সাতক্ষীরার দেবহাটার মিনি স্টেডিয়ামটি শহীদ আসিফ হাসানের নামে নামকরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকায় নিহত সাতক্ষীরার দেবহাটার সন্তান শহীদ আসিফ হাসান দেশের সম্পদ এবং জাতীয় বীর। আপনারা জানেন সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম হচ্ছে। এটার নাম দেওয়া ছিল শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম। ইতোমধ্যে সেগুলো পরিবর্তনে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। সরকারের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তির নামে হবে না। আমাদের যারা জাতীয় বীর এবং যে সব শহীদ রয়েছেন, তাদের নামে এগুলো নামকরণ করা হবে। এরই অংশ হিসেবে দেবহাটা উপজেলার মিনি স্টেডিয়ামের নাম ‘শহীদ আসিফ স্টেডিয়াম’ হিসেবে নামকরণ করা হবে।’
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া বলেন, সাতক্ষীরা জেলার অনেক খেলোয়াড় ক্রীড়াক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এ জেলার ক্রীড়া উন্নয়নে অন্তবর্তী সরকারের যা করার দরকার সবই করবে।
তিনি আরও বলেন,পূর্ববর্তী সরকারের মন্ত্রীরা তার এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছেন। দেশের সার্বিক উন্নয়নে বৈষম্য করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ জেলাকে ঢাকার চেয়েও বেশি উন্নত করা হয়েছে।
এসময় তিনি আরও বলেন, দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখতে অন্তর্বতী সরকার কাজ করছে। অথচ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট করতে ষড়যন্ত্র করছে। দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে এবং তাদের সব ষড়ষন্ত্র রুখে দিতে হবে।
যুব উন্নয়ন অধিদফতর ও ক্রীড়াসংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে অন্যান্যের মধ্যে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়ার একান্ত সচিব আবুল হাসান, সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মুনীরুজ্জামান, ফিফা রেফারি তৈয়ব হাসান বাবু, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিজামউদ্দীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম রিপন, ছাত্র সমন্বয়ক ইমরান হোসেন বক্তব্য দেন।
এসময় জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি নুরুল হুদা, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব ও ওরিওরস্ ক্লাবের সভাপতি আ.ন.ম আবু সাঈদ, এরিয়ান্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সদ্য বিদায়ী কাউন্সিলর আইনুল ইসলাম নান্টা,ক্রীড়া সংস্থার সাবেক যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান শাহিন, জাতীয় দলের ফুটবলার আলমঙ্গীর কবির রানাসহ জেলা ও জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড়রা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তরা বলেন, সাতক্ষীরার কৃতিসন্তান খ্যাতিনামা ক্রিকেটার মোস্তাফিজ,সৌম্য সরকার, জাতীয় দলের নারী ফুটবলের ক্যাপটেন সাবিনা, ফুটবলার মাসুরা, প্রান্তি, এ্যাথলেটিকসে দ্রুততম মানবী শিরিন আক্তারসহ জাতীয় পর্যায়ে ১০৯ জন খেলোয়ারের বসবাস। এতো ন্যাশনাল খেলোয়াড় থাকতে আমরা সাতক্ষীরায় ক্রীড়া কমপ্লেক্স ইনডোর জিমনেসিয়াম পাচ্ছি না।
তারা বলেন, নারী খেলোয়াড়দের আবাসিক ব্যবস্থা প্রয়োজন। এগুলো দ্রুত ব্যস্থ্যবায়ন হলে সাতক্ষীরার ছেলে-মেয়েরা ক্রীড়া ক্ষেত্রে আরও গুরুত্ব রাখতে পারবেন।
এর আগে রাত ৮টায় সাতক্ষীরা সার্কিট হাউসে পৌঁছালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা তাকে স্বাগত জানান।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম