রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়াসহ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ৬ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও লিচু চুরির মামলা দায়ের করা হয়েছে। নগরীর হেতেমখা এলাকার আব্দুল্লাহ ইবনে মনোয়ার নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজশাহী সিএমএম আদালতে গত ১৫ মে এ মামলাটি দায়ের করেন। আগামী ১৬ জুলাই আসামিদের আদালতে হাজিরার জন্য ডাকা হয়েছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মিজানুর রহমান বাদশা মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ছাড়া এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, আইন বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান আলী, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কানন, উপ আন্তজার্তক বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান আশিক ও কর্মী মেহেদী হাসান বিজয়। এছাড়াও ক্যাম্পাসের বহিরাগত কিন্তু ছাত্রলীগ সভাপতির কক্ষে থাকেন মো. আকাশ নামের একজনকেও এই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বাদী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনস্থ গোদাগাড়ী বাগানের আম ও লিচু চলতি মৌসুমসহ (২০১৯-২০) এই দুই মৌসুমের ১৫১৯৯৯.১০ টাকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের নিকট হতে লিজ গ্রহণ করে। বর্তমানে সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। লিজ সময় অতিক্রান্ত হওয়াকালীন উপারোক্ত নামীয় আসামিরাসহ আরো ১৫/২০ জন গত ০৭/০৫/১৯ তারিখে রাতে আনুমানিক ৮টায় গোধাগাড়ী বাগানের অবৈধ অস্ত্র-সস্ত্রসহ মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে বাদীর কাছ থেকে ২,০০,০০০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় বাদীর সঙ্গে সাক্ষীরাও থাকায় আসামিরা কোনো অঘটন ঘটাতে না পেরে উপরোক্ত আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০ জন আসামি বাদীকে হুমকি দেয়। তারা বাদীকে দুই দিনের মধ্যে দুই লক্ষ টাকা পৌঁছে দিতে বলেন। না হলে বাদীকে বাগান থেকে আম ও লিচু না পাড়তে দেয়ার হুমকি দেয়। অবশেষে ঘটনার দিন ০৯/০৫/১৯ তারিখ বেলা ৪টায় উপরোক্ত আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন মিলে বাগানের লিচু পাড়তে থাকে।
এজহারে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বাগানের পাহাড়াদার লিচু পাড়তে নিষেধ করলে ১নং আসামি গোলাম কিবরিয়া বাদীকে কিল ঘুষি মারে এবং মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে বাগান হতে দূরে সরে যেতে বলে। আসামিরা সকলে মিলে বাগানের প্রায় ১৫০০০০ টাকার লিচু চুরি করে। বাগানের পাহারাদার কিছু দূরে গিয়ে মোবাইল ফোনে বাদীকে ঘটনাটি জানালে আসামিরা চুরিকরা লিচুসহ দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আসামিরা এখনো চাঁদার হুমকি অব্যাহত রেখেছে। এতে বাদীর জীবন হুমকির মুখে রয়েছে। উপরোক্ত ঘটনা ঘটিয়ে আসামিরা দ: বি: ৩২৩/৩৭৯/৩৮৫/৩৮৭/৫০৬(২)/৩৪ ধারার অপরাধ করেছে। বাদী গত ০৯/০৫/১৯ ইং তারিখে মতিহার থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলাটি গ্রহণ না করে আদালতে এসে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে আত্মীয়স্বজন ও নিকটজনদের সঙ্গে আলোচনা করে আদালতে এসে মামলা দায়েরে সামান্য বিলম্ব হয়।
বিডি-প্রতিদিন/০৯ জুলাই, ২০১৯/মাহবুব