শতবর্ষ পূর্বে সিলেটে এসেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সিলেট নগরীর চৌহাট্টায় সিংহবাড়ি, মাছিমপুরের মণিপুরি পল্লী এবং এমসি কলেজে গিয়েছিলেন তিনি। এসব স্মৃতিবিজড়িত স্থানে বুধবার দিনভর নানা আয়োজনে স্মরণ করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথকে।
১৯১৯ সালের ৫ নভেম্বর সিলেট আসেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর সাথে ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও পুত্রবধু প্রতিমা দেবী ছিলেন। তিন দিন সিলেটে ছিলেন নোবেলজয়ী কবি। তাঁর সিলেট আগমনের শতবর্ষ পূর্তি হয়েছে গত মঙ্গলবার। এ উপলক্ষে সিলেটে ‘সিলেটে রবীন্দ্রনাথ: শতবর্ষ স্মরণোৎসব পর্ষদের’ উদ্যোগে চলছে নানা আয়োজন।
সকালে চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শোভাযাত্রা যায় সিংহবাড়িতে। পরে রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন শিক্ষাবিদ পীযুষ কুমার দে ও সিলেট রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ চন্দ্রনাথানন্দ। এরপর সমবেত প্রার্থনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। বিকালে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, সিলেট সিটির মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ইমিরেটাস ভাষাসংগ্রামী অধ্যাপক আব্দুল আজিজ প্রমুখ। তাঁরা রবীন্দ্রনাথের সিলেট আগমনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
এদিকে, দিনভর এমসি কলেজে ছিল নানা আয়োজন। সকালে জাতীয় সংগীত ও পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। ছিল ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও দক্ষিণ এশিয়া’ শীর্ষক দুই পর্বের সেমিনার। এছাড়া রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতিও উন্মোচন করা হয়। এতে আবুল মাল আব্দুল মুহিত ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ব্যারিস্টার আরশ আলী, কলেজের অধ্যক্ষ নিতাই চন্দ্র চন্দ, মদন মোহন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবুল ফতেহ ফাত্তাহ প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার