সিলেটের বিশ্বনাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় জেসমিন বেগম (১০) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার দুপুরে উপজেলার বিশ্বনাথ-খাজাঞ্চী সড়কের জানাইয়া এলাকার আকবর আলীর কলোনির একটি কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। জেসমিন সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার সেলবর্শ (চৌধুরী বাড়ী) গ্রামের মৃত খাইরুল ইসলাম ও আকলিমা বেগম দম্পতির বড় মেয়ে।
তবে, বিশ্বনাথ উপজেলার হাবড়াবাজার এলাকার জিলু মিয়াকে বিয়ে করে মেয়ে জেসমিন ও একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বর্তমানে ওই কলোনিতে বসবাস করে আসছেন আকলিমা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ঘটনাস্থলে যাওয়া পুলিশ সূত্র জানায়, শনিবার দুপুরে আকবর আলীর কলোনির ভাড়াটে দুই নারী জেসমিনকে তার ঘরের মধ্যে ঝুলতে দেখেন। বিষয়টি আশপাশের অন্যদেরকে জানালে তারা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের তীরের সাথে ওড়না বেঁধে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় জেসমিনকে উদ্ধার করে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা এটি আত্মহত্যা।
তবে, লাশ উদ্বারের সময় জেসমিনের পা মাটির সাথে ভর দেয়া ও হাঁটুতে ভাঁজ ছিল। খোলা ছিল ঘরের দরজা, এমনকি জানালাও। তাছাড়া, জেসমিনের শরীর লাগোয়া শোয়ার খাটও ছিল। এসব কারণে এটি আত্মহত্যা না হত্যা এ নিয়ে নানা রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে!
জেসমিনের মা আকলিমা বেগম এ প্রতিবেদককে বলেন, চলতি মাসের পয়লা তারিখে তিনি তার দু’সন্তানকে নিয়ে আকবর আলীর কলোনিতে উঠেছেন। শনিবার সকালে তিনি কাজের প্রয়োজনে অন্যত্র ছিলেন। দুপুরে পার্শ্ববর্তী ভাড়াটেরা জেসমিনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে তাকে খবর দেন। তিনি আরও বলেন, সে স্থানীয় আশার আলো নামের একটি স্কুলে পড়তো। সকালে সে তার স্কুলেও যায়।
আশার আলো স্কুলের প্রধান শিক্ষক শামীমা বেগম বলেন, আমি তাকে জোনাকী নামেই চিনি। তার নাম যে জেসমিন তা এই প্রথম শোনলাম। সে আশার আলো স্কুলে এখনও ভর্তি হয়নি। তবে, কয়েকদিন ধরে নিয়মিত আসতো। শনিবার সকালেও এসেছিল। পড়ালেখার সুবিধার্থে তাকে দ্বিতীয় শ্রেণির একসেট বই দিই। খুবই আনন্দ মনে সে কলোনিতে ফিরে যায়।
লাশ উদ্ধারকারী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আফতাবুজ্জামান রিগ্যান বলেন, ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার পর বিস্তারিত বলা যাবে।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব