জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত কনসার্টে নগর বাউল খ্যাত জেমস আসছেন না এমন খবরটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, 'আমরা তিন দিন আগে জেমসের ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করেছি বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কনসার্টের জন্য।'
বৃহস্পতিবার একান্ত সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি। মোস্তফা কামাল বলেন, তারা মৌখিকভাবে সম্মতি দিয়েছেন আমাদের। এই পরিপেক্ষিতে আগামী সোমবার (৯ অক্টোবর) জেমসের ম্যানেজারের সাথে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ৫০ ভাগ (অর্ধেক) টাকা পরিশোধ করে চুক্তিপত্র সই করে আসার কথা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি দেখেছি ‘জেমস আসবে না’ বলে এমন একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। এজন্য কনসার্টের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্তটি কেউ কেউ ভুলভাবে প্রচারণা চালিয়েছে।
প্রক্টর বলেন, আমরা সুন্দর একটি আয়োজনের জন্য সকল প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি ইতিমধ্যে। আমি যতদূর জানি জেমস রাত আটটা থেকে ১০টা পর্যন্ত মঞ্চে গান পরিবেশন করবেন। জেমস সাধারণত তার কনসার্টে ১০ থেকে ১২টা গান করেন, কিন্তু এখানে কয়টা গাইবেন আমরা বিস্তারিত আগামী সোমবারে চুক্তিপত্র করতে গেলে জানতে পারব।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কনসার্ট নিয়ে জেমসের ম্যানেজার রবিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন সংগীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অনিমা রায়। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, 'আমি অবাক হয়েছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্তটিকে কে বা কারা এভাবে ভুলভাবে ছড়িয়ে দিয়েছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। আমার সঙ্গে গতকাল রাতেও রবিন ভাইয়ের কথা হয়েছে- এখন পর্যন্ত সবকিছু ঠিক আছে।'
অনিমা রায় বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসের কয়েকজন সাংবাদিক গতকাল রাতে রবিন ভাইকে ফোন দিয়েছেন। তিনি বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করে বলেন- ‘কনসার্ট হবে কি হবে না এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে কর্তৃপক্ষ আমরা তো কিছু বলতে পারব না।’ আমি তখন বলেছিলাম সবকিছু ঠিক আছে তো রবিন ভাই। তিনি তখন বললেন- আপনার সাথে কি কখনো আমাদের দু'কথা হবে।
তিনি আরও বলেন, জেমস আসবে কি আসবে না ক্যাম্পাসে বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে ঘোলাটে করা হয়েছে। আমি যতটুকু খোঁজখবর নিয়েছি (১৯ অক্টোবর) তাদের কোন সিডিউল নেই, ঐদিন আমাদের জন্য তারা এখন পর্যন্ত সিডিউল দিয়ে রেখেছে সর্বশেষ যতদূর জানি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সোমবার অথবা মঙ্গলবার আমরা চুক্তি করে আসবো। চুক্তির আগে নিশ্চিত করে কোনোকিছু বলা ঠিক হবে না তবে আমি আশাকরি প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত কোন কিছু না ঘটলে তারা আসবেন বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এবারের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পূজোর ছুটি এবং সাপ্তাহিক বন্ধের দিন (শুক্রবার) হওয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২০ তারিখের পরিবর্তে ১৯ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) উদযাপিত হবে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক