নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে হল দুই শিক্ষকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। রবিবার রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চলা এ সংঘর্ষের সময় ক্যাম্পাসে হাতবোমা বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে শতাধিক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় শহীদ আব্দুস সালাম হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে আবদুল মালেক উকিল হলের প্রভোস্ট ড. ফিরোজ আহমদ, বঙ্গবন্ধু মুজিব হলের সহকারী প্রভোস্ট ইকবাল হোসেন ও দুই ছাত্রকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সহকারী প্রভোস্ট ইকবাল হোসেন জানান, সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে গত শনিবার রাতে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রবিন ও সাধারণ সম্পাদক ধ্রুব’র সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রবিবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষে লিপ্ত ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসে। বৈঠক চলাকালে রাত ৮টার দিকে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ বাধে। এ সময় ক্যাম্পাসে হাতবোমা বিস্ফোরণ ও ভাঙচুর চালানো হয়। এতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এছাড়া সংঘর্ষ থাকাতে গিয়ে দুই শিক্ষকও আহত হন।
নোবিপ্রবি’র উপাচার্য প্রফেসর ড. দিদার-উল-আলম জানান, শিক্ষকরা ছাত্রদের ওই দু’গ্রুপকে নিয়ে শিক্ষক প্রতিনিধিরাসহ সমাধান করার চেষ্টা করেন। এ সময় তারা আবারও সংঘর্ষে জড়ায় এবং এতে দুই শিক্ষক ও তিন ছাত্রসহ পাঁচজন আহত হন।
এ বিষয়ে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের দু’গ্রুপের মধ্যে গত দু’দিন ধরে উত্তেজনা চলছে। বর্তমানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম