মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে নিজ ঘর থেকে ফজিলত বেগম (৭০) নামের এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
ফজিলত বেগমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তাঁর ছেলে ফজল জানায়, প্রতিদিনের মতো আজও (রবিবার, ৬ অক্টোবর) সকালে কাজের উদ্দেশ্যে আমি বাড়ি হতে বের হই। হঠাৎ করে আমার স্ত্রী ফোন করে জানায় মা মারা গেছেন।
পরে বাড়িতে এসে দেখি কে বা কারা আমার মাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। মায়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরির ক্ষত লেগে আছে এবং তার পেটে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে রেখেছে। বাড়িতে মা একাই থাকতেন। আমার জানা মতে আমার মায়ের সাথে কারো কোনো ধরনের শত্রুতা নেই।
ফজল আরও জানায়, এর আগেও মা এর কাছে কিছু মানুষ টাকা চেয়েছিলো যাদেরকে আমি চিনি না। ওই সময় মা তাঁদের টাকা দেয়নি দেখে মাকে গালাগালি করেছিলো তারা। ছেলে ফজলের সন্দেহ তারাই তাঁর মাকে হত্যা করেছে।
নিহত ফজিলত বেগম টঙ্গীবাড়ী উপজেলার হাসাইল বানারী ইউনিয়নের বাসিন্দা। জানা গেছে,তাঁর বাড়ি নদীতে ভাঙার পরে পাঁচগাও ইউনিয়নের মধ্য খলাগাঁও গ্রামে থাকতেন তিনি।
এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মুহিদুল ইসলাম বলেন, নিহত বৃদ্ধা রাস্তার পাশের একটি ঘরে একাই থাকতেন। তার ছেলেমেয়েরা অন্য স্থানে থাকেন। বৃদ্ধার স্বামীও তাঁর সাথে থাকেন না। রাতের আঁধারে কেউ বৃদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে মনে হচ্ছে। তার শরীরে রক্তাক্ত জখম রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/আশিক