বঙ্গবন্ধু সেতু ভ্রমণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাল্কহেডের ধাক্কায় ধলেশ্বরী নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিখোঁজ থাকা দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস।
নিহতরা হলেন-সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের বাহির কামতা দানেজ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৫), সাটুরিয়া সদর ইউনিয়নের উত্তর কাউন্নারা এলাকার মৃত সেলিম মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া (১৪)।
জানা যায়, মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) ভোরের দিকে জেলার সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া, ফকুরহাটি ও সাটুরিয়া সদর ইউনিয়নের ৬০ জন একটি ট্রলার নিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু ভ্রমণের উদ্দেশে রওনা হয়। ভ্রমণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ঘিওর উপজেলার কুসন্ডা এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে চলাচলরত বাল্কহেডের ধাক্কায় ৬০ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে জীবিত ৫৮ জনকে উদ্ধার করা হয় এবং তাদের মধ্যে মিলন (১৫) নামে এক কিশোরকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ট্রলার ডুবির ঘটনার পরপরই আরিচা স্থল কাম নদী বন্দর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। অন্যরা উদ্ধার হলেও নিখোঁজ থাকে দুজন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালে দুটি মরদেহ নদীর কিনারে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে ওই দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস বলেন, সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন