‘ঠাট্টা-বিদ্রুপে’র প্রতিশোধ নিতেই হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধা একেএম নুরুল আজম চৌধুরীকে। এ খুনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া যুবক শেখ সোহরাব হোসেন সাদিচ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে এ তথ্য জানান। সোমবার ভোর রাতে রাউজান উপজেলার পথেরহাট এলাকা থেকে সাদিচকে গ্রেফতার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি কিরিচ এবং রক্তমাখা জামা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া সাদিচ একই উপজেলার উরকিরচর এলাকার ফিরোজ আহমদের দত্তক ছেলে।
সাদিচকে গ্রেফতারের পর সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে র্যাব-৭। সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৭ সহকারি পরিচালক তারেক আজিজ বলেন, নিহত নুরুল আজম বিভিন্ন সময় সাদিচকে নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করতে। এ নিয়ে নুরুল আজমের ক্ষিপ্ত ছিল সাদিচ। পাঁচ মাস আগে নুরুল আজমকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জবাই করে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাকে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার দুপুরে রাউজানের উরকিরচর এলাকা থেকে নুরুল আজমের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আজম একজন মুক্তিযোদ্ধ ছিলেন। সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাও ছিলেন। এ ঘটনার মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার