জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে ফারুক নামে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে তুলে এনে মারধর ও ২৬ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্তরা হলেন- শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনাম, নওশাদ হোসাইন, স্কুলছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রকি, এবং সহ-সম্পাদক রাজিবুল হক পান্থ ও আব্দুর রহিম।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাঁঠাল বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ফারুক মিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পানধোয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি পানধোয়া বাজারের একটি ডিশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্টাপ হিসেবে কাজ করেন। মঙ্গলবার রাতে এশার নামাজের পর আমবাগান সংলগ্ন এলাকাতে ডিশ বিল সংগ্রহের সময় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনামের নির্দেশে উঠিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ফারুক মিয়া।
পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাঁঠাল বাগান এলাকার নির্জন স্থানে নিয়ে যেয়ে মারধর ও ২৬ হাজার টাকা কেড়ে নেয় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা।
এ বিষয়ে ফারুক মিয়া অভিযোগ করে বলেন, রাতে এশার নামাজের পর আমি স্থানীয় কয়েকজনের বাসা থেকে ডিশের বিল তুলতে যাই। এসময় পান্থ, রকি এবং নওশাদ আমাকে তুলে কাঁঠাল বাগান নিয়ে যায়। ওখানে একটা নির্জন স্থানে রেখে মারধর করে। পরবর্তীতে আমার কাছে থাকা ২৬ হাজার টাকা ওরা নিয়ে আমাকে ছেড়ে দেয়। এসময়, তারা আমার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
পানধোয়া বাজারের ডিশ ব্যবসায়ী মাসুদ বলেন, এনামের নেতৃত্বে আল বেরুনী হল ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অনেকদিন থেকে আমার কাছে চাঁদা দাবি করছে। তাদের দাবি না মেনে নেওয়ায় গত ১৬ জুলাই আমার দোকানে ভাঙচুর করে। গতকাল রাতে আমার কর্মচারীকে তুলে নিয়ে তারা মারধর করে। এসময়, তার কাছে থাকা ২৬ হাজার টাকাও নিয়ে যায়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নওশাদ হোসেন এবং সহ-সম্পাদক রাজিবুল হক পান্থ। তারা বলেন, এ ব্যাপারে কিছু জানি না। ফারুক নামের কাউকে চিনি না৷
অন্যদিকে আনোয়ার হোসেন রকি এবং আব্দুর রহিমের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনাম বলেন, টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। বেয়াদবি করায় ফারুককে আমার ছেলেরা চড়-থাপ্পড় মেরে ছেড়ে দিয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে জাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, কোনো ব্যক্তির দায় সংগঠন নিবে না। তবে কেউ যদি সংগঠনের নাম ব্যবহার করে অপকর্ম করে তাহলে অভিযোগের সত্যতার ভিত্তিতে আমরা ব্যবস্থা নেব। আমাদের দফতর সেল আছে সংগঠনের কোনো নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সেখানে জানাতে পারে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল