বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যায় অভিযুক্ত আশিকুল ইসলাম বিটুর ক্লাসে অংশ নেওয়ার প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
সম্প্রতি আবরার হত্যাকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত বিটু কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের সঙ্গে একটি ক্লাসে যোগ দেয়। বিটুর সাথে ক্লাস না করার ঘোষণা দিয়ে তার বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রেশন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বুধবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা বুয়েট উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় ‘ছাত্ররাজনীতির ঠিকানা, এ বুয়েটে হবে না’, ‘হত্যাকারীর ঠিকানা, এ বুয়েটে হবে না’, ‘আবরার ফাহাদের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘বিটু আবার ক্লাসে গেলে, ক্লাসে ফিরে যাব না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ‘নো ক্যাম্পাস শেয়ারিং উইথ মার্ডারার’, ‘নো প্লেস ফর মার্ডারার ইন বুয়েট’ লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায়। এই ঘটনায় গত মঙ্গলবারও ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, বুয়েটের বহিষ্কারাদেশের ওপর উচ্চ আদালত স্থগিতাদেশ দেওয়ায় এর আগে ২০২১ সালে অনলাইন ক্লাসে অংশ নিয়েছিলেন আশিকুল। তবে সেসময় শিক্ষার্থীদের চাপে তা অব্যাহত রাখতে পারেননি। সম্প্রতি আবারও আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে ক্লাসে ফেরেন বিটু।
আশিকুল ইসলাম বিটুর ক্লাসে ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এর আগে যখন সে আদালতের স্টে অর্ডার নিয়ে ক্লাসে ফিরেছিল, আমরা আইনি মোকাবিলা করেছি। সর্বশেষ আদালত তাকে ক্লাসে ফেরার অনুমতি দিয়েছে। বুয়েট কর্তৃপক্ষ তাকে আইনত ক্লাস করা থেকে বিরত রাখতে পারে না। তবে, অন্য কোনো প্রক্রিয়া আছে কিনা সেটি বুয়েটের আইনজ্ঞরা বলতে পারবেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল