গোপালগঞ্জে ‘শেকড়ের গান’ শীর্ষক লোকসংগীতের অসর বসেছিল শেখ মণি স্মৃতি অডিটোরিয়ামে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন গতকাল সন্ধ্যায় এ আসরের আয়োজন করে।
বাউল ও লোক সংগীতের সমন্বয়ে আয়োজিত এ আসরের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ গোলাম কবির।
শুরুতেই ‘বড় সংকটে পড়ে দলায়’ লালনের গান পরিবেশন করে আসর মাত করেন সীমা বাউল। তারপর হাসন রাজা, রাধারমন, শাহ আবদুল করিম, বিজয় সরকার, আব্দুর রহমান বয়াতিসহ দেশের খ্যাতনামা বাউলের রচিত জনপ্রিয় সব সংগীত পরিবেশন করা হয়। ফাঁকে ফাঁকে শিল্পীরা পরিবেশন করেন লোক সংগীত। রাত ১০ টা পর্যন্ত চলে লোকসংগীতের এ আসর। উপস্থিত দর্শকরা এ আসর থেকে নির্মল আনন্দ উপভোগ করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, বাউল ও লোক সংগীত বাংলাদেশের সংস্কৃতির সঙ্গে অকৃত্রিমভাবে জড়িয়ে আছে। এ দেশের কৃষ্টি কালচারের সাথে বাউল সংগীতের পদচারণা আমরা প্রতিটি এলাকায় দেখতে পাই। গোপালগঞ্জও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই আমরা একটি সাংস্কৃতিক সৌহার্দপূর্ণ সম্প্রীতির গোপালগঞ্জ বিনির্মাণ করতে চাই। এটি করতে আমি সবার সহযোগিতা চাই।
কবি রবীন্দ্র নাথ অধিকারী বলেন, শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার শক্তিশালী একটি মাধ্যম সংগীত। আর লোক সংগীত হল সংগীতের একটি স্বতন্ত্রধারা ।পল্লীর মানব হৃদয়ের দর্শন, চিন্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে সংগীতে। এ আসরে তেমনই অবতারণা হয়েছে। তাই আসরটি বেশ ভাল লেগেছে।
কবি মিন্টু হক বলেন, সংস্কৃতি একটি বহমান ধারা। এটি জীবন, প্রকৃতি, ধর্ম, কর্ম, আধ্যাত্মিকতাসহ বিভিন্ন বিষয়ের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। এখানে আয়োজিত ‘শেকড়ের গান’ শীর্ষক লোকসংগীতের মধ্যে এমন সব বিষয় চলে এসেছে। তাই তন্ময় হয়ে এ আসর উপভোগ করেছি।
দর্শক পাভেল রহমান বলেন, ‘শেকড়ের গান’ শীর্ষক লোকসংগীতের আসরে বাউল ও লোক সংগীত পরিবেশ করা হয়। এখানে সুস্থ ধারার সংস্কৃতি উপস্থাপন করা হয়েছে। বাঙালির হাজার বছরের কৃষ্টি কালচার ফুঁটিয়ে তোলা হয়েছে। আমরা এখান থেকে আনন্দ উপভোগ করেছি। এ জাতীয় আয়োজন করা হলে আমাদের সংস্কৃতি বেঁচে থাকবে। তাই আমি বারবার এ জাতীয় অনুষ্ঠান আয়োজনের দাবি জানাই।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ