এ অঞ্চলে বাঙালিসহ প্রায় ১০ ভাষাভাষি ১১টি জতিগোষ্ঠীর বসবাস। ভাষাগত ভিন্নতার পাশাপাশি আছে পোশাকেও ভিন্নতা। তবে শিক্ষা অঙ্গনে নেই অসাম্প্রদায়িক চেতনা। তাই নতুন বাংলাদেশকে স্বাগত জানাতে নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে রাঙামাটিকে।
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী আর বাঙালি শিক্ষার্থীদের সংমিশ্রণে অঙ্কিত হচ্ছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নানা চিত্রকলা। রঙ তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে শহীদ ছাত্র আবু সাঈদসহ অসংখ্য আত্মত্যাগী শিক্ষার্থীদের প্রতিচ্ছবি। রাঙামাটি শহর ঘুড়ে দেখা যায় এমন চিত্র।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুর ১২টায় ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়। কিন্তু তবুও বসে নেয় শিক্ষার্থীরা। একদল গিটারে তুলেছে তাল। আর একদল রঙ তুলির চিত্রকলায় মাতোয়ারা। সারাদিনে টানা বৃষ্টিও যেন দমিয়ে রাখতে পারছে না এ শিক্ষার্থীদের চিত্রকলা। কারো হাতে রঙ। আবার কারো হতে ব্রাশ আর তুলি। শিক্ষার্থীদের কোমল হাতের ছোয়ায় আবারও হেসে উঠলো জং ধরা বহু বছরের পুরো দেওয়ালও। রঙে রঙে রঙিন হচ্ছে রাঙামাটির পথপ্রান্তর। ফুটপাত থেকে রাজপথ- সবখানে প্রতিবাদী শিক্ষার্থীদের শব্দ চয়ন।
শিক্ষার্থী মো. সালা উদ্দীন আরিয়ান বলেন, আর নয় রাজনৈতিক স্লোগান। শিক্ষার্থীদের সম্প্রীতির মিলবন্ধ রচিত হোক পাহাড়ের পথ প্রান্তরে। এ চিত্রকলায় অংশ নিয়েছে রাঙামাটির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এখানে নেই পাহাড়ি বাঙালির কোনো ভেদাভেদ। সবাই যার যার মতো ব্যস্ত সময় পাড় করছে। একটি সুন্দর পরিবেশ উপহার দিতে রাজপথ থেকে পাহাড়ের শিক্ষার্থীরাও যেন থেমে নেই।
এ বিষয়ে রাঙামাটি সচেতন নাগিরক সমাজ প্রতিনিধিরা বলেন, এটা সত্যি একটা ইতিবাচক দিক। শিক্ষার্থীদের সুন্দর প্রতিভায় রূপান্তরিত কোনো অসম্প্রাদায়িক বাংলাদেশ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল