রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাস বাংলাদেশ ভাস্কর্যের পাদদেশে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) শিক্ষার্থীরা এই প্রতিবাদ জানান। এসময় আইইআরসহ বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অবিলম্বে অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষ বিচার দাবি করেন।
আইইআরের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী আতিফা হক বলেন, ইনস্টিটিউট যে তদন্ত কমিটি করেছে, তার প্রতিবেদন এখনো দেয়নি। এই ধরনের বিষয়ে বিলম্ব হলে সেটি ধামাচাপা পড়ে যায়। এরকম বিষয় ধামাচাপা পড়ে যাক এটা আমরা চাই না। আমরা চাই সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীর শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রিজওয়ানুল আলম বলেন, অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত সাপেক্ষে সেই শিক্ষকের যথাপোযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করুক। এছাড়াও ক্যাম্পাসে মেয়েদের নিরাপত্তার ব্যাপারটিও বিবেচনায় আনতে হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু বলেন, ইনস্টিটিউট একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে। সেটা তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জমা দিবে। পরে তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে। তখন ওই প্রতিবেদন নিয়ে যদি প্রশ্ন উঠে তখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হয়তো নতুন তদন্ত কমিটি করবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ ও ২৭ জুন আইইআরের দুই ছাত্রী তাদের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক বিষ্ণু কুমার অধিকারীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিকভাবে উত্ত্যক্তের লিখিত অভিযোগ করেন। এর পরদিন ইনস্টিটিউটের এক জরুরি সভায় বিষ্ণু কুমার অধিকারীকে দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ষের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে তিন সদস্যের সত্যতা যাচাই কমিটি গঠন করে।
এরপর ২৮ জুন নিরাপত্তা চেয়ে নগরীর মতিহার থানায় অভিযোগকারী ওই দুই শিক্ষার্থী দুটি পৃথক সাধারণ ডায়েরি করেন। গত ৩০ জুন অভিযুক্ত শিক্ষকের সবোর্চ্চ শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন পালিত হয়। পরে শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিষ্ণুকুমার অধিকারীকে আইইআরের সব বর্ষের শিক্ষা কার্যক্রমে অব্যাহতি দেয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার