চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কমিটির ৪৬ জন ছাত্রনেতার অনাস্থা প্রস্তাবের স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ উঠেছে। নগর কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের বিরুদ্ধে এ অনাস্থা এনে উপ-দপ্তর সম্পাদক আশারাফ উদ্দিন টিটুর স্বাক্ষরে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। রবিবারই এই স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ এনে উপ-দপ্তর সম্পাদক টিটু নিজেই আরেকটি বিবৃতি দিয়েছেন। এ নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
উপ-দপ্তর সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন টিটু বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন, ৭ এপ্রিল নগর ছাত্রলীগের নকল প্যাড ব্যবহার করে যে অনাস্থা প্রস্তাব দেয়া হয়েছে সেটি আমার স্বাক্ষর নয়। এই স্বাক্ষর কে বা কারা জাল করে সংগঠনকে বিতর্কিত করতে কমিটি গঠন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এই জালিয়াতি করা হয়েছে। যারা এই ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড করেছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। নগর ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের উপর পূর্ণ সমর্থন ও আস্থা জ্ঞাপন করছি এবং সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সকল থানা, কলেজ, ওয়ার্ড কমিটি গঠনের সাহসী সিদ্ধান্তের সাথে একমত পোষণ করছি।
স্বাক্ষর জাল করার বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর সাংগঠনিকক সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, এই বিবৃতিতে আমার নাম দেয়া হয়ে, সেটি আমি জানি না। তবে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠন প্রক্রিয়াতে বিতর্কিত করতে আমাদের নাম ব্যবহার করে একটি চক্র বিভ্রান্ত করছেন বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন পর ৬ ফেব্রুয়ারি ডবলমুরিং ও চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করেন মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর। এই কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগের একটি অংশ। টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধও করেন তারা।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব