চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ‘নগরীর সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সমন্বয়, পারস্পারিক সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি। সমন্বয় ব্যতীত এই নগর নিরাপদ ও বাসযোগ্য শহর হিসেবে গড়ে তোলা অসম্ভব।’
বুধবার দুপুরে জাইকার অর্থায়নে পরিচালিত সিটি গভর্নেন্স প্রকল্পের অধীনে ‘সিভিল সোসাইটি কো-অর্ডিনেশন কমিটির ১৬তম সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব মোহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমদ, চিটাগাং চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, আইইবি’র কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সদস্য প্রকৌশলী এম এ রশিদ, প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার, প্রকৌশলী মো. হারুন, সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, এডিসি মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী, সিডিএ’র প্রধান পরিকল্পনাবিদ স্থপতি মোহাম্মদ শাহিনুল ইসলাম খান, চট্টগ্রাম ওমেন চেম্বারের পরিচালক রেখা আলম প্রমুখ।
সিটি মেয়র বলেন, ‘শহরটা আমাদের। আমাদের শহরকে আমাদেরকেই সাজিয়ে তুলতে হবে। আলাপ-আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধতা নয়, বাস্তবায়নের প্রয়োগটা নিশ্চিত করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের পর তা দেখভালের সক্ষমতাও থাকতে হবে। মানুষের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সকল ক্ষেত্রে নগরবাসীর প্রত্যাশাও অনেকগুণ বেড়েছে। এতে শহরে আধুনিকমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে অত্যাধুনিক ক্লিনিক, আবাসন ব্যবস্থা। সবকিছুর পরিবর্তন হলেও শহরের পরিধি বাড়েনি। আগে যতটুকু ছিল এখনো সেই অবস্থায় রয়েছে এ শহর।’
মেয়র বলেন, ‘যানজটে নগরবাসীর ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। নগরে ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। যেখানে যাই সেখানেই যানজট আর যানজট। এই অবস্থায় নগরবাসী যাবে কোথায়। এ অবস্থার উত্তরণ ঘটাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘শহরে ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির গাড়ী চলাচল করে। তাদের যাত্রী সাধারণ যেসব স্থানে নামবে, সেই সব স্থানে কোনো পার্কিং ব্যবস্থা নেই। এটাতো আধুনিক নগরের পর্যায়ে পড়ে না। অথচ আমরা এই চট্টগ্রামকে তিলোত্তমা নগরী এবং প্রচ্যের রাণী হিসেবে অভিষিক্ত করেছি, এখনো করছি। তাই যানবাহনে শৃঙ্খলা আনতে শহরে কত ধরনের যানবাহন চলাচল করে তার আকার-আকৃতি-প্রকৃতি নির্ণয় করতে হবে। সেই সব যানবাহনের পার্কিং ব্যবস্থার জন্য সেবা সংস্থাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন অতীব জরুরি। এক্ষেত্রে চসিক, সিডিএ এবং ট্রাফিক বিভাগকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার