সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরার বাসিন্দা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. শাহ আলমের খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ চিকিৎসকদের নিরাপদ কর্মস্থলের নিশ্চয়তার দাবি জানিয়েছেন। এছাড়াও অধিকার ও নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনে বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার উদ্যোগে সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক খানের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এসএম মুইজ্জুল আকবর চৌধুরীর সঞ্চালনায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে চট্টগ্রামের সর্বস্তরের চিকিৎসক ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, ডা. শাহ আলম হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পেরোলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি-যা খুবই দুঃখজনক এবং কিছুটা রহস্যজনকও। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত খুনিদের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সেলিম মো. জাহাঙ্গীর, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দীন মাহমুদ, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মোস্তাক আহমেদ, বিএমএ সহ-সভাপতি ডা. মো. মনোয়ারুল হক শামীম, কোষাধ্যক্ষ ডা. মো. আরিফুল আমিন, যুগ্ম সম্পাদক ডা. মো. রবিউল করিম, বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. নুর হোসেন ভূঁইয়া, দপ্তর সম্পাদক ডা. আবুল হোসেন শাহীন, প্রচার সম্পাদক ডা. প্রণয় কুমার দত্ত, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ডা. সত্যজিৎ রায়, প্রকাশনা সম্পাদক ডা. নুর উদ্দীন জাহেদ, পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মো. সাইফুদ্দিন আহমেদ সাইফ, চমেক ইন্টার্ন অ্যাসোসিয়েশনর আহ্বায়ক ডা. নাইমুল ইসলাম ও সদস্যসচিব ডা. সাইফুল ইসলাম মুরাদ, চমেক ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শিমুল, চমেকসু ভিপি এমএ আউয়াল রাফি ও জিএস প্রিতম সাহা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে দুর্বৃত্তরা নির্মমভাবে হত্যা করে ডা. শাহ আলমকে রাস্তার পাশে জঙ্গলে ফেলে চলে যায়। একদিন পর অজ্ঞাত পরিচয়ের লাশ হিসেবে পুলিশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা। সেখানে তার লাশ শনাক্ত করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন