প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা বিবেচনা করে চট্টগ্রামের বইমেলার সময় আরও দুই দিন বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার মেলার শেষ দিন এই ঘোষণা দেয়া হয়। বইমেলায় প্রতিদিন দর্শক সমাগম বেশ লক্ষ্মণীয় হওয়ায় আয়োজক কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম মাঠে প্রথমবারের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঢাকা-চট্টগ্রামের সৃজনশীল প্রকাশকদের অংশগ্রহণে হচ্ছে সম্মিলিত বইমেলা।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) আয়োজন এবং চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ, চট্টগ্রামের নাগরিক সমাজ ও সাহিত্যিক-শিল্প সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলার কথা। কিন্তু গত তিনদিনের টানা বৈরি আবহওয়ার কারণে মেলার সময় আরও দুই দিন বাড়ানো হয়। প্রতিদিনই মেলায় আসছে ক্রেতা, দর্শক। সাড়া ফেলছে প্রথমবারের মত আয়োজিত এ মেলায়।
চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ও বইমেলা কমিটির সদস্য সচিব সুমন বড়ুয়া বলেন, 'গত কয়েকদিনের বৈরি আবহাওয়ায় অনেক পাঠক মেলায় আসতে পারেনি। তাছাড়া বৈরি আবহাওয়ায় বই বিক্রিও কম হওয়ায় প্রকাশকদের ওপরও একটু প্রভাব ফেলছে। তাই সবদিক বিবেচনা করে মেলার সময় দুইদিন বাড়ানো হয়েছে।'
জানা যায়, এবারের বইমেলায় ১১০টি স্টল অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ঢাকার ৬০ ও চট্টগ্রামের ৫০টি। আগত পাঠক-দর্শকদের মননশীলতা তৈরিতে মেলার প্রবেশ পথেই রাখা হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জসীম উদ্দীন, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, আবদুল গাফফার চৌধুরী, প্রমথ চৌধুরী ও বেগম সুফিয়া কামালসহ বিশিষ্টজনদের অমিয় বাণী সমেত ছবি।
দর্শনার্থীদের জন্য রাখা হয়েছে সেলফি জোন, এ জোনে কিশোর, তরুণ-তরুণীরা ছবি তুলেছেন। আছে ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা। নিরাপত্তায় আছে সিসি ক্যামেরা। আছে সুলভ মূল্যের খাবার। রাখা হয়েছে হেলথ ক্যাম্প। এখানে ব্লাড গ্রুপ নির্ণয়, ডায়াবেটিক মাপা, প্রেসার মাপার ব্যবস্থা আছে।
বিডি প্রতিদিন/২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/আরাফাত