জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন ১২ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ১৭ মার্চ বুধবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির শুভ সূচনা করা হবে।
ওই দিন সরকারি আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, প্রতিষ্নঠা, বেসরকারি ভবন, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্টানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে জানানো হবে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। সকল মসজিদ,মন্দির গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপসনালয়ে করা হবে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা। হাসপাতাল, এতিমখানা ও শিশু পরিবারে দেয়া হবে উন্নতমানের খাবার। প্রধান প্রধান সড়কে ব্যানার ও ফেস্টুনে সজ্জিতকরণ করা হবে। শহরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত স্থানে অনুষ্তঠি হবে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা সভা। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধা-সরকারি ও বেসবকারি প্রতিষ্টান ও ভবনে আলোকসজ্জা। সন্ধ্যায় শত আতশবাজি। পরের দিন ১৮ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গীকিনকশা’। ১৯ মার্চ চা বাগানে শ্রমিকদের জন্য ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প। ২০ মার্চ পরিবেশিত হবে নাটক ‘মুজিব মানেই মুক্তি’। ২১ মার্চ মোমেনা চৌধুরীর একক অভিনয়ে মঞ্চায়ন হবে নাটক ‘লাল জমিন’। ২২ মার্চ নারী সমাবেশ ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচিত্র প্রদর্শনী। ২৩ মার্চ নৃ-তাত্কিজনগোষ্টির নিজস্ব সংস্কৃতির সাংস্কৃতিক উৎসব ‘আদিকথা’। ২৪ মার্চ আনন্দ শোভাযাত্রা। ২৫ মার্চ মুক্তিযুদ্ধার কন্ঠে গনহত্যার স্মৃৃতিচারন, আলোচনা, সন্মননা, গীতিনাট্য, ১ মিনিট প্রতীকী ব্ল্যাক-আউট।
২৬ মার্চ প্রতি বছরে ন্যায় এদিনে বিভিন্ন কর্মসূচির সাথে থাকছে ব্যান্ডদল ‘জলে গান’ এর কনসার্ট। ২৭ ও ২৮ মার্চ থাকছে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উদযাপন উপলক্ষে নানান কর্মসূচি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সৌভাগ্যাবান যে, জাতির পিতার শততম জন্মদিন এবং আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা একই মাসে করতে পারছি। এছাড়া ঠিক একই সময়ে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্জাদা পেয়েছি। তাই এবার আমাদের আনন্দ অন্য যে কোন বছরের থেকে বেশী। এই আনন্দ উৎসবে সবাইতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিডি প্রতিদিন/হিমেল