আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা মানুষের জীবনযাত্রাকে দারুণভাবে প্রভাবিত করছে। প্রত্যাশিতভাবেই মানুষের প্রাত্যহিক জীবনকে রীতিমতো পাল্টে দিচ্ছে বিভিন্ন ধরনের এআই। তবে চ্যাটবট, কোডিং কিংবা সমস্যা সমাধানসংক্রান্ত এআই’র পর এআই প্রবেশ করে জেনারেটিভ মিডিয়ার যুগে। যেখানে এআইকে কাজে লাগিয়ে কনটেন্ট তৈরি করা যায়। একটা ছোট্ট প্রম্পট ব্যবহার করে মুহূর্তের মধ্যেই ছবি কিংবা ভিডিও তৈরি হচ্ছে। আর জেনারেটিভ মিডিয়ার কারণে বিশ্ব রাজনীতিতেও নিজের ভূমিকা আরও দৃঢ় করে তোলে এআই। ফলে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এআই এক ভয়াবহ অস্ত্ররূপে আবির্ভূত হয়েছে। এআই ব্যবহার আপত্তিকর ছবি তৈরি, ছবি বিকৃতি, ভিডিও তৈরি, বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোসহ নানানভাবে জনমতকে প্রভাবিত করা সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নির্বাচন ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এআই প্রযুক্তির এমন ব্যবহার লক্ষ করা গেছে। এআই ব্যবহার করে নির্দিষ্ট দেশের মানুষের মতো, চারপাশের আবহাওয়া অনুযায়ী এমন সব ছবি ও ভিডিও তৈরি করা হচ্ছে যেগুলোর আসলে বাস্তবে কোনো প্রকার অস্তিত্ব নেই। মূলত নির্দিষ্ট কোনো গোষ্ঠী বা দলের পক্ষে জনমত তৈরি কিংবা বিপক্ষ দলের বা দলের মানুষের প্রতি কুৎসা রটনার জন্য এসব কনটেন্ট তৈরি হয়। অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেই কনটেন্ট ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। আর সেসব কনটেন্ট দেখে সাধারণ মানুষের ধারণা পাল্টে যাচ্ছে। এ ধরনের কনটেন্ট তাদের দারুণভাবে প্রভাবিত করছে। এসব কনটেন্টের মূল লক্ষ্য একটাই-রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করা। এ ধরনের ভিডিওকে বলা হয় ‘সফটফেক’। এগুলো নিখুঁত বা বাস্তব দেখানোর চেষ্টাও করে না-বরং এগুলোর উদ্দেশ্যই হলো মানসিক প্রভাব ফেলা। ইউরোপীয় নির্বাচনে এএফডির প্রার্থী ম্যাক্সিমিলিয়ান ক্রাহ, ফ্রান্সের রাজনৈতিক দলগুলো এবং অন্যান্য উগ্র ডানপন্থি গোষ্ঠী তাদের প্রচারণায় এমন বহু সফটফেক ছবি শেয়ার করেছে, যেগুলোতে কোথাও উল্লেখ ছিল না যে ছবিগুলো এআই দিয়ে তৈরি। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচন চলাকালে দলগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট তৈরি বা ছড়াবে না, বাস্তবে তা মানা হয়নি। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগ মুহূর্তেও দেখা গেছে এআই-সম্পাদিত ছবি দিয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি ছবি পোস্ট করেছেন যেখানে দেখা যাচ্ছে কমলা হ্যারিস কমিউনিস্টদের উদ্দেশে বক্তব্য দিচ্ছেন-যা আসলে একটি বিকৃত বার্তা। বাংলাদেশেও সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক প্রচারণায় এআই নির্মিত ভিডিওর ব্যবহার পরিলক্ষিত হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এরকম শত শত ভুয়া বা এআই তৈরি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী আর মাত্র কয়েক মাস পরেই দেশে জাতীয় নির্বাচন, তাই সেই নির্বাচনে ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে এআই।
শিরোনাম
- আমরা চাই গণতন্ত্রের স্বার্থে সুষ্ঠু নির্বাচন এই সরকারের মাধ্যমেই হোক : গয়েশ্বর
- জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে এনসিপি
- মেক্সিকোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শিশুসহ ২৩ জনের মৃত্যু
- রুনা লায়লাকে নিয়ে আসছে উপন্যাস
- বিরোধীদের দাবি ৭০০ নিহত, সরকার বলছে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’
- গাইবান্ধায় গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ৩
- ‘তালেবান সরকারকে না জানিয়েই দুই আফগানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান’
- বিদেশে নেওয়ার কথা বলে তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেফতার
- ক্যারিবীয় সাগরে আবারও জাহাজে মার্কিন হামলা, নিহত ৩
- জাপানে ভালুকের আক্রমণ ঠেকাতে মাঠে নামছে সেনাবাহিনী
- চীনের চমক, মানুষের সঙ্গে মহাকাশে চার ইঁদুর!
- তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের ৬ষ্ঠ দিনের শুনানি চলছে
- আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
- নাইজেরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর হুমকি ট্রাম্পের
- রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
- হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় জাতি
- ইরানে সশস্ত্র হামলা, নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্য নিহত
- কর ফাঁকিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে এনবিআর
- তুরস্ক থেকে সিরিয়ায় ফিরেছেন সাড়ে পাঁচ লাখ শরণার্থী
- কর ফাঁকিতেও চ্যাম্পিয়ন সেই ডাক্তাররা
নির্বাচনি প্রচারণায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
রণক ইকরাম
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর