২৪ মে, ২০২২ ১৬:১৩

গ্রামবাসীর ‘স্বপ্ন’ কেড়ে নিয়ে গেল পাহাড়ি ঢল

সিলেট ব্যুরো

গ্রামবাসীর ‘স্বপ্ন’ কেড়ে নিয়ে গেল পাহাড়ি ঢল

সিলেট'র জৈন্তাপুর উপজেলার তিনটি গ্রামের স্বপ্ন ধুয়ে মুছে নিল পাহাড়ি ঢল ও আকস্মিক বন্যায়।উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ'র বিশেষ বরাদ্দে তিন গ্রামবাসীর একমাত্র চলাচলের জন্য পেয়েছিল দেড় কিলোমিটার নতুন রাস্তা। সেই রাস্তাটি পাহাড়ি ঢলে ধুয়ে নিয়ে গেল।

 
জানা যায়, জৈন্তাপুর উপজেলার হর্নি, বাইরাখেল ও নয়াগ্রামের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর ২০২১ সনের ফেব্রুয়ারি মাসে বিশেষ বরাদ্দ থেকে দেড় কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করেছিলেন। অতিবৃষ্টি ও উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সম্পূর্ণ রাস্তাটি ধুয়ে নিয়ে গেছে বন্যার পানিতে। রাস্তাটির জন্য তিন গ্রামের বাসিন্দারা পড়েছে বিপাকে। 

সোমবার এলাকার বাসিন্দা আজিজুর রহমান, সেলিম আহমদ, নূর আহমদ, আব্দুর রহিম, ইদ্রিছ আলী, নজরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের পূর্বে আমরা চেয়ারম্যানের কাছে শর্ত স্বাপেক্ষে বলেছিলাম রাস্তা করে দিলে আমরা আপনাকে ভোট দিবো। চেয়ারম্যান ওয়াদা দিয়েছিলেন তিনি নির্বাচিত হলে সবার প্রথমে এই রাস্তাটি হবে। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন, কথা অনুযায়ী আমরা রাস্তাও পেয়েছি, কমে গিয়েছিল আমাদের দুর্ভোগ। স্বাধীনতার পূর্ববর্তী থেকে তিন গ্রামবাসী ছিল রাস্তা বঞ্চিত। ২০২১ সালের শুরুতেই রাস্তা পেয়ে আমাদের স্বপ্ন পূরণ হলো। পাহাড়ি ঢলে আমাদের চলাচলের সুবিধার জন্য নির্মিত রাস্তাটি বন্যার পানিতে ধুয়ে নিয়ে গেল। 

খবর পয়ে বিষয়টি সরেজমিনে উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ পরিদর্শন করে এবং রাস্তাটি ধুয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন। এলাকাবাসীর বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের তিন গ্রামবাসীর চলাচলের রাস্তাটি নির্মানের দাবি জানাই।
 
জৈন্তাপুর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ বলেন, শুধুমাত্র রাস্তাটি ভেঙে গেছে এমন নয়, বিশেষ করে উপজেলার সব কয়েকটি রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে রাস্তাটি কিভাবে যত দ্রুত নির্মাণ করা যায় সেজন্য আমি মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে লিখিত আবেদন করবো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল বশিরুল ইসলাম বলেন, এলাকাবাসী বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন। আমি চেষ্টা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি পরিদর্শন করে মেরামতের জন্য মন্ত্রী মহোদয়সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রস্তাব প্রেরণ করা হবে।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর