বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিজুল ইসলাম বলেছেন, রমজানের অত্যাবশ্যকীয় ভোগ্যপণ্যের মজুদ যথেষ্ট আছে, তাই দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। রমজানে কেউ সিন্ডিকেট কারসাজি করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে ‘রমজানে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়’ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল, চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুব্লু আলম, চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগীর আহমদ, ক্যাব চট্টগ্রামের সভাপতি এস. এম নাজের হোসাইন প্রমুখ।
মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘এমন কিছু পণ্য আছে যেগুলোর মাধ্যমে মানুষকে পরোক্ষভাবে হত্যা করা হয়। রমজানে এমন পণ্য ভেজাল করলে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি হলেও তাদের কোনো ছাড় নয়।’
বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘আমাদের ওপর চাপ আছে। কোটি কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। ক্রেতারা যাতে ন্যায্যমূল্যে পণ্য পায় সেটি আমাদের উদ্দেশ্য। ব্যবসায়ীরা লাভ করবে। তবে মজুদ, সিন্ডিকেট অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। তখন আইনের কঠোর প্রয়োগের বিকল্প থাকে না। বিদেশে বড় দিন উপলক্ষে ছাড় দেওয়া হয়। আর আমাদের দেশে পণ্যের দাম বৃদ্ধি করা হয়। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমি অনুরোধ জানাতে এসেছি, লাভ কম করে ক্রেতাদের ন্যায্যমূল্যে পণ্য দিয়ে সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারেন। যদি প্রয়োজন হয়, এখনো যথেষ্ট সময় আছে আরও আমদানি করতে পারেন। কারণ বর্তমান সরকার ব্যবসাবান্ধব। প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকেন। সুতরাং ব্যবসায়ী মহল যদি কোন অপকর্ম করে থাকেন তাহলে তিনি কোনভাবে ছাড় দিবেন না।’
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা বলেন, দ্রব্যমূল্য কোন প্রকার মজুত এবং কালোবাজারি করলে কোনভাবে ছাড় দেওয়া হবে না। পণ্যের মান এবং দাম নিশ্চিত না করলেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। সকল জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকবে যার মাধ্যমে রমজানের প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। যেখানে ভোক্তা অধিকার এবং বিএসটিআই সহযোগিতা করবে।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার