শুটিংয়ে আসতে দেরি, গোবিন্দোকে কষে চড় মারেন অমরিশ পুরি!

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ
হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প
নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে 'ইতিবাচক' হামাস
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে 'ইতিবাচক' হামাস

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে ফের ইসরায়েলি হামলা
যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে ফের ইসরায়েলি হামলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!
আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ
৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা
গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!
বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!

১৪ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’
আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ
কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক
চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল
মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান
আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স
নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স

প্রথম পৃষ্ঠা

অপরাজিত বাংলাদেশ
অপরাজিত বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি
যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ
বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

ছুটির ঘোষণা
ছুটির ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ পবিত্র আশুরা
আজ পবিত্র আশুরা

প্রথম পৃষ্ঠা

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

সম্পাদকীয়

মব সন্ত্রাস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়
মব সন্ত্রাস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই
ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

এখনো মর্গে নামপরিচয়হীন ছয় শহীদ
এখনো মর্গে নামপরিচয়হীন ছয় শহীদ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলা ব্লকেডের ঘোষণা
বাংলা ব্লকেডের ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

দেড় বছরে ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে
দেড় বছরে ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ
আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ

মাঠে ময়দানে

টি স্পোর্টস
টি স্পোর্টস

মাঠে ময়দানে

৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে
৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

হোটেল জাকারিয়ায় ভাঙচুর ও নারীদের ওপর হামলার ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার
হোটেল জাকারিয়ায় ভাঙচুর ও নারীদের ওপর হামলার ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার

নগর জীবন

উলটো রথ টেনে শেষ হলো রথ উৎসব
উলটো রথ টেনে শেষ হলো রথ উৎসব

নগর জীবন

আজকের প্রশ্ন
আজকের প্রশ্ন

মাঠে ময়দানে

হাজার রানের ক্লাবের সদস্য হৃদয়
হাজার রানের ক্লাবের সদস্য হৃদয়

মাঠে ময়দানে

১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে
১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব
ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব

মাঠে ময়দানে

এবার যেনতেন নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না
এবার যেনতেন নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

উল্টো রথযাত্রায় ভক্তের ঢল
উল্টো রথযাত্রায় ভক্তের ঢল

দেশগ্রাম

নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে হবে
নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে হবে

নগর জীবন

পুলিশকে জনবান্ধব করতে সংস্কারের বিকল্প নেই
পুলিশকে জনবান্ধব করতে সংস্কারের বিকল্প নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

শত শত কারখানায় নিষিদ্ধ জাল
শত শত কারখানায় নিষিদ্ধ জাল

দেশগ্রাম

মানুষ আর কত জীবন দেবে
মানুষ আর কত জীবন দেবে

নগর জীবন

টিভিতে
টিভিতে

মাঠে ময়দানে