৩০ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৮:৪৫

বাহারি ফুলে রঙিন নাটোরের উত্তরা গণভবন

নাটোর প্রতিনিধি

বাহারি ফুলে রঙিন নাটোরের উত্তরা গণভবন

গোলাপ, গাঁদা, ডালিয়া, নয়নতারা, সিলভিয়া, জিনিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া আর হলদে গাঁদা ফুলে ছেয়ে গেছে নাটোরের উত্তরা গণভবনের বাগান। নতুন রূপে ফুলে ফুলে শোভিত প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় বাসভবন 'উত্তরা গণভবন' দেখতে প্রতিদিন  ভিড় করছে হাজার হাজার দর্শনার্থী। গণভবনের মূল ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতেই দুপাশের সারি সারি গাঁদা ফুল দর্শনার্থীদের বরণ করছে। এসব বাহারি প্রজাতির ফুল ঘ্ষোণা দিচ্ছে ঋতুরাজ বসন্তের আগমনী বার্তা।

সবুজের বুকে লাল, নীল, হলুদ, সাদাসহ নানা প্রজাতির ফুল দর্শনার্থীদের হাত বাড়িয়ে ডাকছে। ফুলের মিষ্টি গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো গণভবন চত্বরে। সেই গন্ধে ফুলে ফুলে ঘুরছে মৌমাছি-প্রজাপতি। কর্তৃপক্ষের দাবি, শীতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দর্শনার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। সূর্য ডুবে গেলেই সেখানকার ভবনগুলো রঙিন বাতিতে ঝলমল করে উঠছেদ। দেশি-বিদেশি অসংখ্য ফুল ও ফলের গাছগাছড়া, সুদীর্ঘ লেক, পুকুর, ইতালিয়ান গার্ডেন ও নয়নাভিরাম একাধিক ভবন নিয়ে উত্তরা গণভবন দর্শনার্থীদের বেড়ানোর জন্য বেশ পছন্দের জায়গা। উত্তরা গণভবনের মূল প্যালেসের পাশের রানীমহল, গ্র্যান্ড মাদার মহলের পাশের অংশ ও ইতালিয়ান গার্ডেনের ভেতরে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের গাছ। এগুলোতে ফুটে আছে নানান রঙ ও বর্ণের দৃষ্টিনন্দন ফুল।  

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ বছর উত্তরা গণভবন চত্বর জুড়ে ২১ প্রজাতির ২৫ হাজার ফুল গাছের চারা রোপন করা হয়েছে। যার মধ্য রয়েছে-গোলাপ, গাঁদা, ডালিয়া, নয়নতারা, সিলভিয়া, জিনিয়া, চন্দ্রমলি­কাসহ নানান প্রজাতির ফুল। এছাড়াও দেশ-বিদেশের বিরল প্রজাতির ফুলও ফুটেছে। যার মধ্যে-সাদা অ্যারামন্ডা, হোয়াইট পয়েন্সেটিয়া, পারিজাতসহ বাহারি প্রজাতির ফুল।

মাগুড়ার কলেজ ছাত্রী রুপালী বেগম জানান, উত্তরা গণভবন আমার পচ্ছন্দের একটি পর্যটন স্থান। শীত মৌসুমে উত্তরা গণভবনে প্রচুর ফুলের গাছ রোপন করা হয়েছে। এতে করে গণভবনের সৌন্দর্যকে কয়েক গুন বাড়িয়ে দিয়েছে।

বগুড়া থেকে উত্তরা গণভবন ঘুরতে আসা গৃহবধূ রোজিনা তাসনিম জানান, আমি প্রতি শীতে উত্তরা গণভবনে বেড়াতে আসি। ফুলে ফুলে শোভিত গণভবন দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। 

নাটোর জেলা সদর থেকে প্রায় ১ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার উত্তরে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের পাশে দিঘাপতিয়া গ্রামে উত্তরা গণভবনের অবস্থান। পুরোনো ইতিহাস ঘেঁটে জানা গেছে, ১৮০২ সালে রাজা রামজীবন ৪২ একর জমির ওপর রাজপ্রাসাদটি নির্মাণ করেন। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে প্রাসাদটি ধ্বংস হলে ১৮৯৭ থেকে ১৯০৮ সাল পর্যন্ত সময়ে বিদেশি প্রকৌশলী ও বিশেষজ্ঞ শিল্পীদের সহায়তায় দিঘাপতিয়া রাজবংশের ষষ্ঠ রাজা প্রমদানাথ রায় আজকের এই রাজপ্রাসাদটি নতুনভাবে নির্মাণ করেন।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

সর্বশেষ খবর