২৯ মে, ২০২০ ১৭:৫৩

চট্টগ্রামে করোনার কাছে হার মানলেন ২ কাউন্সিলর প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে করোনার কাছে হার মানলেন ২ কাউন্সিলর প্রার্থী

প্রতীকী ছবি

করোনা পরিস্থিতি জেনেও এলাকার মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন সবসময়। জনপ্রতিনিধি হিসেবে করোনায় অসহায় সাধারণ মানুষদের পাশে দাড়াঁন তিনি। অন্যদিকে, একজন প্রার্থী হওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত ভোটারদের খোজঁখবরও নিতেন সবসময়। কিন্তু সেই খবর আর কোনওদিনই নিতে পারবেন না তারা। কারণ করোনায় মহিলাসহ প্রাণ হারালেন চসিকের দুই কাউন্সিলর।

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজন কাউন্সিলর ও অন্যজন সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী মারা গেছেন। উভয় পরিবারের সদস্যরা বলছেন, এলাকার গরীব অসহায়দের পাশে থেকে নিয়মিত ত্রাণ সামগ্রীসহ নানাবিধ খোজঁ খবর নিতেন। কোনও না কোনওভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়ে। 

চসিক সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্থগিত হওয়া এবারের নির্বাচনে আবারও কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন চসিকের ৩০ নম্বর পূর্ব মাদারবাড়ি ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী (৫২)। তিনি গত মঙ্গলবার (২৬ মে) রাত ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। 

আক্রান্ত হয়ে ঢাকার আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি নগরীর সদরঘাট থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

মাজহারুলের মেয়ের শ্বশুর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ প্রতিবেদন আসার পর তাকে আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে চারদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তার মৃত্যু হয়েছে।

অন্যদিকে, চসিকের বাকলিয়া এলাকার ১৭, ১৮ ও ১৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী শাহেদা বেগমও (৫৫) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তিনি নগর বিএনপির সদস্য ও নগর মহিলা দলের সহ-সভাপতি ছিলেন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।

চসিকের কাউন্সিলর প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী বলেন, চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন স্থগিত হলেও প্রার্থীরা প্রতিটি ওয়ার্ডেই কাজ করে যাচ্ছেন। এতে বিশেষ করে বর্তমান কাউন্সিলররা স্ব স্ব ওয়ার্ডেই নিয়মিত কাজ করতে হচ্ছে। প্রতিটি এলাকায় গরীব-অসহায় মানুষদের পাশে থেকেই নিয়মিত সরকারি ও ব্যক্তিগতভাবে ত্রাণ সামগ্রী ও করোনায় নিরাপত্তাজণিত জিনিসপত্রগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে করে অনেকেই ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন এবং বর্তমান কাউন্সিলরসহ প্রার্থী মারা গেছেন। তবে সতর্কতার সাথে আমরা মাঠে কাজ করছি। তাছাড়া গরীব-অসহায় মানুষের নিত্যপণ্য না দিলে এসব দুঃসময়ে কিভাবে বেচে থাকবেন। চেষ্টা করছি অবহেলীত মানুষসহ সকলে শ্রেনীর মানুষের পাশে থেকেই কাজ করার জন্য।

নগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও এসব জনপ্রতিনিধিরা সাধারণ মানুষের পাশে থেকেই কাজ করেছেন। কোন এক সময় নিজের অজান্তে এই করোনাভাইসে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। একটু অসুস্থ বোধ করায় স্বাভাবিক চিকিৎসা শুরু করেন তিনি। পরে মৃত্যুর কলে ঢলে পড়েন। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে শোকও জানানো হয়েছে।


বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর