১৮ মে, ২০২২ ২১:৪০

পাহাড়ি ঢল অব্যাহত, সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট:

পাহাড়ি ঢল অব্যাহত, সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা

উজানে ভারতের আসাম ও মেঘালয়ের পাহাড়ি এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সিলেটের নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সুরমা ও কুশিয়ারার চারটি পয়েন্ট ও সারী নদীর একটি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কোন কোন স্থানে মঙ্গলবার রাতে পানি কমলেও বুধবার সকাল থেকে ফের পানি বাড়তে থাকে। ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বুধবার বিকেল ৩টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই পয়েন্টে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পানি হ্রাস পেলেও পাহাড়ি ঢল নামায় ফের পানি বাড়তে থাকে। সুরমা নদীর পানি বিকেল ৩টায় সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বিকেল ৩টায় কুশিয়ারার পানি জকিগঞ্জের আমলসীদে বিপদসীমার ১৬৬ সেন্টিমিটার ও শেওলা পয়েন্টে ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। জৈন্তাপুরে সারি নদীর পানিও বেড়েছে। 

এদিকে, সিলেটের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে। জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে গত মঙ্গলবার রাতে পানি কিছুটা কমলেও বুধবার সকাল থেকে ফের নদীতে পানি বাড়তে থাকে। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাহাড়ী এলাকায় ভারী বর্ষন হওয়ায় ঢলে সুরমা, ধলাই ও সারি নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। ফলে বুধবার সকাল থেকে পানি বেড়ে আগের অবস্থায় চলে যায়। এছাড়া ভারতের আসামের পাহাড়ী এলাকায় ভারী বর্ষনের কারণে সুরমা ও কুশিয়ারার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জকিগঞ্জ ও কানাইঘাটের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। 
বুধবার কানাইঘাট উপজেলায় নতুন করে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জকিগঞ্জে পানি বৃদ্ধি পেয়ে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন অংশ তলিয়ে গেছে। থানাবাজার এলাকায় সড়কের উপর হাঁটু পানি ওঠেছে। কুশিয়ারা নদীর ডাইকের বিভিন্ন অংশ দিয়ে পানি উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। জকিগঞ্জ উপজেলা সদরের পার্শ্ববর্তী কেছরি এলাকায় ডাইকের উপর বস্তা ফেলে পানি ঠেকানোর চেষ্টা করছেন স্থানীয়রা। কিন্তু এরপরও পানি উপচে ভেতরে প্রবেশ করছে। 
স্থানীয়রা জানান, কেছরি এলাকায় ডাইক ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করলে পুরো উপজেলা সদর পানিতে তলিয়ে যাবে। এছাড়া বুধবার নতুন করে বিশ্বনাথ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। দুই উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। 

এদিকে, সিলেট নগরীর বন্যা পরিস্থিতিও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। নগরীর ভেতর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে দুর্ভোগ। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় অনেককে নৌকা ও ভেলায় চড়ে যাতায়াত করতে দেখা গেছে। নগরীতে ১৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। 

বিডি প্রতিদিন/এএম

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর