বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ৪৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মিখা পিরেগুকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে সিন্ডিকেট।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক অফিস আদেশ গণমাধ্যমের হাতে আসে।
অফিস আদেশে বলা হয়, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ-২০১৮ এর ৩ (২) (ক) ধারা অনুযায়ী ১৮ নভেম্বর ২০২০ তারিখ হতে মিখা পিরেগুকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হলো।’
অফিস আদেশে আরো বলা হয়, বিশেষ পরীক্ষার অনুমতির জন্য আবেদনপত্রে বিভাগীয় সভাপতির স্বাক্ষর ও সীলমোহর জালিয়াতির অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটি এবং কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে মিখা পিরেগু বলেন, ‘২০১৭ সালে আমি একটি বিশেষ পরীক্ষার জন্য বিভাগীয় সভাপতির সীল ও স্বাক্ষর সহ আবেদন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকে জমা দিয়েছিলাম। বিভাগ থেকে মিটিং করেই এটা অনুমোদন করেছিলো। কিন্তু উপাচার্য অফিস থেকে কোনো কারণ ছাড়াই এটি পারমিট না করায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক থেকে আমাকে আবার আবেদন করতে বলা হয়। শীতকালীন ছুটির কারণে ক্যাম্পাস ছুটি ছিলো বলে আমি প্রথমবার জমা দেয়া মূল কপিটার ফটোকপি জমা দিয়েছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত রিভিউয়ের জন্য আমি আবেদন করেছি। রিভিউ প্রক্রিয়াটি চলমান আছে।
মার্কেটিং বিভাগের বর্তমান সভাপতি মো. কাশেদুল ওহাব তুহিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি ওই সময় বিভাগের সভাপতি ছিলাম না তবে যতটুকু শুনেছি বিভাগ থেকে তার আবেদন পত্রটি ফরোয়ার্ড করা হলেও উপাচার্যের ফাইনাল অ্যাপ্রুভালের সময় এটি রিজেক্ট হয়ে যায়। ওনাকে আবার আবেদন দিতে বলা হলে তিনি যে আবেদনটি করেন সেটা বিভাগের সুপারিশ ছাড়াই। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকে ওই আবেদন পত্রে উনি যে তারিখ দিয়েছেন ওই তারিখে বিভাগের তৎকালীন সভাপতি ( নাঈমা আহমেদ) ছুটিতে ছিলেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল বলেন, ‘ছাত্র ইউনিয়ন কখনোই কোন অনৈতিকতাকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় না। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠা লজ্জার। আমরা অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সভায় আলোচনা করবো। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তবে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন