অভিনব কায়দায় ইয়াবা পাচার করে এমন কয়েকটি গ্রুপের সন্ধান মিলেছে চট্টগ্রামের পুলিশ। ইয়াবা পাচার করার জন্য এ চক্র ‘লং ড্রাইভে’ যায় বলে পুলিশ চক্রের নাম দিয়েছে ‘লং ড্রাইভ পার্টি’। শনিবার এ চক্রের চার চক্রকে গ্রেফতারের পর নতুন কায়দায় ইয়াবা পাচারের বিষয়টা নজরে আসে পুলিশের।
তারা হলেন- মোজাম্মেল হক, নুর নবী, হাসমত কবির শাকিল এবং জাহেদুল ইসলাম রাতুল। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা, মোটর সাইকেল এবং ১২শ’ ব্রিটিশ পাউন্ড এবং ছয়টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘লং ড্রাইভ পার্টির ইয়াবা চক্রের সদস্যদের প্রায় সবাই তরুন। প্রত্যেকেই মোটর সাইকেল চালনায় পারদর্শী। তারা তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ইয়াবার চালান নিয়ে যায়। মূলত প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিতেই ইয়াবা পাচারে লং ড্রাইভ কৌশল অবলম্বন করে এ চক্রের সদস্যরা। ’
জানা যায়, লং ড্রাইভ পার্টির সদস্যরা তিন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ইয়াবা পাচার করে। এক গ্রুপ কক্সবাজার থেকে ইয়াবার সংগ্রহ করে মোটর সাইকেলে করে তা চকোরিয়া কিংবা সাতকানিয়া এলাকায় নিয়ে আসে। ওখানে অপেক্ষা করে এ গ্রুপের অন্য সদস্যরা। হাত বদল হয়ে ইয়াবার চালান চলে যায় দ্বিতীয় গ্রুপের হাতে। দ্বিতীয় গ্রুপের সদস্যরা ওই চালান নিয়ে যায় মীরসরাই কিংবা ফেনী এলাকায়। ওইখানে অপেক্ষা করে তৃতীয় গ্রুপ। এরপর তৃতীয় গ্রুপ ইয়াবার চালান ঢাকায় নিয়ে যায়। লং ড্রাইভ পার্টির সদস্যরা কক্সবাজার থেকে ঢাকা পর্যন্ত ইয়াবা পাচারের জন্য মোটর সাইকেলকেই বাহন হিসেবে ব্যবহার করে। প্রতিটা চালানের আগে মোটর সাইকেলের একটি ‘এডভান্স পার্টি’ থাকে। মূলত এ পার্টি পথে প্রশাসনের চেক পোস্ট রয়েছে কি না এ বিষয়ে আগাম সতর্ক বার্তা দেয়।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরেই লং ড্রাইভের নামে ইয়াবা পাচার করে আসছে। দীর্ঘদিন ধরেই তাদের ওপর নজরদারি রাখা হয়। ইয়াবার চালান নিয়ে কক্সবাজার থেকে আসার পথে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার মুজাফফরাবাদ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে গ্রেফতারকৃতদের রিমাণ্ড চাওয়া হবে।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার