১৯ মে, ২০২২ ১১:৪০

বিশ্বনাথে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত, প্রস্তুত আশ্রয় কেন্দ্র

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি

বিশ্বনাথে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত, প্রস্তুত আশ্রয় কেন্দ্র

বিশ্বনাথে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় বাড়ছে বন্যার পানি। আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। বসতবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছেন পানিবন্দী মানুষ। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বন্যা কবলিত মানুষের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ১৩টি আশ্রয় কেন্দ্র।

প্রথমে উপজেলার লামাকাজি ও খাজাঞ্চী ইউনিয়ন প্লাবিত হয়। বুধবার নতুন করে অলংকারি ইউনিয়নেও প্রবেশ করে বন্যার পানি। প্লাবিত হয় একাধিক বাড়িঘর, হাটবাজার, গুচ্ছগ্রাম, ধর্মীয় উপসনালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তলিয়ে যায় রাস্তাঘাট, ধানি জমি, আউশ ধানের বীজতলা, সবজি ক্ষেত, পোল্ট্রি ও মৎস্য খামার। সুরমা নদীর পানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এসব এলাকায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।

আকস্মিক এই বন্যায় উপজেলার ওই তিনটি ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ায় চরম দুর্ভোগ-ভোগান্তিতে দিন কাটছে তাদের। গবাদি পশু নিয়ে অনেকেই পড়েছেন বিপাকে।

লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান হবিবুল ইসলাম ও অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল জানান, ‘সময়ে সময়ে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। চরম মানবেতর দিনযাপন করছেন পানিবন্দী মানুষ। তাদের সহযোগিতার জন্যে সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা খুবই জরুরি।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্র জানায়, লামাকাজী, খাজাঞ্চী ও অলংকারী ইউনিয়নের বন্যাকবলিতদের জন্যে ১৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।

সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান, ‘১২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। যে সকল বিদ্যালয় পানিবন্দী অবস্থায়, সেগুলোতে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সমীর দেব বলেন, ‘লামাকাজী ইউনিয়নের পিএমসি একাডেমি ও খাজাঞ্চী ইউনিয়নের লজ্জতুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন, ‘ইতিমধ্যে পানিতে প্রায় ৫ হেক্টর বোরো ফসলি জমি, ৪০ হেক্টর আউশ ধানের বীজতলা ও ১৮ হেক্টর সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক নুসরাত জাহান বলেন, বন্যা কবলিত এলাকা ও পানিবন্দী মানুষদের সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নিচ্ছে উপজেলা প্রশাসন। আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমও অব্যাহত আছে।  

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর