গাল, ওপরের ঠোঁট কিংবা থুতনিতে ছোট ছোট ‘লোম’- খুবই স্বাভাবিক বিষয়। এই অবাঞ্ছিত লোম সরাতে সেকেলে পদ্ধতি তো আছেই! আজকের দুনিয়ায়- স্যালন এবং পারলারগুলোয় অসংখ্য কার্যকর পদ্ধতির পাশাপাশি আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারও দেখা যায়। তবে লোম অপসারণের আগে কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি। সবার আগে ত্বকের ধরন বুঝে সঠিক পদ্ধতি বেছে নেওয়া উচিত।
মুখের লোম অপসারণের পদ্ধতি-
১. ট্যুইজিং : ট্যুইজিং মুখের লোম অপসারণের সবচেয়ে সহজ এবং সাশ্রয়ী উপায়। এটি সাধারণত ভ্রু ঠিক রাখতে ব্যবহৃত হয়, তবে হঠাৎ করে গজিয়ে ওঠা থুতনির লোমের জন্যও এটি কার্যকর।
২. ডেপিলেটরি হেয়ার রিমুভাল ক্রিম : ডেপিলেটরি শক্তিশালী ক্ষারীয় পণ্য যা লোম ভেঙে দেয়, ফলে উষ্ণ তোয়ালে দিয়ে সহজেই মুছে ফেলা যায়। লোমের ধরন ও পণ্যের ফর্মুলার ওপর নির্ভর করে এটি ৫ থেকে ১০ মিনিট সময় নেয়। তবে এতে থাকা রাসায়নিক মুখের সংবেদনশীল অংশে ত্বক পুড়িয়ে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে ফেসিয়াল হেয়ার রিমুভাল অতিরিক্ত ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। ফলাফল কয়েক দিন স্থায়ী হয়।
৩. ডার্মাপ্লেনিং : ডার্মাপ্লেনিং এক ধরনের ফেসিয়াল শেভিং, যেখানে একটি ছোট এক্সফোলিয়েটিং স্কাল্পের ব্যবহার করে ত্বকের ওপরের স্তর (লোম) অপসারণ করা হয়। যা দুই সপ্তাহ স্থায়ী হয়। এই পদ্ধতিতে লোম মোটা বা গাঢ় হয়ে ফিরে আসে না। শেভের পর হাইড্রেটিং সিরাম ব্যবহার করলে ত্বক মসৃণ ও আর্দ্র থাকে।
৪. ওয়াক্সিং : ওয়াক্সিং মুখ ও শরীরের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার দীর্ঘস্থায়ী পদ্ধতি, যা প্রায় চার সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এর জন্য গরম ওয়াক্স (বা ওয়াক্সিং স্ট্রিপ) প্রয়োজন। ডার্মাটোলজিস্টরা ফেসিয়াল ওয়াক্স স্ট্রিপ বা হেয়ার রিমুভাল ক্রিম ব্যবহারের পরামর্শ দেন। পাশাপাশি ওয়াক্সিংয়ের পর হালকা, শান্ত তেল দিয়ে ত্বক ময়েশ্চারাইজ করাও জরুরি।
৫. থ্রেডিং : থ্রেডিং একটি প্রাচীন লোম অপসারণ পদ্ধতি যা সুতা ব্যবহার করে সঠিক ভ্রু আকৃতি এবং লোম অপসারণের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি দ্রুত, কোনো রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না। ফলাফল ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
৬. শেভিং : ডার্মাপ্লেনিংয়ের মতো ছোট ব্লেড ব্যবহার না করে, শেভিং একটি ক্লাসিক রেজার ব্যবহার করে। তবে মুখের জন্য বিশেষভাবে তৈরি আধুনিক রেজারও পাওয়া যায়, যেমন ভ্রু রেজার। মুখ শেভ করার জন্য আলাদা রেজার ব্যবহার করা ভালো, যাতে শরীরের অন্যান্য অংশে ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে না পড়ে।
৭. লোম অপসারণ গ্যাজেট : এই ছোট গ্যাজেটগুলো দেখতে স্লিংকির মতো এবং লোমকে সরাসরি মূল থেকে টেনে বের করে কাজ করে। এই পদ্ধতি ট্যুইজিংয়ের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর।